পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ভবন দিনভর অবরুদ্ধ করে রেখে ইনকিলাব সংবাদিকদের ওপর হামলার করার পর উল্টো মিথ্যা অভিযোগে দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এবং সাংবাদিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে কর্মরত সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ববৃন্দ। তারা অবিলম্বে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। গতকাল ইনকিলাব ভবনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলা হয়। ইনকিলাব সাংবাদিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এই জরুরী প্রতিবাদ সভায় আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সভায় ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মুন্সি আবদুল মাননান বলেন, কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং কর্মস্থলে প্রবেশ করতে না দেয়া মারাত্মক অমানবিক অপরাধ। এটা কারো কাম্য নয়। দাবি আদায়ের নামে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়া অপরাধ। যারা চাকুরচ্যুত হয়েছেন তারা তাদের পাওনা আদায় করতে প্রয়োজন হলে নিয়মতান্ত্রি আন্দোলন করতে পারেন। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের সাথে আলপ আলোচনা করতে পারেন। কিন্ত অন্য সাংবাদিকদের কর্মে বাধা দেয়া, তাদের ন্যায্য অধিকার কর্মের ওপর হস্তক্ষেপ করা, হামলা মামলা করা কারো কাম্য নয়। কিন্ত তারা এ কাজটি করেছেন। শুধু তাই নয়, ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে ইনকিলাবে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে, তাদের আয় রোজগারের ওপর আঘাত করা হচ্ছে।
মুন্সি মাননান বলেন, ইনকিলাবের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সাংবাদিক নেতারা তদন্ত কমিটি গঠন করে জরুরীভিত্তিতে সংকট নিরসনের উদ্বেগ নিবেন এটা আমার প্রত্যাশা। পাশাপাশি ইনকিলাবের সাংবাদিক কর্মকর্তাদের ওপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সংঘাত সংঘর্ষ বন্ধ করে সুষ্ট কাজের পরিবেশ তৈরী করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উভয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে এক বা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
ইনকিলাবের ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউর রহমান সোহাগ বলেন, ইনকিলাবের ওপর বার বার আঘাত আসছে, নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে। আমাদের সম্পাদক মহোদয় এসব সংকট পেরিয়ে ইনকিলাবে প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন ষড়যন্ত্রই ইনকিলাব কেউ বন্ধ করতে পারবে না। পত্রিকাটি তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। কেউ যদি মনে করেন হুমকি দমকি দিয়ে মারপিট করে কিংবা হামলা মামলা করে ইনকিলাব বন্ধ করে দিবেন, শত মত সাংবাকি কর্মকর্তা কর্মচারীদের রুটি রুজির পথ বন্ধ করে দিবেন, তা হলে ভুল করবেন। সমস্যা সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই। কর্তৃপক্ষ সব সময়ই বলেছেন পযৃায়ক্রমে সকল পাওনাদি পরিশোধ করে দেয়া হবে। অর্থ সংকটের কারণে এক সাথে সকল টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে এক চেকে ছয় মাসের বকেয়া বেতন দেয়া হয়েছে। তারপরেও বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করে এধরনের মারমুখি আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ইনকিলাব সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি ওইদিনের ঘটনা তদন্ত করতে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক উইনিয়নের নেতৃবৃন্দের কাছে আহব্বান জানাছি।
বিশেষ সংবাদদাতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ইনকিলাবের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাাঁড়াতে হবে। কর্মরত সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের সুষ্ট পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে। তিনি বলেন, আমরা চাকরি করি। তাই প্রতি দিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে আসি। কিন্ত আন্দোলনকারীরা প্রবেশ পথ ঘেরাও করে রাখে এবং আমাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। বার বার অনুরোধ করার পরেও আমাদের ভিতরে যেতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায় আমিসহ আমাদের সহকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরবর্তীতে তারাই আবার আমাদের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, আমি আশা করব এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে নেতৃবৃন্দ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। তিনি বলেন, ইনকিলাবের সিসি ক্যামেরাতে সকল কিছু আছে তা দেখলেই কারা কিভাবে হামলা করেছে, অশ্লীলভাষায় গালাগালি করেছেন তা প্রমাণ হবে। মামলা হামলা করে আমাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করবেন না।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (উভয় অংশের) সংগঠনের নেতৃবৃন্দরে কাছে এ ব্যাপারে আকুল আহব্বান জানিয়ে ইনকিলাবের ইউনিট চীফ উমর ফারুক আলহাদী বলেন, ইনকিলাবের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরীভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রয়োজন। সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে মারামারি হানাহানি করে আন্দোলনের নামে যদি কেউ সাংবাদিক সমাজের সম্মান এবং শান্তিপুর্ণ পরিবেশে বিনষ্ট করা কারো কাম্য হতে পারে না।
হাদী বলেন, গত বৃহস্পতিবার চাকরিচ্যুত এবং সেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেয়া সাংবাদিকরা তাদের দাবি আদায়ের নামে ইনকিলাবে কর্মরত সাংবাদিকদের দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই দিন সকালে অফিসে প্রবেশকালে কয়েক দফা বাধা দেয়া হয় এমন কি প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়। তাদের আচরন সাংবাদিকসুলভ ছিল না। সারাদিন কাউকে অফিসে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি খাওয়া দাওয়া করতে দেয়া হযনি। কাউকে বের হতেও দেয়া হয়নি প্রবেশ করতেও দেয়া হয়নি। অথচয় এই আমরা দীর্ঘদিন এক সাথে কাজ করেছি। আমাদের এসব আচরন দেখে সমাজের মানুষ কিভাবে। তাই আমারদাবী এদের বয়কট করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বিশেষ সংবাদদাতা নুরুল ইসলাম বলেন, দিনভর অপেক্ষার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ করার জন্য অফিসে প্রবেশর জন্য বার বার অনুরোধ করা হলেও আমাদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। আমাদের সাথে মারমুখি আচারন করেছে তারা। আমরা দিনভর অত্যান্ত ধৈয্যের সাথে বাহিরে অপেক্ষা করেছি। তারপর রাত সাড়ে ৮টায় পুনরায় প্রবেশ করতে গেলে সাখাওয়াত হোসেন বাদশার নেতৃত্বে অর্তকিতে তারা হামলা করে। তাদের হামলায় ইনকিলাবের জিএম হাবিবুর রহমান তালুকদার, বিশেষ সংবাদদাতা সাখাওয়াত হোসেন, বিশেষ সংবাদদাতা নুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার ফারুক হোসাইন, সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন এবং আমিসহ ১০/১২ জন আহত হই। অথচ ওরাই পরবর্তীতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করে। আমি এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব ইউনিট চীফ উমর ফারুক আলহাদীর সভাপত্বিতে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান প্রতিবেদক রফিক মুহম্মদ, ডিপুটি ইউনিট চীফ সানাউল্লাহ, বিশেষ সংবাদদাতা স্টালিন সরকার, সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রহিম, স্টাফ রিপোর্টার শামসুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, সোহেল হাসানসহ সকল সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।