নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠকে ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে ডিফিকাল্ট জায়গা বলে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও দেশের ইতিহাসের অবিসংবাদিত সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। স¤প্রতি এক আলাপচারিতায় তামিম বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা হলো ওপেনারদের জন্য সবচেয়ে ডিফিকাল্ট জায়গা। নতুন বল অনেক ঝামেলা করবে। বল পুরনো হলে তুলনামূলকভাবে একটু সহজ। তার পরও আমার কাছে দক্ষিণ আফ্রিকায় রান করা কঠিনতম কাজ, বিশেষ করে টপ অর্ডারের জন্য। তাই সেখানে যদি রান করতে পারি, বড় ইনিংস খেলতে পারি, সেটা আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে, দলেরও ভালো হবে। আমি সে চেষ্টাই করব।’
তামিম আরও বলেন, ‘আমার স্কিলের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। যদি সেট হতে পারি, এমন ইনিংস খেলব যেন সবার মনে থাকে। শুধু আমি না, অন্য যে কেউ- সৌম্য, ইমরুল, মমিনুলদের কেউও যদি বড় ইনিংস খেলে, সেটা দারুণ ব্যাপার হবে। ওদের দেখেও অনেকে শিখবে। গত সাত-আট বছরে আমরা টপ অর্ডাররা এত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হইনি, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের জন্য এমন একটা অবস্থা তৈরি আছে।’
তবে কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য স্কিলের সাথে যে ভাগ্যও লাগে- এই কথা মনে করিয়ে দিতেই তামিম বলেন, ‘তা তো বটেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ করার পথে একবারও মনে হয়নি যে আউট হতে পারি। কিন্তু একটা বল সামনে থেকে লাফিয়ে উঠে গøাভসে লাগল, ওটা তো নাও হতে পারত। তবে ভাগ্যকে দোষও দিই না, ওই বলটা তো আগেও পেতে পারতাম। আর ভাগ্য নিয়ে পড়ে থাকলে আমি সামনের দিকে এগোতেও পারব না।’
সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজের পর টেস্টে আর কোনো সেঞ্চুরি নেই তামিমের। তবে জানালেন, এ নিয়ে আক্ষেপ নেই তার, ‘ওয়ানডেতে আছে। হ্যাঁ, টেস্টে নেই। তবে আমি যেভাবে ব্যাটিং করছি, তাতে আমি গর্ববোধ করি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই। বরং উল্টোভাবে বলতে পারি, ওই ভালো দুটি বল তো ইনিংসের শুরুতেও পেতে পারতাম।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক ঢাকা টেস্ট জয়ের পেছনে বড় অবদান রাখা ইনিংস দুটিকে তামিম দেখছেন সেঞ্চুরির সমান মর্যাদায়ই। তিনি বলেন, ‘ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসের মূল্য আমার কাছে সেঞ্চুরির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তবে সেঞ্চুরি তো একটা ল্যান্ডমার্ক, ঠিক না। অত কষ্ট করে অত দূর যাওয়ার পর সেঞ্চুরি অনেকটা ‘আইসিং অন দ্য কেকে’র মতো ব্যাপার। তবে দুঃখ নেই নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য প্রমাণ করতে পেরে এবং দল জিতেছে বলে। নিজের কাছে খারাপ লেগেছে শ্রীলঙ্কায় ৮২ রানে আউট হওয়ার পর। নিজের ভুলে আউট হয়েছিলাম যে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।