Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই রাজশাহী-ই হাসলো শেষ হাসি

আনামুলের ডাবল সেঞ্চুরি, নাসিরের ৫ উইকেট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:৩৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল রাজশাহী। ১৯তম জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে একমাত্র জয়ও পেয়েছে সেই রাজশাহী-ই। বাকি তিন ম্যাচই হয়েছে নিরুত্তাপ ড্র। বিরুপ আবহাওয়াই কেড়ে নেয় প্রথম রাউন্ডের সিংহভাগ সময়।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম সেশনেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ২১২ রানের লক্ষ্যে এদিন রাজশাহীকে করতে হতো ১২৬ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। জুনায়েদ সিদ্দিকির সঙ্গে ৭২ এবং মাইশুকুর রহমানের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ফরহাদ হোসেন। ফরহাদ ৭০ রানে ফিরলেও ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাইশুকুর। তবে ম্যাচের নায়ক তাদের কেউ নন, প্রথম ইনিংসে রাজশাহীকে ৭৯ রানে অল আউট করার পথে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৩২/৬) করা সায়েম আলম।
এছাড়া কিছুটা উত্তাপ জিইয়ে ছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যকার ম্যাচে। জিততে হলে শেষ দিনে চট্টগ্রামকে করতে হতো ৩৭৩ রান। এর চেয়ে মেট্রোর ১০ উইকেট তুলে নেওয়াই সহজ মনে হওয়ার কথা। কিন্তু ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে মেট্রোর আশার বাতি নিভিয়ে দেন সাজ্জাদুল হক। ১২২ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রান করেন এই টপঅর্ডার। এছাড়া অধিনায়ক তাসামুল হক অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। প্রকৃতিকেও পাশে পায় স্বাগতিকরা। চা বিরতির পর যে বৃষ্টির বাধায় বল মাঠে গড়ায়নি। তাসামুলদের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ১৯৩।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের গল্পটাও প্রায় একই রকম। শেষ বিকেলে যা একটু দেখা গেল মাশরাফি ঝলক। দিন শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর বিভাগ ৩৭ রানে যে ৪টি উইকেট হারায় এর তিনটিই ছিল মাশরাফির শিকার। ম্যাচের ভাগ্য অবশ্য নির্ধারন হয়ে গিয়েছিল তৃতীয় দিনেই। দু’দলের প্রথম ইনিংসও যে তখনো শেষ হয়নি। ৪ উইকেটে ৩৪৪ রান নিয়ে চতুর্থ ও শেষ দিন শুরু করা স্বাগতিক খুলনা বিভাগ মধ্যাহ্ন বিরতির পর পরই ৯ উইকেটে ৪৯৫ রান নিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষনা করে। ১৭২ রানে অপরাজিত থাকা আনামুল হক তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক। নাসির হোসেনের বলে লেগ বিফোর হওয়ার আগে ৩৫৬ বলে ১৮টি চার ও ২ ছক্কায় ২১৬ রানের ইনিংসটি সাজান এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এছাড়া তুষার ইমরান করেন ৫৪ রান। রংপুরের হয়ে নাসির হোসেন নেন ৭০ রানে ৫ উইকেট।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে এদিনও একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। প্রথম ও তৃতীয় দিনের মত চতুর্থ ও শেষ দিনেরও পুরোটা কেড়ে নেয় বেরসিক বৃষ্টি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (শেষ দিন)
সিলেট-রাজশাহী
সিলেট : ১২৮ ও ১৬২
রাজশাহী : ৭৯ ও (লক্ষ্য ২১২) ৫১.২ ওভারে ২১২/৪ (মিজানুর ১০, জহুরুল ৩৫, জুনায়েদ ৪৬, ফরহাদ ৭০, মাইশুকুর ৩৭*, রেজা ৭*; হাসান ১/৫৮, এনামুল জুনিয়র ০/৩৪, জায়েদ ১/৪৩, সায়েম ০/১৬, নাবিল ০/২৮, শাহানুর ২/৩১)।
ফল : রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : সায়েম আলম (সিলেট)

ঢাকা-চট্টগ্রাম
ঢাকা মেট্রো : ৩৪৪ ও ১৬৯/৬ ডিক্লে.
চট্টগ্রাম : ১৩০ ও (লক্ষ্য ৩৮৪) ৬৬ ওভারে ১৯৩/৪ (পিনাক ৩৫, মাহবুবুল ২৩, সাজ্জাদুল ৮২, তাসামুল ৪৬*, শমিম ১, সাব্বির ২*; আলি ০/৪৩, শরিফউল্লাহ ২/৬৬, সৈকত ১/১০, নিহাদ ১/৬৭, নবিউল ০/৩, শামসুর ০/০)।
ফল : ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা : নিহাদউজ্জামান (ঢাকা মেট্রো)

রংপুর-খুলনা
রংপুর : ৪৭১ ও ৮ ওভারে ৩৭/৪ (সায়মন ০, জাহিদ ২৭* নাসির ৫, মাহমুদুল ০, আরিফুল ০, নাঈম ১*; মাশরাফি ৩/১২, আল-আমিন ১/২৪)।
খুলনা : ৪৯৫/৯ ডিক্লে. (রবি ১০০, আনামুল ২১৬, আফিফ ২, মিথুন ৪০, নুরুল ৮, তুষার ৫৪, জিয়াউর ৩১, মাশরাফি ৬, আশিকুজ্জামান ১২, আল-আমিন ৪;সাজেদুল ০/৬২, সাদ্দাম ০/৩৭, আরিফুল ০/৩৪, সঞ্জিত ০/৭৫, শুভ ২/১৩৮, মাহমুদুল ১/৫৬, নাসির ৫/৭০, নাঈম ১/৯)।
ফল : ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা : আনামুল হক (খুলনা)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ