মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাফ রিভার গ্যালাক্সি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে সরকার ও বিনিয়োগকারীদের স্মারক সমঝোতা স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে ২৯ সেপ্টেম্বর
রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত ও সহিংসতাপ্রবণ মংডু জেলায় নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ জোরেশোরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকার। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের জন্য স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছে রাখাইন রাজ্য সরকার। রাখাইন রাজ্য সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ইউ কে আই থিন স¤প্রতি গণমাধ্যম ফ্রন্টিয়ারকে বলেন, নাফ রিভার গ্যালাক্সি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে মংডু অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে একটি স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এ চুক্তি হবে। অর্থনৈতিক জোনের জন্য নির্ধারিত এলাকায় নাফ নদীর তীরবর্তী রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম কানইয়েন চংয়ে সরকার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কানইয়েন চং গ্রামটি চোরাচালানের পথ ও ভয়ানক অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে এতটাই কুখ্যাত যে এখানে দিনের বেলায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করতে ও টহল দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। ২৫ আগস্ট নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রায় দুই ডজন পুলিশ ও সেনাক্যাম্পে হামলার পর বিদ্রোহীদের ধরার নাম করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জাতিগত নিধনের জন্য যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তাতে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মংডুসহ রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা থেকে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম নদী ও সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যমতে, রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের জন্য এখন পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৬৮টি গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রাখাইন রাজ্য সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ইউ কে আই থিন বলেছেন, যেদিন চুক্তি স্বাক্ষর হবে, সেদিন ওই এলাকার সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, আগের রাজ্য সরকার এখানে একটি বাণিজ্য-অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। এই সরকার শুধু সেটিকে আরেক ধাপ অগ্রসর করে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে। এখানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতোই কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। আর এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বরং রাখাইন রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমূল্যে জমি পাবেন এবং এর জন্য তাদের কোনো করও দিতে হবে না বলেও জানান রাখাইন রাজ্যের এই মন্ত্রী। ফ্রন্টিয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।