Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফের সেনা বিদ্রোহের শঙ্কা : মিয়ানমারে মরিয়া ‘অন্ধকার বাহিনী’

| প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে মিয়ানমারে ফের সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অং সান সুচিকে ফাঁদে ফেলে দেশটির ব্যাপক ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী ফের ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মিয়ানমারের ৭০ বছরের ইতিহাসে ৫৫ বছরই শাসন করেছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে আবার সেনাশাসন ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। ২০১৫ সালে একটি অবাধ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ক্ষমতায় এলেও সেনাবাহিনী এখনও দেশটির দÐমুÐের কর্তা। সংসদে ২৫ ভাগ আসন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তারা। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলো এখনও সেনাবাহিনীর দখলেই রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব মন্ত্রণালয়ের ওপর দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা সুচির কোনো ক্ষমতাই নেই। রাষ্ট্রীয় অখÐতা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে সেনাবাহিনী। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সুচি প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। চাইলেও সেনাবাহিনীর ক্ষমতার লাগাম টানার ক্ষমতা তার নেই। তাই রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ কথিত হামলার পরপরই ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন্স’-এর অনুমতি দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে। সমালোচকরা বলছেন, সুচিকে আরও দুর্বল ও রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু করতে সেটি ছিল সামরিক বাহিনীর নীলনকশার একটি অংশ। এরপর সেখানে সেনাবাহিনী পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে চলেছে। খোদ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বুধবার স্বীকার করেছেন যে, রাখাইনের ৪৭১টি রোহিঙ্গা গ্রামের ১৭৬টি তথা ৪০ ভাগ গ্রাম এখন জনশূন্য। গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গাদের বাস ছিল।
এ পরিস্থিতিতে সেনা অভিযানের নিন্দা জানানোর জন্য সুচির ওপর চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এবং তারই একসময়ের ঘনিষ্ঠজনরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ