বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীতে দক্ষিণখান থেকে গতকাল ভোরে অভিযান চালিয়ে ‘আল্লাহর দল’ (আল্লাহর সরকার) জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলো- সিরাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, এসএম হাফিজুর রহমান সাগর ও শফিউল মোযনাবীন তুরিন।গ্রেফতারকৃতরা তাদের সংগঠনের আর্থিক মূলধনের বড় একটি অংশ নামে-বেনামে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছে। দেশে নাশকতা করে সরকার উৎখাতের কাজে এসব টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। গতকাল দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ইসলামের অপব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন এবং ভ্রান্ত ইসলামী সংগীতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উগ্রবাদে উদ্ধুদ্ধ করত। জঙ্গি কার্যক্রমকে জোরদারের জন্য আর্থিক কাঠামো তৈরি করেছে। সংগঠনটির যাবতীয় আর্থিক মূলধনের ড় একটি বঅংশ নামে-বেনামে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে র্যাব।
গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ১৯৯৯ সালে মতিন মেহেদীর কাছে বায়াত গ্রহণের মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। ২০১৪ সালে যুগ্ম অধিনায়ক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে একই দায়িত্বে বহাল আছে সিরাজুল। সংগঠনটির মামলা মোকাদ্দমাসহ বিবিধ বিষয়াদির ওপর তদারকি করেন।
১৯৯৭ সালে গাইবান্ধার এক জঙ্গি সদস্যের মাধ্যমে বর্ণিত জঙ্গি সংগঠনে যোগদান করে মনিরুজ্জামান।
২০১৯ সালে ‘উপ-অধিনায়ক’ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং বর্তমানে একই দায়িত্বে বহাল আছে। এই জঙ্গি সংগঠনটির আর্থিক ব্যবস্থাপনা, দাওয়াতি ব্যবস্থাপনা, রিত্রæটিংসহ বিভিন্ন বিষয়াদি দেখাশোনা করত মনিরুজ্জামান।
গ্রেফতার হাফিজুর রহমান সাগর খুলনার খালিশপুর থানায় ‘আঞ্চলিক নায়ক’ এবং পরে ‘জেলা নায়ক’ পদে দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করত। ২০১০ সালে তার দুই বন্ধুর মাধ্যমে ‘আল্লাহর দল’ জঙ্গি সংগঠনে যোগদান করে। ২০১৭ সালে নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করে সে।
র্যাব অধিনায়ক সারওয়ার-বিন-কাশেম আরো জানান, ১৯৯৫ সালে মতিন মেহেদীর নেতৃত্বে ‘আল্লাহর দল’ নামক জঙ্গি সংগঠনটি গড়ে ওঠে এবং ২০১৪ সালে মতিন মেহেদীর গোপন নির্দেশে এটি ‘আল্লাহর সরকার’ নামকরণ করা হয়। তাদের মতে, বর্তমানে যুদ্ধাবস্থা চলছে বিধায় তারা ঈদ, কোরবানি, হজ পালন করে না, জুমার নামাজ আদায় করে না এবং প্রতি ওয়াক্তে শুধু দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। এমনকি ইসলামের কালেমার সাথে শেষ নবীর নাম যুক্ত করার ক্ষেত্রেও তাদের ভিন্নমত রয়েছে। তারা মনে করে, বর্তমান সময়ের জন্য মতিন মেহেদী আল্লাহর বিশেষ দূত হতে পারে।
এই সংগঠনটি গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের সংবিধানে বিশ্বাসী নয়।
তাদের মূল লক্ষ্য অনুকূল পরিবেশে দেশের মধ্যে নাশকতায় লিপ্ত হয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা এবং তাদের নিজেদের কাঠামো অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।