Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূটানে ভালো খেলার লক্ষ্য যুবাদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এবার সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে ভুটান যাচ্ছে বাংলাদেশের যুবারা। ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে আগামী সোমবার শুরু হচ্ছে এ টুর্নামেন্টের খেলা। আসরে অংশ নিতে ২৮ সদস্যের বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৮ দল আজ সকালে থিম্পুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। যে দলে ২৩ ফুটবলার এবং কোচ ও কর্মকর্তাসহ পাঁচজন রয়েছেন। টুর্নামেন্ট খেলতে থিম্পুর যাত্রার আগে যুব দলের লক্ষ্য ও সম্ভাবনা জানাতে গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এতে দলের কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি জানান, স্বল্প প্রস্তুতিতে তার দল থিম্পুতে ভালো খেলার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, ‘সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা ভালো খেলার লক্ষ্য নিয়েই ভুটান যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি অল্প সময়ের হলেও আমি আশাবাদি দল থিম্পু ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে।’ এই দলের সঙ্গে উপদেষ্টা কোচ হিসেবে থিম্পু যাচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড।
সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) বর্তমান অবস্থা যাচ্ছেতাই। সাফের সদস্য সাতটি হলেও এই টুর্নামেন্টে খেলছে পাঁচ দল। পাকিস্তান আগেই না খেলার তালিকায় থাকলেও টুর্নামেন্ট শুরু প্রায় দশদিন আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয় শ্রীলঙ্কাও। আর তাই গ্রæপ পদ্ধতি থেকে এই টুর্নামেন্ট লিগে চলে আসতে বাধ্য হলো। ফর্মেট পরিবর্তন হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশও। এ প্রসঙ্গে রক্সি বলেন, ‘আগে জানতাম আমরা গ্রæপ পর্বে প্রথমে ভুটান এবং পরে ভারতের বিপক্ষে খেলবো। কিন্তু শেষ দিকে এসে জানলাম লিগ পদ্ধতিতে খেলতে হবে। এখন আমাদেরকে প্রথমেই ভারতের মতো শক্তিশালী দলের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ফলে প্রথম ম্যাচটিই আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
অনূর্ধ্ব-১৮ দলের ফুটবলাররা সবাই প্রিমিয়ার ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলা ক্লাবগুলোর ফুটবলার। তাই কাগজে কলমে স্বল্প সময়ের প্রস্তুতি মনে হলেও কয়েকমাস ধরে মাঠেই ছিলেন তারা। এমনটাই মনে করেন কোচ রক্সি। তিনি বলেন, ‘এই দলে চ্যাম্পিয়নশিপের দু’জন ছাড়া বাকি সবাই প্রিমিয়ার লিগে খেলা ক্লাবগুলোর ফুটবলার। এদের মধ্যে মুনির আলম, বিশ্বনাথ ঘোষ, মোহাম্মদ আল আমিন এবং টুটুল হোসেন বাদশা নিয়মিত খেলোয়াড়। বাকিরা কখনো সেরা একাদশে আবার কখনো বদলী হিসেবেই মাঠে নামেন। তাই আবাসিক ক্যাম্পে কম সময় থাকলেও তারা মাঠের ফুটবলারই।’ দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার লেফটব্যাক রহমত মিয়া বলেন, ‘আবাসিক কিংবা অনাবাসিক- কখনোই পুরো দলকে একসঙ্গে পাইনি আমরা। তবে টুর্নামেন্টে লিগ পদ্ধতির খেলা হওয়ায় ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলে এগুতে চাই আমরা।’
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ করে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলে খেলতে যাওয়া কতটা যুক্তযুক্ত? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টা আমি বলতে পারবো না। এটা লিগ কমিটির বিষয়। তবে এমন প্রশ্নের যৌক্তিকতাও রয়েছে। আশাকরি আগামীতে বিষয়টি বিবেচনা করবে লিগ কমিটি।’ বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মাল্লি প্রসঙ্গে নাবিলের কথা, ‘ বাংলাদেশ ফুটবলের উন্নয়নে সময় দেয়াই স্মাল্লির প্রধান কাজ। কিন্তু এখন তার ক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ দল- ওসাই মং মারমা, আল আমিন, পাপ্পু হোসেন, মনির আলম, বিপলু আহমেদ, মাহামুদুল আলম কিরন, মাহবুবুর রহমান, আতিকুজ্জামান, টুটুল হোসেন বাদশা, জাফর ইকবাল, রিয়াদুল হাসান, মাহফুজ হাসান প্রিতম, রহমত মিয়া, বিশ্বনাথ ঘোষ, জাহিদ হাসান লিংকন, সোহানুর রহমান, রহিম উদ্দিন, স্বাধীন, সৈকত আহমেদ, সাব্বির আহমেদ, সারোয়ার জামান নিপু, ইসা ফয়সাল ও অনিক ঘোষ।

নিলামে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কে কোন ক্যাটাগরিতে
‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরি (৪৫ লাখ টাকা) : মুস্তাফিজুর রহমান
‘এ’ ক্যাটাগরি (২৫ লাখ টাকা) : আবদুর রাজ্জাক
‘বি’ ক্যাটাগরি (১৮ লাখ টাকা) : আবু হায়দার রনি, আলাউদ্দিন বাবু, আরাফাত সানি, এনামুল হক জুনিয়র, জহুরুল ইসলাম অমি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবুল হাসান রাজু, মোহাম্মদ আল আমিন, আল-আমিন হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, মুক্তার আলী, নাঈম ইসলাম, নাজমুল হোসেন অপু, নাজমুল হোসেন শান্ত, রকিবুল হাসান, রনি তালুকদার, সাকলাইন সজীব, সানজামুল ইসলাম, শাহরিয়ার নাফিস, শুভাগত হোম, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও জিয়াউর রহমান।
‘সি’ ক্যাটাগরি (১২ লাখ টাকা) : আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, আফিফ হোসেন ধ্রুব, অলক কাপালি, আসিফ আহমেদ রাতুল, আসিফ হাসান, বিশ্বনাথ হালদার, দেলোয়ার হোসেন, দেওয়ান সাব্বির রহমান, ধীমান ঘোষ, ফরহাদ হোসেন, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, ইরফান শুক্কুর, জুবায়ের হোসেন লিখন, জুনায়েদ সিদ্দিক, মাহমুদুল হাসান লিমন, মাইশুকুর রহমান, মার্শাল আইয়ুব, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, সৈকত আলী, তানভীর হায়দার খান, তাসামুল হক, মেহেদী হাসান, মেহরাব জুনিয়র, নূর হোসেন মুন্না, মোহাম্মদ শরীফ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মনির হোসেন, নাবিল সামাদ, নাজমুল হোসেন মিলন, নিহাদুজ্জামান, রাহাতুল ফেরদৌস, রবিউল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, শামসুর রহমান, তুষার ইমরান, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও জাকির হাসান।
‘ডি’ ক্যাটাগরি (৫ লাখ টাকা) : আব্দুল হালিম, আবু সায়েম, আহমেদ সিদ্দিকুর রহমান, আলী আহমেদ মানিক, অমিত মজুমদার, অমিতাভ নয়ন, আরিফুল ইসলাম জনি, আশিকুজ্জামান, অভিষেক মিত্র, আজমীর হোসেন, ডলার মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, গোলাম কবির সোহেল, হাবিবুর রহমান জনি, হামিদুল ইসলাম হিমেল, হোসেন আলী, হুমায়ন কবির সায়েন, ইফতেখার সাজ্জাদ, ইমরান আলী, ইসলামুল আহসান আবির, জাবিদ হোসেন, জাকের আলী অনিক, জয়রাজ শেখ, জুবায়ের আহমেদ, মাহবুবুল আলম, মাহবুবুল করিম, মাহমুদুল হক সেন্টু, মামুন হোসেন, জসিমউদ্দিন, মেহেদী হাসান রানা, মেহরাব হোসেন জোসি, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আসিফ, মোহাম্মদ ফোরকান, মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, মোহাম্মদ মুরাদ খান, নাহিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, নাজমুল হোসেন, নবীন ইসলাম, নূর আলাম সাদ্দাম, পিনাক ঘোষ, রায়হান উদ্দিন, রাজিন সালেহ, রাসেল আল মামুন, রেজাউল করিম রিজভী, সাঈদ সরকার, সগীর হোসেন পাভেল, সালেহ আহমেদ শাওন, সালমান হোসেন, সনজিৎ সাহা, সাজ্জাদুল হক, শাহবাজ চৌহান, শফিউল হায়াত হৃদয়, শাহাদাত হোসেন রাজীব, শাহনূর রহমান, সুজন হাওলাদার, তানভীর রহমান পারভেজ, তাপস ঘোষ ও তৌহিদুল ইসলাম রাসেল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ