পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, প্রকল্প প্রস্তাবের পূর্বে অবশ্যই এর উপযোগিতা যাচাই করতে হবে। কত মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবে এবং আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এর কার্যকারীতা কতটুকু তা যাচাই করে নিতে হবে।
গতকাল বৃহষ্পতিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি অডিটরিয়ামে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ আয়োজিত প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর কর্মশালায় অনুষ্ঠানের সভাপতি পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য প্রদান করেন। ২২টি সমাপ্ত প্রকল্প নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ডেমু ট্রেন প্রকল্প নিয়ে আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, এ প্রকল্পের বেশ গুরুত্ব থাকা সত্বেও কিছু সমস্যা অনস্বীকার্য। তাই দরকার ছিল প্রকল্প প্রস্তাবের পূর্বেই এই সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করা। আইসিটি প্রকল্প বিষয়ে বলেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুটোই আইসিটি নির্ভর তাই আমাদেরকে এ বিষয়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। মানুষের ঘরে ঘরে প্রযুক্ততির সেবা পৌছে দিতে হবে। সবকিছু আরো সহজতর করতে হবে। এই খাতে ইতোমধ্যে আমরা অনেক সাফল্য অর্জন করেছি। আরো অনেক কাজ বাকি। এক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
আ হ ম মুস্তাফা কামাল কর্মশালায় উপস্থিত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দায়িত্বই ইবাদত। তাই যার যার দায়িত্বে নিষ্ঠাবান হবেন। আপনারা জনগনের সেবা করছেন, দেশের সেবা করছেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আপনারা অবশ্যই সৌভাগবান। তাই মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ ও জাতির কল্যান সাধন করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে আপনাদের চেষ্টায় সবজী উৎপাদেন দেশ সারা বিশ্বে তৃতীয়, মাছ চতুর্থ, ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ। আমাদের জিডিপি, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক আয় ও বৈদিশেক বানিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত নয় বছরে কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুন-তিনগুন বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি ‘দ্য ইকোনোমিস্ট’ পত্রিকায় স¤প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশের এডিপি পাকিস্তানের চেয়ে বেশী বিষয়টি উত্থাপন করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় তিনি পেয়েছিলেন ভঙ্গুর আর বিধ্বস্ত একটি দেশ। এখন আমাদের গৌরবের সময়। বঙ্গবন্ধু যে সোনালী দিগন্তের রূপরেখা দিয়ে গিয়েছিলেন, অবশ্যই আমরা তা দেখতে পারব।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।