মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়া লাগাতার যুদ্ধের হুমকি দেয়া বন্ধ না করলে দেশটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এখনো সময় আছে সংযত হওয়ার। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে এমন হুমকি দেন তিনি। এদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে দেশটির কাছে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করে চীন ও রাশিয়া। গত সোমবার দেশটির পাশে দুই সাগরে এই নৌ-মহড়া শুরু হয়। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ভস্নাদিভস্তকের উপকূলে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সীমান্তের কাছে পিটার দ্য গ্রেট উপসাগর অবস্থিত অপরদিকে ওখটস্ক সাগরের অবস্থান জাপানের উত্তর দিকে। এই দুই সাগরেই চলে মহড়া। মহড়াটি চলতি বছরে চীন-রাশিয়ার যৌথ মহড়ার দ্বিতীয় পর্ব। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যখন টানটান অবস্থা বিরাজ করছে ঠিক সেই সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে উত্তর কোরিয়ার আকাশে মহড়া দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার আকাশে চারটি এফ-২৫ যুদ্ধবিমান ও দুটি বি-ওয়ান বোমারু বিমান উড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই খবর জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উত্তর কোরীয় সরকারের প্রতি কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। বক্তব্য রাখার সময় তার পাশে ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। তাই স্বাভাবিকভাবেই ওয়াশিংটনের হুমকির পর আলোড়ন ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশন। উত্তর কোরিয়ার লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পরমাণু পরীক্ষায় চিন্তিত প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। পরিস্থিতি নিয়ে এই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারপরই এসেছে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের হুমকি। জানা গেছে, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন থেকেই কিম জং-উনকে অবরুদ্ধ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিউবা ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাদের ওপরও চাপ সৃষ্টি করা হবে। কারণ তীব্র মার্কিনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এই দুই রাষ্ট্র। তবে চীনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। যদিও উনের পরমাণু পরীক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। জাতিসংঘ সাধরণ পরিষদের অধিবেশনে বেইজিং কোনদিকে অবস্থান নেয় সেটাই এখন দেখার বিয়য়। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মার্কিন হুমকিকে বিন্দুমাত্র গ্রাহ্য করছেন না উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। তিনি যেভাবে দেশের পরমাণু বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন, তাতে সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। আশঙ্কা জাতিসংঘের সংঘের অধিবেশন থেকেই পিয়ংইয়ংকে দেয়া হুমকি পর আরও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠতে চলেছেন উন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া হুঁশিয়ারিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়াকে বারবার এই বিষয়ে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। এমনকি, আলোচনার মাধ্যমেও সমস্যা সমাধান করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তা না করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞা না মানলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো ছাড়া আর কোনো উপায় খোলা থাকবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স, সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।