যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং লিন বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসীরা সমস্যা সৃষ্টি করেছে দাবি করে বলেছেন, এই সব লোকজনকে (রোহিঙ্গা) প্রমাণ করতে হবে যে, তারা শান্তিতে বসবাস করবে। তবেই মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নেবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থী সংখ্যার বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকার উর্দু বিভাগকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দ্বিমত প্রকাশ না করে বলেন, যারা এটা প্রমাণ করতে পারবে যে, তারা মিয়ানমারের প্রকৃত গ্রামবাসী, তাদেরকে গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার ভয়েস অব আমেরিকার অনলাইন এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বার বার জিজ্ঞেষ করার পরও মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি যে, শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে না গেলে কোথা থেকেই যাবে?
উ অং লিন বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা শব্দটিই ব্যবহার করে না এবং এই সব লোকজনকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা শান্তিতে বসবাস করবে। তবেই মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নেবে।
তিনি আরও বলেন, অং সান সুচি কেবল রাখাইন রাজ্যে নয়, গোটা দেশেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। সে জন্যই তিনি ওই অঞ্চলে যাননি।
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সূচি'র অনুপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সূচি বিশ্বকে এ কথাই জানাতে চান যে, তিনি তার দেশের সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিন বলেন, বাংলাদেশ আমাদের ভাল প্রতিবেশী। পরাস্পরিক আলোচনা এবং বৈঠকের সুযোগ আছে আমাদের। সম্প্রতি মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং যেকোনো সময়ে আমাদের দু'দেশের মধ্যে বৈঠক হতেই পারে।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা মিয়ানমারকে তার নাগরিক ফিরিয়ে নেয়ার যে দাবি জানিয়েছেন- সে সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা অবশ্যই তাদের ফেরত নেবো, যারা প্রমাণ করতে পারে যে তারা আসলেই সেখানকার গ্রামবাসী।