পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকারের ১০ মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন, দারিদ্র দূরীকরণ ও গুণগত মান নিশ্চিত করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নকে আগামী দিনের জন্য সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আগামীতে প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে ১০ মেগা প্রকল্পকে বেগবান করা। অবিচার দূর করে দারিদ্র কমিয়ে আনাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ। শপথের পর প্রথম কার্যদিবসে গতকাল পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় ও কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অরুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দিনে সরকারের কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো ধরে নিয়েই তিনি কাজ করা হবে। আগামীর অগ্রাধিকার তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নে পরিকল্পনা কমিশনের অবদান আছে। প্রবৃদ্ধির সেই গতি আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা হবে। এ ছাড়া পল্লী অঞ্চলে বিভাজন কমিয়ে আনতে কাজ করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকারের মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে প্রচুর অক্সিজেনের (অর্থ) প্রয়োজন। সময় মতো এর যোগান দেয়া হবে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে অর্থের যোগান আসবে। সেটাকে সমন্নয় করে সময় মতো ব্যবহার করা হবে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের কাজ।
মন্ত্রী আরও বলেন, এদেশে দারিদ্রতা বাড়ার পেছনে অনেক অবিচার রয়েছে। কোন মানুষ এমনিতে দরিদ্র হয় না। বিভিন্ন ভাবে তাদের দারিদ্র করে রাখা হয়েছে। এসব অবিচার দুর করতে আইনি ও সামাজিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তণ আনা হবে। একে অনেক বড় কাজ হিসেবে চিহ্ণিত করে নিজস্ব পথে এড়িয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
এর আগে নতুন সরকারের সামনে চার থেকে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তার এই মতামতের সঙ্গে অবশ্যই একমত। দল থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাজ থেকে কোন নির্দেশনা আসলে আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।’
মন্ত্রী আরও বলেন, এবার ঘরের দিকে নজর দিতে হবে। বাংলা ও বাঙ্গালী হারিয়ে গিয়েছে। বাঙ্গালী এখন বিভ্রান্ত জাতি। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে। বিষয়টাকে অবশ্য নিজের ব্যক্তিগত অভিলাস বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর পাশাপাশি নিজ মন্ত্রনলয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সক্ষমতা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যে উদ্যেশ্য নিয়ে আইএমইডি সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য অর্জন হয়নি। মাঝখানে এর কার্যক্রম একেবারে নেমে গিয়েছিল। আঙ্গিকে আইএমইডির কার্যক্রমে গতি আনা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরে্যা (বিবিএস) শক্তিশালী করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিবিএস একটি জ্ঞান ভান্ডার। এর আকার অনেক বড়। বিশে^র অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।