নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চুড়ান্ত পর্বে শুরুতেই বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। গত সোমবার থাইল্যান্ডের চনবুড়ি স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাল-সবুজ মেয়েদের নিয়ে রীতিমতো গোলউৎসবে মেতেছিলো উত্তর কোরিয়ার মেয়েরা। ম্যাচে অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া ৯-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশকে। ওই ম্যাচের লন্ডভন্ড বাংলাদেশের সামনে আজ জাপান পরীক্ষা। যারা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের একবারের সেরা। টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই জাপানের বিপক্ষেই আজ মাঠে নামবে কৃষ্ণা রানী বাহিনী। চনবুড়ির আইপিই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারটা এখন অতীত। তাই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা ওই ম্যাচটিকে মনে রাখতে চান না। তবে ওই বড় হারের ধাক্কাটা কাটিয়েই বাকি ম্যাচগুলো নিজেদের মতো করে খেলতে চান কৃষ্ণারা। কিন্তু চাইলেই যে কোরিয়া, জাপান বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে স্বাভাবিক খেলা যায় না, তাও ভাল করে জানেন বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলরা। তাই তো দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কিছুটা নার্ভাস তারা। তারপরও মুখে সাহসী কথা বাংলাদেশ অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারের। জাপান ম্যাচের আগে গতকাল তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে করা ভুলগুলো শুধরে জাপানকে মোকাবেলা করবেন তারা। কৃষ্ণা বলেন ‘প্রথম ম্যাচে আমরা অনেক ভুল করেছি। জাপানের বিপক্ষে ভুল কম করার চেষ্টা করবো। আমার বিশ্বাস সবাই স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে জাপানের সঙ্গে ভালো প্রতিদ্বন্ধীতা করতে পারবো।’
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘মেয়েরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে জাপানের সঙ্গে ভাল প্রতিদ্বন্ধীতা করতে পারবো আমরা। দলের সব মেয়েই ফিট আছে। কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের সেরাটা মাঠে ঢেলে দেয়া।’ বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ক যাই বলুন না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে ভিন্ন। বাংলাদেশ ছাড়া ‘বি’ গ্রæপের তিনটি দলই শক্তিশালী। তারা চাইবে বাংলাদেশকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে। যেমনটি করেছে উত্তর কোরিয়া। এক ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ গোল আদায়। তাদের মতো জাপানী মেয়েদেরও যদি বেশি গোল দেয়ার নেশায় পায়। তাহলে কৃষ্ণাদের যে আরও একটি বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে তা বলাই বাহুল্য। টুর্নামেন্টের বর্তমান রানার্সআপ জাপান তাদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ করেছে তারও কম নয়। জাপান ম্যাচ শেষে আগামী রোববার গ্রæপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মোকাবেলা করবে আরেক শক্তিধর অস্ট্রেলিয়াকে। যারা মেয়েদের ফুটবলের র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ায় শীর্ষে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে নারী ফুটবলে এশিয়ার সেরা আট দলের লড়াই। চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও তৃতীয়স্থান অর্জনকারী দলের ভাগ্যে জুটবে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের টিকিট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।