হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিয়ে আজ মহল বিশেষ থেকে এত কথা কেন উঠছে সেটি আমাদের কাছে অত্যন্ত দুর্বোধ্য ও রহস্যময় মনে হয়। যারা আজকে স্টেটলেস, রাষ্ট্রবিহীন, কচুরীপানার মত এ ঘাট থেকে সে ঘাটে, এদেশ থেকে সে দেশে ভেসে বেড়াচ্ছে তাদেরকে নিয়ে এত কথা উঠবে কেন? আমরা এখনো বলছি না যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন করা হোক। নৃতাত্তি¡ক জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় স্বাতন্ত্রের জন্য খোদ ইউরোপেই কি একটি রাষ্ট্র ভেঙ্গে একাধিক রাষ্ট্র হয়নি? বেশি দূর যেতে হবে না। গেল ৯০ দশকের দিকেই তাকিয়ে দেখুন। ভৌগোলিক আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙ্গে তার জঠর থেকে ১৫টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। বর্তমান রাশিয়া সেই সোভিয়েট ইউনিয়নের উত্তরাধিকারী বা উত্তরসূরী। আজ যে আমরা ইউক্রে না বেলারুশ, প্রভৃতি দেশের কথা বলি সেগুলিও একসময় সোভিয়েট ইউনিয়নের অংশ ছিল। সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়া এবং ১৫টি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের কথা সকলেই জানেন। কারণ সোভিয়েট ইউনিয়নের কথাটি পত্র পত্রিকা ও টেলিভিশন রেডিওতে মাঝে মাঝেই আলোচিত হয়।
কিন্তু ইউরোপে আরেকটি দেশ আছে, যে দেশটি ধর্ম এবং নৃতত্তে¡র ভিত্তিতে ৬টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়েছে। এই রাষ্ট্রটির কথা কদাচিৎ আলোচিত হয়। এই রাষ্ট্রটির নাম যুগোস্লাভিয়া। এই রাষ্ট্রটি ভেঙ্গে ৬টি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এগুলোও সব ঘটেছে ৯০ দশকে। যুগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে যে ৬টি রাষ্ট্র হয়েছে, সেই ৬টি রাষ্ট্রের মধ্যেও আবার একটি রাষ্ট্র ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে। যুগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে যে ৬টি রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে, সেগুলো হলো- সার্বিয়া, ম্যাসিডোনিয়া, মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া হারজেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া প্রভৃতি। সার্বিয়া ভেঙ্গে দুটি রাষ্ট্র গঠিত হয়। একটি সার্বিয়া অপরটি কসোভো। ইউরোপে দুটি রাষ্ট্র অর্থাৎ সোভিয়েট ইউনিয়ন এবং যুগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে যদি ২২টি রাষ্ট্র হতে পারে তাহলে মিয়ানমার ভেঙ্গে মুসলমানদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র হতে পারে না কেন? সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এই যে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা কিন্তু এখন পর্যন্ত আলাদা রাষ্ট্র দাবি করেনি। কিন্তু মগ সেনাদের এবং চরমপন্থী বৌদ্ধদের এই গণহত্যা এবং বর্বরতা যদি চলতে থাকে তাহলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা যদি আলাদা রাষ্ট্র দাবি করে তাহলে তাকে অন্যায় বলবেন কীভাবে?
কসোভো তো আলাদা রাষ্ট্র হয়নি। তারা শুধু স্বায়ত্বশাসন চেয়েছিল। কসোভোর জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হলো মুসলমান। এক সময় তারা ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিলেন। যেই মাত্র তারা সার্বিয়ার অধীনে থেকেও স্বায়ত্বশাসন তথা স্বাধিকার দাবি করে সেই মুর্হূত থেকেই তাদের ওপর সার্বরা চালায় প্রচন্ড দমন নীতি। দীর্ঘদিন একই রাষ্ট্রের অধিবাসী ও নাগরিক হওয়া সত্তে¡ও সার্বরা তাদের ওপর প্রভুর মত দমন-পীড়ন শুরু করে। কসোভোর মানুষ এই দমন পীড়নের প্রতিবাদ করলে সার্বরা শুরু করে গণহত্যা এবং নারী ধর্ষণ। কসোভোর সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের অপরাধ ছিল, তারা হলেন মুসলমান। কসোভোর মানুষও শুরু করে প্রতিরোধ। শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিকে বলা হয় কসোভো যুদ্ধ। কসোভোর অধিবাসীদের ওপর সার্বরা যে গণহত্যা চালায় সেটি ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম গণহত্যা বলে আখ্যায়িত হয়ে আছে। ১৯ লক্ষ মানুষের এই দেশটির ৯৪ শতাংশ অধিবাসীই মুসলমান। এই পরিসংখ্যানটি পাওয়া যায় ২০১১ সালে পরিচালিত আদমশুমারীতে। স্থল বেষ্টিত এই বলকান ভূ-খন্ডটির সীমান্তবর্তী দেশগুলো হলো আলবেনিয়া, ম্যাসিডোনিয়া, মন্টিনিগ্রো এবং সার্বিয়া। কসোভো যুদ্ধ চলে ২ বছর ধরে, ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। সার্বদের গণহত্যা রুখে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করে। গণহত্যা ও নারী ধর্ষণ বন্ধ করার জন্য বার বার তাদেরকে হুঁশিয়ার করা হলেও সার্বরা সেই হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করেনি। তখন জাতিসংঘের সিদ্ধান্তক্রমে ন্যাটোর নেতৃত্বে কসোভোতে শান্তিবাহিনী পাঠানো হয়। সার্বিয় বাহিনী জনবল এবং অস্ত্রশস্ত্রে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া সত্তে¡ও ন্যাটো বাহিনী তথা জাতিসংঘ বাহিনীর বিমান হামলার মুখে সার্বরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সার্বরা পরাস্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং পৃথিবীর ১১১টি রাষ্ট্র এপর্যন্ত কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
\ দুই \
কসোভোর মানুষদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং নারী ধর্ষণ রুখে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে, জাতিসংঘের সামরিক হস্তক্ষেপের চূড়ান্ত পরিণতিতে যদি কসোভো স্বাধীনতা লাভ করতে পারে, তাহলে বর্মী মগ সেনা এবং চরমপন্থী বৌদ্ধদের গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং নারী ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য রাখাইনে তথা বার্মায় জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না কেন? বসনিয়া হারজেগোভিনার উদাহরণ আরো জ্বলন্ত (এখন থেকে এটিকে বসনিয়া বলে অবিহিত করবো)। বসনিয়া এক সময় ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। বসনিয়া সংকটের উৎপত্তি ঘটে সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে দুটি প্রদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পর। এই দুটি প্রদেশ হলো স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া। লক্ষ করার বিষয় হলো এই যে, স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া যখন যুগোস্লাভিয়া থেকে আলাদা হয় তখন কিন্তু তাদের তেমন কোন বড় বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তার আগে বলা দরকার যে, ঐ দুটি রাজ্য স্বাধীন হওয়ার পর যুগোস্লাভিয়ার যে অংশটি অবশিষ্ট থাকে তাদের নেতৃত্বে ছিল প্রধানত সার্বিয়া। বসনিয়াভুক্ত সার্বদের নেতা ছিলেন রাদোভান কারাডিচ এবং সার্বিয়া সরকারের প্রধান ছিলেন স্লোভেধান মিলোসেভিক। বসনিয়া হারজেগোভিনার আয়তন হলো ১৯ হাজার ৭৬৭ বর্গমাইল। জনসংখ্যা ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার। ১৯৯১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী বসনিয়ার ৪৪ শতাংশ ছিল মুসলমান এবং ৩২ শতাংশ ছিল সার্ব। সংখ্যাগুরু হওয়ায় ১৯৯২ সালের ১লা মার্চ বসনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সার্বরা বসনিয়াতে সংখ্যালঘু হওয়া সত্তে¡ও যেহেতু সার্বিয়ার ফেডারেল সরকারে ক্ষমতায় ছিল সার্ব নেতা মিলোসেভিক তাই তিনি তার প্রশিক্ষিত পেশাদার সৈন্যদের বসনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন দমনের জন্য মাঠে নামিয়ে দেন। বসনিয়ার মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় সংখ্যালঘুদের দমন নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তখন সার্বিয়ার সামরিক শক্তিকে পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করা হয় এবং শুরু হয় মুসলিম গণহত্যা। এই মুসলিম গণহত্যা ধীরে ধীরে মুসলিম নিধনে পর্যবসিত হয়। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ সংখ্যাগুরু বসনিয়ার মুসলমানদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তখন তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে ৩টি মুসলিম দেশ। দেশগুলি হলো সৌদি আরব, ইরান ও পাকিস্তান। প্রয়োজনীয় অস্ত্র সংগ্রহের জন্য অর্থ সাহায্য করে সৌদি আরব। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাকিস্তান বিমানযোগে ক্ষেপনাস্ত্র পাঠায়। পশ্চিমা সংবাদপত্রের রিপোর্ট মোতাবেক ইরানের রেভুলিউশনারী গার্ডের কিছু সদস্য ইরান থেকে গিয়ে বসনিয়া মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ১৯৯২ সাল থেকে ১০৯৫ সাল- এই ৩ বছর বসনিয়ার যুদ্ধ চলে। অবশেষে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করে। জাতিসংঘের তরফ থেকে ন্যাটোবাহিনী ‘অপারেশন ডেলিবারেট ফোর্স’ নামে সার্বদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়। এই অভিযানের ফলে সার্বরা চূড়ান্তভাবে পরাস্ত হয়। এই যুদ্ধে এক লক্ষ মানুষ নিহত হন, যাদের প্রায় সকলেই ছিলেন বসনিয়ার মুসলমান। ২২ হাজার মুসলিম নারী ধর্ষিত হন। ২২ লক্ষ মানুষ উদ¦াস্ত হন। প্রিয় পাঠক, চিন্তা করুন, যেখানকার মোট জনসংখ্যা হলো ৩৫ লক্ষ, যেখানে ২২ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যান। মানবতা এবং মানবাধিকার যেখানে চরমভাবে লংঘিত হচ্ছিল সেখানে ৩ বছর পরে হলেও জাতিসংঘ সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে, একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয় এবং সমস্যাটির একটি স্থায়ী সমাধান হয়।
\ তিন \
বসনিয়া এবং কসোভোর সাথে রোহিঙ্গা সমস্যার প্রায় সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। কসোভো এবং বসনিয়ার ক্ষেত্রেও জাতিসংঘ ৩/৪ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু যখন গণহত্যা, নারী ধর্ষণসহ সমস্ত মানবাধিকার লংঘন সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন জাতিসংঘ সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। সেদিনও রাশিয়ার ভূমিকা ছিল চরম গণবিরোধী। বসিনয়া এবং কসোভোর গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায় কোন প্রস্তাব গ্রহণ করতে গেলে রাশিয়া প্রতিটি প্রস্তাবে বাধা দিত এবং প্রতিটি প্রস্তাবকে ব্লক করে দিত। তবে ন্যাটো বাহিনী রুশ বিরোধিতাকে উপেক্ষা করেই সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটছে। তিনটি বড় শক্তি বর্মী বর্বরতার নিন্দা করা থেকে বিরত থাকছে। এই কলাম লেখা পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুটি উত্থাপন করা হচ্ছে না। কারণ ঐ একটিই। চীন এবং রাশিয়া বিরোধিতা করবে বা ভেটো দেবে। তবে কসোভো এবং বসনিয়ার চেয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটির ওজন বেশি। বাংলাদেশ যদি ভারতের ওপর একক নির্ভরতা হ্রাস করতে পারে, তাহলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা তাদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে একটি শক্তিশালী পৃষ্টপোষক পায়। আর সেই পৃষ্ঠপোষক হলো বাংলাদেশ।
কিছুক্ষণ আগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বসনিয়ার যুদ্ধে ইরান থেকে রেভুলিউশনারী গার্ডের কিছু সদস্য নাকি তাদের বসনিয়া মুসলমান ভাইদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। এখন মুসলমানদের পক্ষে একটি বড় ফ্যাক্টর হলো তুরস্ক। যখন বসনিয়া এবং কসোভোতে যুদ্ধ হয় তখন তুরস্ক ছিল মার্কিনপন্থী। আজ তুরস্ক মুসলমানদের স্বার্থে প্রায় প্রতিটি ইস্যুতেই সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এবারও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্ক হলো প্রথম দেশ যারা রোহিঙ্গা মুসলমান সেই সাথে বাংলাদেশের পক্ষে এগিয়ে এসেছে। বোধগম্য কারণে পাকিস্তানের কথা এখানে আনা থেকে বিরত থাকলাম। অতীতেও বলেছি আজও বলছি যে, আমরা যুদ্ধবাজ জাতি নই। আমরা মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু সাথে সাথে একথাও আমরা বলবো যে, মিয়ানমার যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে সেখানে বাংলাদেশ যেনো কোন ছাড় না দেয়। বাংলাদেশকেও সমপরিমাণ শক্ত ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে যত বিরোধিতাই থাকুক না কেন, রোহিঙ্গা মুসলিম ইস্যুতে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, এই ইস্যুতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের জন্য বিশ্বব্যাপী লবিং করুন। দেশের ১৬ কোটি মানুষ আপনাদের পেছনে থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।