Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা বিতাড়নের অস্ত্র সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাতিসংঘের এক অনুসন্ধানী দল জানিয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নারীরা ধারাবাহিকভাবে সে দেশের সেনাবাহিনীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে শরণার্থী শিবিরে গিয়ে সেইসব ভয়াবহ যৌন নিপীড়নের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছে সহিংসতা ও যৌন নিপীড়ন ঘটনা তদন্তে গঠিত জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দল। অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজ এবং ভারতের এনডিটিভিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও তাদের সা¤প্রতিক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ধারাবাহিকভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা তুলে এনেছে। এদিকে জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইন থেকে তাড়ানোর অস্ত্র হিসেবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণকে ব্যবহার করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সা¤প্রতিক মানবাধিকার হরণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা তদন্তে ওই অনুসন্ধানী দল গঠন করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনরে উদ্যোগে ওই দল তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চলমান তদন্তকে ভিত্তি করে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আয়েশা (ছদ্ম নাম) নামের এক নারীর বিপন্নতার কথা। আরও অনেকের সঙ্গে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসেন আয়েশা। ২০ বছর বয়সী এই নারী এসেই লেডা শরণার্থী শিবিরের চিকিৎসাকেন্দ্রের শরণাপন্ন হন। তার গ্রামে যখন সেনাবাহিনী প্রবেশ করে গ্রামবাসী পালাতে শুরু করে। আয়শা এএফপিকে বলেন, সেনারা এসেই বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে থাকে। সবাই পালাচ্ছিল। কিন্তু আমাকে তো আমার সন্তানের কথা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, সেনা পোশাক পরে ৫ জন এসেছিল তার বাড়িতে। এদের একজন তাকে ধর্ষণ করে আর বাকীরা তা চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ