পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা মা ভাবতেও পারছেন না তার শিশুটি আর বেঁচে নেই
ইনকিলাব ডেস্ক : ছবির রোহিঙ্গা শিশুটি যেন ঘুমিয়ে পড়েছে মায়ের আদরের স্পর্শে। যেন খানিক বাদেই জেগে উঠবে সে, কান্নাকে ভাষা বানিয়ে জানিয়ে দেবে এই পৃথিবী তারও! মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র চিত্রগ্রাহক তার ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করেছেন সদ্যজাত শিশুর লাশ কিংবা বিপন্ন মানবতার এই আর্তনাদকে। আর ছবি প্রকাশের কিংবা শিশুদের প্রতি সংবেদনশীলতার আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভেঙে সিএনএন-এর মতো প্রধান ধারার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও এগুলো প্রকাশ করেছে। সেই ধারাবাহিকতাতেই ছবিগুলো ইনকিলাব পাঠকদের জন্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথাগত ব্যাকরণ ভেঙে এই ছবি প্রকাশের মাধ্যমে পৃথিবীর সবথেকে বিপন্ন এক জনগোষ্ঠীর প্রতি নিজেদের সর্বাত্মক সংহতি প্রকাশ করছি আমরা। তাদের প্রতি জানাচ্ছি আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থন।
সাইবার স্পেসের মুক্ত পরিসর এই ছবিকে ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। ছবিটি যেন সমগ্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মর্মান্তিক বাস্তবতাকে সামনে এনে হাজির করেছে। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা হামিদা বেগম।
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই মিলতে থাকে বেসামরিক নিধনের আলামত। পাহাড় বেয়ে ভেসে আসতে শুরু করে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ। পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে আগুনের ধোঁয়া এসে মিশতে থাকে মৌসুমী বাতাসে। মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে শূন্যে ছুড়তে থাকে সেনারা। কখনও কখনও কেটে ফেলা হয় তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় মানুষকে। আহত শরণার্থী হয়ে তারা ছুটতে থাকে বাংলাদেশ সীমান্তে। জাতিসংঘের হিসাবে, প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। তাদেরই একজন হামিদা।
জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে শিশু সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন হামিদা। তবে ছোট নৌকায় অনেক মানুষ ওঠার কারণে প্রায়ই নৌকা ডুবে যায়। কখনও কখনও তাদের লাশও পাওয়া যায় না বলে জানান বিজিবির এক কর্মকর্তা। হামিদারও বাস্তবতা একই রকমের। পথে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক বিপদ। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তার একমাস বয়সী সন্তান আব্দুল্লাহ মাসুদের। এপির একজন চিত্রগ্রাহক ফ্রেমে বন্দি করেন করুণ এই মুহূর্তগুলো। ছবিগুলো এরইমধ্যে জাগিয়ে তুলতে শুরু করেছে বিশ্ববিবেককে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।