মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ও তার সরকার রাখাইন রাজ্যের ভয়াবহ রোহিঙ্গা পরিস্থিতির বিষয়ে বালিতে মাথা গুঁজে রেখেছেন বলে সমালোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। লন্ডন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জেমস গোমেজ মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সু চির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গোমেজ বলেন, অং সান সু চি তার বক্তব্যের মাধ্যমে আবারও দেখিয়েছেন যে, তিনি ও তার সরকার রাখাইন রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিষয়ে বালিতে তাদের মাথা গুঁজে রেখেছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক পরিস্থিতির অবনতিতে কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দেশটির কার্যত নেতা অং সান সু চিকে প্রদত্ত সম্মাননা ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ একটি ট্রেড ইউনিয়ন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সময় গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারের পুরস্কার হিসেবে সু চিকে বেশ কিছু সম্মাননা দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের কিছু প্রতিষ্ঠান। এখন তারা একযোগে সেগুলো পর্যালোচনা বা বাতিলের কথা ভাবছে। ঠিক সে সময়ে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে চুপ থাকায় বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার মধ্যেই গত মঙ্গলবার এই প্রথম মুখ খোলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই নেত্রী। অং সান সু চি’র ভাষণ নিয়ে অনেকের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও, তার ভাষণে কিছু কথা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকে অভিযোগ করছেন, সু চি বাস্তবতা এড়িয়ে গেছেন। টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে অং সান সু চি বলেছেন, চার লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান কেন পালিয়ে গেছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তার সরকারকে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যখন বলছে যে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে, তখন রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সু চি অবগত না থাকার কথা বেশ হতবাক করেছে। মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, অধিকাংশ মুসলিম পালিয়ে যায়নি এবং সহিংসতা বন্ধ হয়ে গেছে। এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।