Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসিয়ানের বক্তব্য থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করলো মালয়েশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা স¤প্রদায়ের উপর সামরিক বাহিনীর নিধনযজ্ঞ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান। রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ না করে এই ঘটনাকে তারা ‘অভ্যন্তরীণ জাতিগত সহিংসতা’ বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে তারা জানায়, এই সহিংসতা ইতিহাস অনেক পুরাতন। এই সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানায় তারা।
শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পাশপাশি আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকের পর এই বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি পুলিশ ক্যাম্পে সহিংতার পর রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয় সামরিক বাহিনী। রোহিঙ্গাদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায় তারা। প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ পালিয়ে আসেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে রোহিঙ্গাদের উপর চালানে নির্যাতনের দৃশ্য। জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘ ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করলেও রোহিঙ্গাদের বিষয়টা অনেক এড়িয়েই গেছে আসিয়ান।
আসিয়ানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সরকারি বাহিনীর চালানো নিধনকান্ড নিয়ে দেয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের বক্তব্য থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে মালয়েশিয়া। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি আনিফা আমান বলেন, আসিয়ানের বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। কিন্তু আসিয়ান চেয়ারম্যানের বক্তব্যে সেটার প্রতিফলন ঘটেনি। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে এখানে।’ তার দাবি, বাস্তব পরিস্থিতিকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে আক্রান্তদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করে কোনো কথা বলা হয়নি।
আনিফা বলেন, ২৫ আগস্ট শুরু সরকারি বাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ পালিয়ে এসেছে। খুন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অনেকে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। এতে করে এমন মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে যা কোনওভাবেই বিশ্ব এড়িয়ে যেতে পারে না।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও নিজের বক্তব্যে আনিফা মিয়ানমার সরকারের প্রতি এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত স¤প্রদায়ের সুরক্ষায় দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়া আনান কমিশসনের সুপারিশ বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে মিয়ানমার। সামনেও তাদের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • Altaf Hossain ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
    good
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ