Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে রোহিঙ্গারা

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তথাকথিত সংযোগ রয়েছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যে দাবি করেছে তা সঠিক নয় বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করেছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ওই হলফনামা দাখিল করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো যোগ নেই, বরং তিব্বত বা শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের মতোই তাঁরা। রোহিঙ্গারা জানায়, ভারত সরকার তাদের সন্ত্রাসী বলে যে তকমা দিচ্ছে তাও ভিত্তিহীন। তা ছাড়া ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জঙ্গি-সংযোগের কোনো প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির বিরোধিতা করে রোহিঙ্গারা ওই হলফনামিয় স¤প্রতি জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিধানসভায় বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করা হয়। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মরিচ ও স্ট্যান গ্রেনেড ব্যবহার করছে দিল্লি। ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বিশাল স্পর্শকাতর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে চিলি ও স্ট্যান গ্রেনেড। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, এর প্রেক্ষিতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রুড অ্যান্ড ক্রুড অর্থাৎ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নয়া দিল্লিতে ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গাদের আমরা মারাত্মকভাবে আহত করতে বা তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে চাই না। তবে আমরা ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গাদের সহ্য করবো না। তাই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হলে, শত শত রোহিঙ্গা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের থামানোর জন্য আমরা গ্রেনেড ব্যবহার করবো। এসব গ্রেনেডে রয়েছে মরিচের গুঁড়ো। এদিকে, মেহবুবা মুফতি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় উল্লেখ করেন, জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যদিও সীমান্তে নাশকতামূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ৩৮ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করা হয়েছে। স¤প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে, ভারতে অনুপ্রবেশকারী প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পক্ষ থেকে দুই রোহিঙ্গা মুসলিম সরকারের ওই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন। আগামী ৩ অক্টোবর ওই মামলার শুনানি হবে। আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, ২৫ শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নৃশংস অভিযান শুরুর পর কমপক্ষে চার লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়েছে। মিয়ানমারের দাবি এ অভিযানে কমপক্ষে ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই রোহিঙ্গা উগ্রবাদী। এ অভিযানকে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট আরো লিখেছে, এমনিতেই বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। সেখানে এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে জায়গা করে দিতে গিয়ে এক রকম লড়াই করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে এতে ভারতে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। তা হলো, রোহিঙ্গাদের এই প্রবাহ চড়িয়ে পড়তে পারে এ অঞ্চলজুড়ে। আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট, হিন্দুস্থান টাইমস।



 

Show all comments
  • Aman ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৪৯ এএম says : 0
    ভারত স্বার্থ ছাড়া কিছুই করেনা এটা সবারই জানা, তবে আল্লাহর রহমত ইন্দিয়ার বাপও ঠেকাতে পারবেনা রুহিংগাদের বিজয় আসবেই ইনসা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ