নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নির্বাচনী জটিলতা মাথায় নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই এজিএম ও ইজিএম করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষের পথে। নতুন নির্বাচনের জন্য বিসিবি যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই আইনী জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছে তারা। গেল ২৬ জুলাই বিসিবির গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত এক মামলার রায়ের উপর ভিত্তি করে ১৬ সেপ্টেম্বর সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশে বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সভা আয়োজনের প্রস্তুতিসহ বিসিবির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নোটিশে বিসিবির ২০১৩-র নির্বাচন এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে অবৈধ দাবিও করা হয়েছে।
পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ অনুযায়ী আগামী মাসের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিসিবির এজিএম ও ইজিএম। ২ অক্টোবর রেডিসন বøুতে অনাঢ়ম্বর আয়োজনের এই এজিএম ও ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে বিসিবি সকল কাউন্সিলরকে ২৯ আগস্ট চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু আইনী নোটিশ পাওয়ার পর এখন কি এজিএম ও ইজিএম করতে পারবে বিসিবি? জানা গেছে, এমন প্রশ্ন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুললেও আইনী জটিলতা স্বত্বেও বিসিবির বর্তমান কিমিটি নির্দিষ্ট সময়েই এজিএম ও ইজিএম করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ইতোমধ্যে বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বারিধারা ড্যাজলার্সের কাউন্সিলর সাবের হোসেন চৌধুরী ২০১২ সালে সংশোধিত গঠনতন্ত্র এবং সে অনুযায়ী করা কাউন্সিলর তালিকাকে অবৈধ উল্লেখ করে বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান এমপি কে চিঠি দিয়েছেন। আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি বর্তমান কাউন্সিলরদের দিয়ে এজিএম ও ইজিএম না করার আহŸান জানিয়েছেন পাপনকে। নিজ ক্লাব বারিধারা ড্যাজলার্সের প্যাডে লেখা চিঠিতে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী তিনি কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। সভায় যোগদানের যে চিঠি তাঁকে বা অন্যদের দেয়া হয়েছে, সেটা যথাযথ নয়। কারণ, যে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এসব কাউন্সিলর ঠিক করা হয়েছে এবং তার উপর ভিত্তি করে ২০১৩ সালে বিসিবির নির্বাচন হয়েছে, সেটি অবৈধ। পাপনের কাছে তাঁর অনুরোধ, বর্তমান কাউন্সিলরদের নিয়ে যেন বিসিবি বার্ষিক সভা ও বিশেষ সভা আয়োজন না করে। কারণ, সেটি হবে আদালতের রায়ের পরিষ্কার অবমাননা। বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর পাঠানো চিঠির পর বিষয়টি আরও গোলমেলে হয়ে গেছে। এর আগে বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের দায়ের করা মামলায় বিসিবির বর্তমান কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়। কোর্ট বিসিবির বর্তমান কমিটি এবং ২০১৩ সালের গঠনতন্ত্রকে অবৈধ ঘোষনা করার ফলে বর্তমান কমিটি সেটি আইনগতভাবে মোকাবেলা করবে বলে জানান বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু খুঁটিয়ে দেখছি। সবই আইনগতভাবেই মোকাবেলা করবো। আমাদের আইনজীবিরা বিষয়টি দেখবেন।’ সুজন আরও বলেন, ‘আগামী ২ অক্টোবর এজিএম ও ইজিএম আয়োজন করার সব পরিকল্পনাই নিয়ে রেখেছে বিসিবি। সে উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
এজিএম ও ইজিএম নিয়ে যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কি বিসিবি ২০১২ সালের পুরনো গঠনতন্ত্রে ফিরে যাবে? নাকি, বর্তমান গঠনতন্ত্রকে এজিএম ও ইজিএমে পাশ করিয়ে বৈধতা দিবে। যদি তাও না হয় তবে কি বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে অ্যাডহক কমিটিতে ফিরে যাবে বিসিবি? এসব প্রশ্ন আরও জটিলতার সৃষ্টি করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।