আজ বেলা ১২টায় টাকার থলে নিয়ে হাজির হতে হবে ঢাকার হোটেল রেডিসন বøুর গ্র্যান্ড বলরুমে। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট। আর এতে ৭ আইকন ক্রিকেটার ছাড়াও আরো ১৩০জন দেশি ক্রিকেটার এবং ২৮০ জন বিদেশি ক্রিকেটারের মহা মিলনমেলা। আগামী ২রা নভেম্বর থেকে নতুন ভেন্যু সিলেটে শুরু হবে জমজমাট বিপিএলের এবারের আসর। পুরো ড্রাফট অনুষ্ঠান সরাসরি স¤প্রচার করবে বেসরকারি দুই স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশন ও গাজী টেলিভিশন।
ইতিমধ্যেই দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। চূড়ান্ত রূপ পারে আজ। প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে কমপক্ষে সাতজন দেশি ক্রিকেটার এবং দুইজন বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়াতে হবে। এরই মধ্যে ৭ জন আইকন ক্রিকেটারকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া গত আসরে খেলা স্থানীয় ১৪ খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। নতুন আসরের জন্য আরও ১৩০ জন দেশি ক্রিকেটারকে চূড়ান্ত করেছে টেকনিক্যাল কমিটি। বিসিবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সেই তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিপিএলের দেশি ক্রিকেটারদের নাম জানা গেছে। ড্রাফটে ‘এ প্লাস’ ও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন ১ জন করে, ‘বি’ ক্যাটাগরি ২২ জন, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪৪ জন ও ৬২ জন আছেন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে।
বিপিএল পঞ্চম আসরের ৭ আইকন খেলোয়াড় হলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি মুর্তজা, সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। তারা প্রত্যেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো থেকে আলোচনা সাপেক্ষে টাকা পাবেন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তাদের আর্থিক বিষয়টি উন্মুক্ত রেখেছে। সেই সঙ্গে ‘রিটেইন’ করা দুইজন খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয়গুলো আলোচনা করে ঠিক হবে। শুধুমাত্র ১৩০ জনের তালিকার মধ্যে থাকা ক্রিকেটাররা তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী টাকা পাবেন। বিদেশি খেলোয়াড়ের দিক থেকে নিলামে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডাক পড়েছে এবারই। গত আসরে নিলামে ডাক পেয়েছিলেন ১৬৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০ জনে!
যদিও ইতোমধ্যে অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই নিজ নিজ দল নির্ধারণ করে ফেলেছেন, সম্পন্ন করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তি। ঢালাওভাবে সাজানোর পর এবারের বিপিএল নিয়ে একটু আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে টুর্নামেন্টের আয়োজক বিসিবি।
নিলামে ডাক পাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের ৬২ জনই ইংল্যান্ডের। সংখ্যার হিসেবে ক্রমানুসারে এরপর যে দেশগুলো আছে সেগুলো হল- পাকিস্তান (৪৬ জন), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৭ জন), শ্রীলঙ্কা (২৬ জন), জিম্বাবুয়ে (৮ জন), দক্ষিণ আফ্রিকা (৬ জন), আয়ারল্যান্ড (৬ জন), আফগানিস্তান (৬ জন), আরব আমিরাত (৬ জন), অস্ট্রেলিয়া (৪ জন), কানাডা (৩ জন), নিউজিল্যান্ড (৩ জন), যুক্তরাষ্ট্র (২ জন), নেপাল (১ জন), নেদারল্যান্ড (১ জন) ও স্কটল্যান্ড (১ জন)।
নিলামের জন্য নিবন্ধিত খেলোয়াড়দের বিভক্ত করা হয়েছে ছয়টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে। ‘এ’ থেকে ‘এফ’ পর্যন্ত বিভক্ত এই ক্যাটাগরিগুলোর জন্য নির্ধারিত হয়েছে নির্দিষ্ট বেজপ্রাইসও। ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন ৭ জন ক্রিকেটার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ৮ জন ক্রিকেটার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ২০ জন ক্রিকেটার, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ১০০ জন ক্রিকেটার, ‘ই’ ক্যাটাগরিতে আছেন ৫০ জন ক্রিকেটার এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে আছেন ২৩ জন ক্রিকেটার। তাদের সর্বোচ্চ মূল্য ৭০ হাজার মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন মূল্য ১০ হাজার মারকিং ডলার।