রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে নির্বাচনী আমেজ নেই। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ওই ৫ ইউনিয়নে প্রথম ধাপে আগামী ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ ইউনিয়নে ইতোমধ্যে তিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ২টি ইউনিয়নে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারাও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন না। বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে অঘোষিতভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাদের কোন প্রচার-প্রচারণা নেই। এমনকি তাদের কোন পোস্টার চোখে পড়ছে না। এ কারণে নির্বাচনী আমেজ এসব ইউনিয়নে নেই বললেই চলে। তবে সদস্য পদপ্রার্থীরা তাদের মতো করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি, কুশলি, পাটগাতি, ডুমুরিয়া ও গোপালপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ মার্চ। বর্ণি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম, কুশলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. খালিদ হোসেন ও পাটগাতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মিলন মোল্লা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শৈলেন্দ্রনাথ বাইন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুষেন সেন নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ডুমুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাসমত আলি শেখ ও মৃনাল কান্তি বিশ্বাস নামে মাত্র দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু প্রচার-প্রচারণায় তারা মাঠে নামেন নি। তারা নিজেদের পোস্টার ছাপেন নি। নির্বাচন থেকে ওই দু’প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন বলেও এলাকায় প্রচার রয়েছে। এ অবস্থায় গোপালপুর ও ডুমুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুষেন সেন ও কবির আলম তালুকদার নির্বাচনে একতরফা জয়লাভ করতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি টুঙ্গিপাড়ার এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। এমন ধারণা থেকেই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জানিয়েছেন। তবে ৫ ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এবং সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ভাটা পড়ায় এলাকায় নির্বাচনী আমেজ নেই বলে মনে করছেন ভোটাররা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।