পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারোয়ার-তমিম গ্রুপের এক জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্য্যাব-৩। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার নাম ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে জিব্রিল। র্যাম্প মডেল থেকে তিনি জঙ্গি কমান্ডার হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাকে ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে, বনানী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান,গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন,েেমহেদী হাসানের বাবার নাম খোরশেদ আলম। তার বাড়ি পটুয়াখালির বাউফলের রাজাপুরে, তিনি দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছেন। বিবিএ সম্পন্ন করার পর কিছুদিন র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ সালে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। এ গ্রুপের দুটি অপারেশন ব্রিগেড রয়েছে। একটি ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড› ও অন্যটি ‹ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী›। এর মধ্যে মেহেদী ‹ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনীর› কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্রিগেডটি বদর স্কোয়াডের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করতো।
তিনি আরও বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রোস্তোরাঁয় হামলা ও বিভিন্ন জঙ্গি অভিযানে বদর স্কোয়াডের বেশির ভাগ সদস্য নিহত ও আটক হওয়ার পর ব্রিগেডটি দুর্বল হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যাকআপ ব্রিগেড হিসেবে থাকা ‹ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনীর› ঢাকা-টাঙ্গাইল-রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় সদস্য সংগ্রহ ও শক্তি সঞ্চয়ের কাজ শুরু করে। মেহেদী এসব সদস্যদের আনুগত্য পরীক্ষার জন্য শপথ (বাইয়াত) পাঠ করাতো। আর এর ভিডিও ধারণ করে তাদের চ্যানেলগুলোতে পাঠাতো।
র্যাবের সিও বলেন, সারোয়ার-তমিম গ্রুপের উচ্চ ও নিম্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মেহেদীর যোগাযোগ ছিল। তার সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও যোগাযোগ ছিল। তার মাধ্যমে অনেক সময় জঙ্গিবাদের অর্থ এসেছে বলে জানতে পেরেছি।
র্যাব জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, র্যাম্প মডেল হওয়ার ইচ্ছা ছিল ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিলের। এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশও নেন তিনি। তবে ২০১৫ সালে সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সংস্পর্শে পাল্টে যায় তার জীবন। র্যাম্প মডেল থেকে হয়ে ওঠেন জেএমবির ‘ব্রিগেড আদ-দার-ই কুতনি’র কমান্ডার।
মেহেদীকে আটকের সময় তার কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, মোবাইল ও পাসপোর্টসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জব্দ করা হয়।
জেএমবিতে যোগদানের পর তার কাজ ছিল কর্মী সংগ্রহ করা ও ‘হিজরতে’ সহযোগিতা করা। সুন্দর চেহারা ও মোটিভেশন ক্ষমতার কারণে দ্রæত ‘ব্রিগেড আদ-দার-ই-কুতনী’ কমান্ডারের পদ পান আবু জিব্রিল।
লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, জেএমবির ‘ব্রিগেড আদ-দার-ই কুতনি’-এর কমান্ডার ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিল কর্মী সংগ্রহের পাশাপাশি ‘আইটি এক্সপার্ট’ হিসেবে ঊর্ধ্বতন জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাংগঠনিক কাজগুলো অনলাইনে পরিচালনা করতেন। তার বাসা থেকে এ রকম যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। তার সঙ্গে হলি আর্টিসানে হামলাকারী ও কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানার জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে আবু জিব্রিল র্যাবকে জানিয়েছে, রাজশাহী, টাঙ্গাইল ও ঢাকায় বেশ কয়েকজন নতুন কর্মীকে বাইয়্যাত (শপথ) পাঠ করিয়েছেন তিনি। জেএমবির ‘ব্রিগেড আদ-দার-ই কুতনি’তে আনসার (সাহায্যকারী). মুজাহির (যোদ্ধা), সালাফি আলেম বোর্ড এবং অর্থ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি রয়েছে বলে জানায়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।