Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেহাল সড়কের হাল ফেরাতে ২০০ কোটি টাকা চেয়েছে সওজ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সা¤প্রতিক বন্যা আর অতিবৃষ্টিতে ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক মেরামতে জরুরি ভিত্তিতে ১৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। গত বছর বন্যা এবং অতিবৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে ১২০ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা চেয়েছিল সওজ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বন্যায় সড়কের কোথাও আংশিক ভেঙে গেছে। অনেক জায়গায় পুরো সড়ক হয়েছে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেতু, কালভার্ট ও ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কও। অনেক জায়গায় পানির তোড়ে ভেসে গেছে সেতু ও কালভার্ট। সড়ক ও জনপথ বিভাগ শুধু তাদের আওতাধীন সড়কের ক্ষতির খতিয়ান দিয়েছে। এর বাইরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে থাকা অনেক রাস্তা ও এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৯টি অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জেলার ২৫৫টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য সওজের পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ উইংয়ে পাঠিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ২ হাজার ৩০ দশমিক ১৮ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের হিসাব দিলেও এটা প্রাথমিক চিত্র বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা জানান, বর্ষা মৌসুম চলে যাওয়ার পর এ বছরের নভেম্বরে সারাদেশের সড়কগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। তখন পুরো চিত্র পাওয়া যাবে। এখন প্রাথমিকভাবে এই অর্থ চাওয়া হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান জানান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা আছে, সেসব জায়গা বন্যায় ভেসে গেছে সেসব জায়গা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেখানে ড্রেনেজ, কালভার্ট যাই লাগুক যেন সঠিকভাবে করা হয়। তিনি বলেন, বন্যা যখন পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে, বর্ষাটা যখন চলে যাবে, তখন আমরা স্টাডি করে দেখব যেখানে পানির প্রবাহটা গেছে সেখানে ড্রেনেজে স্ট্রাকচার ব্রিজ-কালভার্ট করার প্রয়োজন আছে কি না? যদি থাকে তাহলে সে কাজ করার জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কে যানবাহন চলাচল করায় ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে জানান সওজের প্রধান প্রকৌশলী। প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের রাস্তাগুলো বিটুমিনাস। বিটুমিনের প্রধান শত্রæ হল পানি। পানি যদি দীর্ঘ সময় জমে থাকায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেহেতু বন্যা হয়েছে, রাস্তাগুলো ফ্লাডেড হয়েছে। রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় ছিল, এর উপর দিয়ে আবার যানবাহন চলাচল করলে ক্ষতি হয় বেশি, এবারও তাই হয়েছে। গত ৫-৬ মাস ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও বৃষ্টিপাত শেষ হয় নাই। এর প্রভাব রাস্তায় পড়েছে। সওজ সূত্র জানায়, প্রতি বছর বর্ষায় রাস্তা ও ব্রিজ কালভার্টের কিছু ক্ষতি হয়। এবার বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সে তুলনায় অনেক বেশি। বহু জায়গায় সড়ক ধসে গেছে। বহু জায়গায় রাস্তা পুরোপুরি ওয়াশড আউট হয়ে গেছে। মাঝখানে রাস্তা নাই, ব্রি বানাতে হবে এমন অবস্থাও হয়েছে। এজন্য বাড়তি মেরামত কাজের প্রয়োজন হবে। এবার উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা এবং সিলেট অঞ্চলে সড়কের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এ কারনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিলেট অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বেশি ৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রংপুরের জন্য চাওয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৭৪ লাখ , রাজশাহীর জন্য ৩৭ কোটি ৬ লাখ টাকা, গোলাপগঞ্জের জন্য ৪৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার, ঢাকার জন্য ২ কোটি ১০ লাখ, ময়মনসিংহের জন্য ১২ কোটি ৮৪ লাখ, খুলনার জন্য ৩ কোটি ৫ লাখ, কুমিল্লার জন্য ৫০ লাখ, চট্টগ্রামের জন্য ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। সওজের প্রতিবেদনে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, নোয়াখালী, ফেনী, ল²ীপুর, চাঁদপুর, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার সড়কগুলোর হিসাব দেওয়া হয়নি।



 

Show all comments
  • আজিজুল হক ক্বাসেমী ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৫৫ পিএম says : 0
    নেত্রকোনা সুসং দুর্গাপুর যাওয়ার পথে রাস্তা অনেক খারাপ যা বলার ভাষা পাচ্ছিনা শ্যামগন্জ থেকে দুর্গাপুর প্রায় ৩০/৩৫ কিলোমিটার পথ যাওয়ার মত রাস্তা নেই বল্লেই চলে ,সুতরাং উক্ত বিষয়ে কিছু লিখা হওক |
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ