নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রকৃতি বাধ সাধায় প্রথম রাউন্ডে মাত্র একটি ম্যাচ দেখেছিল জয়-পরাজয়ের মুখ। দ্বিতীয় রাউন্ডেও ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই বিরুপ প্রকৃতি। বগুড়া ও কক্সবাজারে তো গতকাল মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। রাজশাহীতে ক্রিকেটের সাথে প্রকৃতির চলেছে লুকোচুরি খেলা। একমাত্র খুলনা আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিই দেখেছে আলোর মুখ।
বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সেখানে প্রতাপ দেখাচ্ছে স্বাগতিক খুলনা বিভাগ। সারা দিনে ন’জন বোলার ব্যবহার করেও খুলনার ৩টির বেশি উইকেট ফেলতে পারেনি বরিশাল বিভাগ। উল্টো বোলারদের তুলোধুনো করে প্রথম দিনেই আব্দুর রাজ্জাকের দল তুলে নিয়েছে ৩৪৮ রান। তুষার ইমরান আউট হয়েছেন ১৩২ রান করে, ১৬৫ রানে অপরাজিত আছেন মেহেদী হাসান।
খুলনার শুরুটা অবশ্য ছিল নড়বড়ে। দলীয় ৪৬ রানের মধ্যে ফেরেন দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান আনামুল হক। প্রথম রাউন্ডে এই দু’জনেই গড়েছিলেন ২৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি। তাদের ফেরার পর ২২ গজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন মেহেদী ও তুষার। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ২৭০ রানের জুটি। শেষ বিকেলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় তানভির ইসলামের বলে আবু সায়েমর হাতে তুষারের ক্যাচ দেয়ার মাধ্যমে। এর আগে জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান তুলে নেন প্রথম শ্রেণীতে নিজের ২৪তম সেঞ্চুরি। ১৯৬ বলে ১৬টি চার ও ১ ছক্কায় ১৩২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। গেল মৌসুম যেখানে শেষ করেছিলেন এবার মনে হচ্ছে সেখান থেকেই শুরু করেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ডানহাতি। এই ধারা অব্যহত থাকলে চলতি মৌসুমেই হয়ত প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তুষার।
তুষার ফিরলেও ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকের দিকে ছুটছেন মেহেদী হাসান। ইতোমধ্যে নিজের আগের সেরা ইনিংস (১৪০) পেরিয়েছেন। ২৬১ বলের মোকাবেলায় ১৫ চার ও ১ ছয়ে অপরাজিত আছেন ১৬৫ রানে। মোহাম্মাদ মিথুনকে নিয়ে আজ আবার দিনের গোড়াপত্তন করবেন ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজশাহী বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি পড়ে বৃষ্টির বাধায়। খেলা শুরু হয় বেলা আড়াইটার পরে। এজন্য ব্যাট হাতে খুব সাবধানী হতে হয়েছে চট্টগ্রামকে। ৪৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারালেও তাদের সংগ্রহের খাতায় জমা পড়েছে মাত্র ৬৭ রান। ১০৭ বলে মাত্র ১৮ রান করে সাকলাইন সজিবের বলে আউট হন ইমরুল করিম। তার চেয়েও সাবধানী ব্যাটিং করছেন তাসামুল হক। তার সংগ্রহ ৮৫ বলে ১০ রান। ১০ ওভারে মাত্র ৪ রানের খরচায় মাহবুবুলের (৪৩ বলে ২২) উইকেটটি নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম, যার মধ্যে ৬টিই ছিল মেডেন।
বাজে আউটফিল্ডের কারণে দিনের বাকি দুই ম্যাচের ভাগ্যে জোটেনি একটা বলও। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার ম্যাচের মত কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগের ম্যাচেও পুরো দিনের খেলা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা-বরিশাল (১ম স্তর)
খুলনা ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ৩৪৮/৩ (আনামুল ৩৬, মেহেদী ১৬৫*, তুষার ১৩২, মিথুন *; রাব্বি ১/৪৫, তানভির ২/৫৪)।
রাজশাহী-চট্টগ্রাম (২য় স্তর)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৪৩ ওভারে ৬৭/২ (ইমরুল ১৮, মাহবুবুল ২২, তাসামুল ১০*, ইয়াসির ৮*; সানজামুল ১/৪, সাকলাইন ১/৭)।
(১ম দিন শেষে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।