Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরমার তান্ডব কাটিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফ্লোরিডায়

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হারিকেন ইরমার আঘাতে বিপর্যস্ত ফ্লোরিডায় আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার ইরমার তান্ডব নিস্তেজ হয়ে আসার পর ফ্লোরিডার কিছু সংখ্যক বাসিন্দাকে তাদের বাড়িতে ফেরার অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেসঙ্গে বেশকিছু বিমানবন্দরও খুলে দেয়া হয়েছে। তবে রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও দ্বীপপুঞ্জটির সঙ্গে যুক্ত ব্রিজগুলো পরীক্ষা করে দেখার কারণে ফ্লোরিডা এখন পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়নি। ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোয় তান্ডব চালানোর পর গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় আঘাত হানে ইরমা। এতে গোটা ফ্লোরিডা লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে; প্রাণ হারিয়েছে ছয়জন। ইরমার আঘাত থেকে রক্ষা করতে ফ্লোরিডার ৬৫ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। অঙ্গরাজ্যটির ৩৪ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি প্রশাসক ব্রুক লং জানান, ফ্লোরিডার দ্বীপগুলোতে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস এবং ৬৫ শতাংশ ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বীপগুলোর প্রতিটি ঘরবাড়িই কমবেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। ইরমা আঘাত হানার পর প্রায় ৯০ হাজার অধিবাসী ফ্লোরিডার বিভিন্ন দ্বীপ এবং মিয়ামিতে ফিরতে শুরু করেছে। যদিও কতৃর্পক্ষ তাদের সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, আক্রান্ত এলাকাগুলোর অধিকাংশ গ্যাস স্টেশন বন্ধ থাকার পাশাপাশি সেখানে মোবাইল ফোনের সিগন্যাল পাওয়া যাবে না। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে লারগো, লাভেরনিয়ের এবং ইসলামোরাডা দ্বীপের কিছু বাসিন্দাদের তাদের ঘর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। খবরে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নেপলসের দক্ষিণ দিক দিয়ে মূল ভূখন্ডে আঘাত হানে ইরমা। ফ্লোরিডায় প্রবেশকালে হারিকেনটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৯ কিলোমিটার। এরপর ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে হারিকেনটি দুই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হয়। এক সপ্তাহ ধরে চলা ইরমার আঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছে; এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ জন। বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আটলান্টিক হারিকেনগুলোর মধ্যে ইরমা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। ফ্লোরিডার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ইরমা পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে পড়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মিয়ামি বিচ ও ফ্লোরিডার কিছু অংশের প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাসস্থানে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করে বলা হয়েছে, সেখানে অবস্থান করা খুব একটা বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হবে না। মনরে কাউন্টি এ প্রসঙ্গে তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের পর ফ্লোরিডার সব বাড়ি এখনো বাস উপযোগী হয়ে ওঠেনি। বেশির ভাগ অঞ্চল এখন পর্যন্ত বিদ্যুত্ ও পানিবিহীন অবস্থায় রয়েছে। মোবাইলের নেটওয়ার্ক খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া বেশির ভাগ গ্যাসস্টেশন এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। রয়টার্স,বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ