পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ যাবত বিভিন্ন দেশের ৪৯২ টন ত্রাণসামগ্রী এসেছে : সেনাবাহিনীর সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা
মিয়ানমারে বর্বর সেনাভিযান গণহত্যা নিপীড়ন-বিতাড়নের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ভাগ্যাহত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাপান এবার মানবিক ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। গতকাল (সোমবার) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের সুপরিসর কার্গো বিমানযোগে ত্রাণসামগ্রী এসে পৌঁছায়। জাপানের রেডক্রস সোসাইটি এই ত্রাণের চালানটি পাঠিয়েছে। জাপান রেডক্রসের প্রতিনিধিরা জানান, শিগগিরই ওষুধ সামগ্রী ও মেডিকেল টিমের সদস্যদের নিয়ে আরও একটি কার্গোবিমান চট্টগ্রামে আসবে।
আনীত ত্রাণসামগ্রীর পরিমাণ ১৮ দশমিক ৫৪৮ টন। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ও সুচিকিৎসার সামগ্রী (মেডিকেল ইকুইপমেন্টস) এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জরুরি প্রয়োজনীয় উপকরণ। কার্গো বিমানযোগে ত্রাণ নিয়ে আসা জাপান রেডক্রস-রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মানবিক ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতৃবর্গ, কর্মকর্তাবৃন্দ। জাপানের প্রেরিত ত্রাণসামগ্রী সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বুঝে নেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ হাবিবুর রহমান ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন জাপান রেডক্রসের প্রতিনিধি তাকাফুমি ইয়ামাদা ও কেনসুকি কাওয়াই, নিপ্পন এক্সপ্রেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুহিরো জোবাইয়াকাওয়া এবং বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম ইউনিটের সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার।
শিগগিরই যথানিয়মে জাপানের প্রেরিত ত্রাণসামগ্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে কক্সবাজারে পাঠানো হবে। কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মেডিকেল সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে এসব মেডিকেল ত্রাণসামগ্রী দিয়ে জাপানের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন ভ্রাতৃ ও বন্ধুপ্রতীম দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে কার্গো বিমানযোগে প্রেরিত ত্রাণসামগ্রী সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খলভাবে গ্রহণ, হস্তান্তর এবং কক্সবাজার-বান্দরবানের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে পরিবহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দক্ষ ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধীন এডহক-৭ এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারীর চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানগণ। সর্বশেষ গতকাল জাপান ছাড়াও এ যাবত তুরস্ক, সউদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ভারত, মরক্কো থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী কার্গো বিমানযোগে আনা হয়েছে। এ যাবত বিভিন্ন দেশ, সংস্থা, রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রায় ৪৯২ টন ত্রাণসামগ্রী এসেছে। আর এসব ত্রাণসামগ্রীর বিতরণ ব্যবস্থা অব্যাহত আছে সুদক্ষ সেনাবাহিনীর নিবিড় তদারকিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।