Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুসলিমদের সাথে কথা বলতে চান অং সান সু চি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১৬ পিএম | আপডেট : ২:২৮ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, মুসলিমরা কেন চলে যাচ্ছে সেটি খুঁজে বের করার জন্য তিনি তাদের সাথে কথা বলতে চান।

রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত ২৫ আগস্ট নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর জাতির উদ্দেশ্যে এটাই ছিল মিজ সু চি'র প্রথম ভাষণ।

মিজ সু চি তাঁর ভাষণে সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছেন।

মিজ সু চি'র এ ভাষণ নিয়ে বিশ্ব নেতাদের মাঝে প্রবল আগ্রহ ছিল। মিয়ানমারের নেত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণে ভীত নন। রাখাইন অঞ্চলে সংঘাতের নিরসনের জন্য একটি টেকসই সমাধানের উপর জোর দেন মিজ সু চি।

টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে- এ ধরনের খবর শুনে আমরা উদ্বিগ্ন।’

কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ হবে মিজ সু চি'র জন্য শেষ সুযোগ।

কিন্তু এ 'শেষ সুযোগ' বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সেটি ব্যাখ্যা করেননি জাতিসংঘের মহাসচিব।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপর অস্ত্র বিক্রিসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবরোধ আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে মিজ সু চি'র এ ভাষণে নতুন কিছু আসে কি না সেদিকে অনেকের নজর ছিল।

বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস কয়েকদিন আগে বিবিসি'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চাবিকাঠি অং সান সু চি'র হাতেই রয়েছে। সেজন্য মিজ সু চি-কে তাঁর পুরনো ভূমিকায় ফিরে যেতে হবে।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, মিজ সু চি তাঁর পুরনো ভূমিকায় ফিরে যাবেন, নাকি বর্তমানে যে ভূমিকা পালন করছেন সেটি চালিয়ে যাবেন, সে সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হবে।
গত তিন সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে পালিয়ে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

এই ভাষণের মাধ্যমে চলমান সংকটের সমাধান আনার জন্যে সু চি'র উপর চাপ তৈরি হয়েছিল বিশ্বজুড়ে।

এদিকে, সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে অং সান সু চিকে নিজের নেতৃত্ব প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছিল ফ্রান্স ও ব্রিটেন।

অগাস্ট মাসের ২৫ তারিখে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সে হামলার জন্য রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে দেশটির সরকার।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যেভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সেটিকে 'জাতিগত নির্মূলের' সাথে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘে চলমান সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেননি মিজ সু চি। তিনি বলেছিলেন, অধিবেশনে যোগ না দিয়ে মিয়ানমারে ভাষণ দেবেন।

কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মিন অং হাইং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য মিয়ানমারের ভেতরে সবাইকে আহবান জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনী মনে করে, রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গারা একটি শক্ত ঘাটি গড়ে তুলতে চাইছে। যদিও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করা হয়না। সেনাবাহিনী এবং সরকার রোহিঙ্গাদের 'বাঙালী' মনে করে।

শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এ কথাও বলেছিলেন যে, রোহিঙ্গারা কখনোই মিয়ানমারের জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সূত্র : বিবিসি।



 

Show all comments
  • Shahidul Islam Shahid ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:২৫ পিএম says : 0
    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুসলিমদের সাথে কি ব্যাবহারটাই না আপনি করেছেন তা সারা বিশ্ববাসী দেখেছে,,আবার নতুন করে কি ফন্দি একেছেন,,তা আল্লাহ পাকই ভাল জানেন..
    Total Reply(0) Reply
  • Jahirul Islam ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:২৬ পিএম says : 0
    গণহত্যার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে এটি সুচির কৌশল মাত্র।তিনি কি এতদিন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন?ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Hasibul Hasan ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:২৬ পিএম says : 0
    why so late? no need to talk now, establish them very immediately in the same places.
    Total Reply(0) Reply
  • Farid Uddin ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৫২ পিএম says : 0
    এইটা দিয়ে মুসলিদের নির্যাতনের পথ আরো প্রশস্ত করতে চায় মিয়ানমারের এই মহিলা তার কথা কখনই বিশ্বাস করা যায় না তাই রুহিঙ্গাদের জন্য স্বাধিন দেশ চাই
    Total Reply(1) Reply
    • shaukaut ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:১২ পিএম says : 4
      shottokotha bolechen israel er moto tader jonno alada jaygadilei er shomadhan hoeejabe thanks from venezuela.
  • খাইরুল বাশার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:০৩ পিএম says : 0
    আমাদের দাবী এই খুনী সুচীকে ফাঁসী দেওয়া হোক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ