দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
১. যে সকল কাজ সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম ও সাধারণ জনগণ কর্তৃক সংঘটিত হওয়া অসম্ভব, তা আল্লাহপাক কোন নবীর মাধ্যমে প্রকাশ করলে তাকে মু’জিযাহ বলে। যেমন : (ক) মু’জিযাহ হল সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম, কল্যাণ ও সৌভাগ্যের দিকে আহŸানকারী, নবুওয়াতের দাবীর সাথে সম্পৃক্ত, যার দ্বারা ঐ ব্যক্তির সত্যতা প্রকাশ করা উদ্দেশ্য যিনি আল্লাহ তা’য়ালার রাসূল হওয়ার দাবী করেন। (কিতাবুত তা’রিফাত লিল জুরজানী-১৭৬)। (খ) মু’জিযাহ-‘ই’জযুন’ শব্দ হতে উদ্ভূত, অর্থ অক্ষম করা, অপারগ করা, এটি কুদরাত এর বিপরীত শব্দ। মূলত” মু’জিযা হল ইজযুন এর কর্তা, যিনি অন্যের মধ্যে অক্ষমতা সৃষ্টি করেন, আর তিনি হলেন আল্লাহ। (মিরকাত হামিশে মিশকাত-২/৫৩০)। (গ) সাধারণ নিয়মকে ভঙ্গ করে নবুওয়াতে দাবীদারের হাতে নবুওয়াতের অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারীদের সামনে যে কাজ সংঘটিত হয় এবং অন্য কোন ব্যক্তি তা করতে সক্ষম না হয়, তাই মু’জিযাহ। (মজমু’আয়ে ফাতাওয়া-২/১৮)।
২. কোন নবীর সত্যতা প্রমাণের জন্য তার হাতে আল্লাহর নির্দেশে কোন মু’জিযাহ প্রকাশ পাওয়া আসমানী দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন : (ক) জেনে রাখা ভাল যে, আম্বিয়া কিয়ামের নবুওয়াতের অকাট্য প্রমাণ হল তাদের মুজিয়া সমূহ। মু’জিযাহ এমন কর্ম যা আল্লাহ তা’য়ালা সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম পদ্ধতিতে নবুওয়াতের দাবীকারীর হাতে প্রকাশ করে থাকেন। এর দ্বারা তাঁর নবুওয়াতের দাবীর সত্যতার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ জাতীয় কাজের বহি:প্রকাশ যেন তার প্রতি আল্লাহর এ উক্তির স্থলাভিষিক্ত “তুমি আমার রাসূল। তোমার দ্বারা মু’জিযাহ প্রদর্শন, তোমার দাবীর সত্যায়ন”। (আল ইয়াওয়াকীতু ওয়াল জাওয়াহিরু-১/১৫৮)।
৩. কোন নবীর নবুওয়াতের মৌলিক প্রমাণ হল, তাঁর সত্তা, তাঁর গুণাবলী, ও জনগণের সামনে তাঁর উপস্থাপিত শিক্ষা। এগুলো দেখেই সুস্থ মস্তিষ্ক, জ্ঞান সম্পন্ন, মেধা ও ধীশক্তির অধিকারী ব্যক্তি ঈমান আনয়ন করে। আপামর জনসাধারণ যারা বাহ্যিক ও অনুভবযোগ্য নিদর্শনের প্রভাবিত হয়ে থাকে, আল্লাহর তা’য়ালা তাদের জন্যমু’জিয়াহ প্রকাশের ব্যবস্থা করে থাকেন। যাদের জন্য বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নির্ধারিত নেই, তারা মু’জিযাহ দেখেও ঈমান আনার সৌভাগ্য লাভ করতে পারে না। ইরশাদ হয়েছে : (ক) অত:পর আমরা যখন দৃষ্টি করলাম মু’জিযাহ প্রত্যাশীদের প্রতি দেখলাম তারাই মু’জিযাহ তালাশ করে যাদের ঈমানী শক্তি দুর্বল। অন্যেরা মু’জিযার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। বরং তারা রাসূল যে বাণী নিয়ে এসেছেন তার প্রতি প্রথম আহŸানেই ঈমান আনে। কেননা তাদের ঈমানের অংশটি সবল। কাজেই অতি সহজেই তারা নবীর আহŸানে সাড়া দিতে পারেন। পক্ষান্তরে যার মধ্যে ঈমানের কোন যোগ্যতা নেই সে মু’জিযাহ প্রত্যক্ষ করেও ঈমান আনয়ন করতে পারে না। আল্লাহ ইরশাদ করেন-আল্লাহ যাকে পথ হারা করতে চান, তার বক্ষকে সংকুচিতকরে দেন। তার কাছে ব্যাপারটি এমন কষ্ট সাধ্য হয় যেন সে ঊর্ধ্ব আকাশ পানে আরোহন করছে। (আল আনআম-১২৫), (আল ইয়াওয়াকীতু ওয়াল জাওয়াহিরু-১/২১৫)।
৪. আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’য়ালা জনগণ যেন ভ্রান্তিতে না পড়ে সে লক্ষ্যে কোন মিথ্যা ও ভÐ নবীকে মু’জিযাহ দান করেননি। এবং তার কোন ভবিষ্যৎ বাণী পূর্ণ হতে দেননি। এজন্যই মির্যা কাদীয়ানীর কোন ভবিষ্যৎ বাণী সত্যে পরিণত হয়নি বরং বাস্তবতা সর্বদাই তার বিপরীতে ছিল। প্রকৃত পক্ষে মুহাক্কিক উলামাগণ এ ব্যাপারে একমত যে, মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার ব্যক্তির হাতে মু’জিযাহ প্রকাশ পাওয়া সম্ভব নয়। কেননা মু’জিযাহর উদ্দেশ্য হল নবুওয়াতের দাবীকে অকাট্যভাবে সত্যবলে প্রমাণ করা। সুতরাং ভÐ নবীর দ্বারা মু’জিযাহ প্রকাশ পেলে রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে, সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদীর মাঝে পার্থক্য মোটেই থাকবে না। (নিবরাস-২৭২-২৭৩)।
৫. দাজ্জালের ব্যাপারটি উপরের নীতিমালা হতে পৃথক। আল্লাহ তার দ্বারা কিছু অস্বাভাবিক কার্যকলাপ প্রকাশ করাবেন। হাদীস সংকলন মেশকাত শরীফের দাজ্জালের পরিচ্ছেদে সে বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে, দাজ্জাল কিন্তু নিজেকে নবী বলে দাবী করবে না। হযরত নূহ (আ:) এর প্রতি আল্লাহ ইরশাদ করেছেন-(ক) তুমি আমার ওহী অনুযায়ী আমার তত্ত¡াবধানে জলযান নির্মাণ কর, যালিমদের সম্পর্কে আমার নিকট সুপারিশমূলক কিছু বলো না। নিশ্চয় তারা জলমগ্ন হবে। (হুদ-৩৭) (খ) হে আমার সম্প্রদায়! এটি আল্লাহর কুদরাতের উটনী। এতে রয়েছে তোমাদের জন্য নিদর্শন। সুতরাং একে তোমরা অবকাশ দাও। সে আল্লাহর জমিনে চড়িয়ে খেতে থাক। তাকে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত করতে স্পর্শ করো না। কেননা তাতে তোমাদেরকে নিকটবর্তী শাস্তি পাকড়াও করবে। (হুদ-৬৪)। (গ) আমি বললাম : হে অগ্নি! তুমি ইবরাহীমের উপর শান্তিদায়ক ঠাÐা হয়ে যাও। (আল আম্বিয়া-৬৯) (ঘ) হে পর্বতমালা! তুমি তার সাথে সুললিত কণ্ঠে তাসবীহ আবৃত্তি কর এবং তার সামনে লৌহকে নরম করে দিয়েছি। (সাবা-১০) (ঙ) (হযরত সুলাইমান (আ:) জনগণকে বলে দিলেন-) আমাকে পাখির ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়েছে। (আন নামল-১৬) (চ) সুলাইমান (আ:) এর সামনে মানব -দানব পাখীর সেনাদল সমবেত করা হল, অনন্তর তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল। (নামল-১৭) (ছ) আমি তার জন্য গলিত তামার ঝর্ণা প্রবাহিত করলাম। আর কতিপয় জ্বিন তার সামনে তার প্রভুর নির্দেশক্রমে কর্ম করত। (সাবা-১২) (জ) আমি তাঁর (সুলাইমানের) জন্য বায়ুকে অনুগত করে দিয়েছি (সায়াদ-৩৬) (ঝ) আমি সুলাইমান (আ:) এর জন্য বায়ু বাধ্য করে দিয়েছি। তার প্রভাত ভ্রমণ ছিল এক মাসের পথ ও সন্ধ্যা ভ্রমণ ছিল এক মাসের পথ।
৬. নবীগণের যে সকল মু’জিযাহ অকাট্য প্রমাণাদী দ্বারা প্রমাণীত তার উপর ঈমান আনা ফরজ। এরূপ মু’জিযাহ্্র কোন একটি অস্বীকার করলে মানুষ ইসলামের গÐি হতে বের হয়ে যাবে। যেমন : নূহ (আ:) এর কিস্তির মু’জিযাহ, সালেহ নবীর উটের মু’জিযাহ্্ ইবরাহিম নবীর অগ্নিকুÐ ফুলবাগিচায় পরিণত হওয়া, দাউদ নবীর হাতে লোহা মোমের মত নরম হওয়া, সোলায়মান (আ:) এর পশু-পাখির ভাষা বুঝা, মানব-দানব তার অধীনস্থ হওয়া, মাসের দূরত্ব পথ ঘন্টায় অতিক্রম করা, মূসা নবীর হাতের লাঠি, ঈসা (আ:) এর বিনা পিতায় জন্ম লাভ, জন্মের পরে কথা বলার ক্ষমতা পাওয়া, মাটির পাখিতে ফু দিয়ে জীবিত পাখির মত উড়িয়ে দেয়া, জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে চক্ষুষ্মাণ ও সুস্থ করে তোলা, মহানবীর (সা:) জন্য কোরআন মাজিদ, মেরাজের ঘটনা, রাসূলের হাতে নিক্ষিপ্ত ধুলি তাঁর ঘর বেষ্টনকারী কাফেরদের চক্ষুতে নিক্ষিপ্ত হওয়া ইত্যাদি মু’জিয়াহসমুহের উপর ঈমান আনয়ন বাধ্যতামূলক। যেসকল মু’জিযাহ অকাট্য দলিল দ্বারা সাব্যস্ত নয় সেগুলোও সত্য। এগুলোর অস্বীকৃতি কুফরী না হলেও নিশ্চিত ভ্রান্তি ও পথ-ভ্রষ্টতা। এর কারণ হল, খবরে ওয়াহিদ সম্ভাবনাময়। সম্ভাবনা ও নিশ্চয়তা একত্রিত হতে পারে না। এ জাতীয় বিষয়কে যে অস্বীকার করে সে নির্বোধ, তার বিবেক-বুদ্ধি ভ্রান্ত। (কাশফুল আসরার-৩/৬৯৪)।
৭. মু’জিযাহ কোন নবী-রাসূলের ইখতিয়ারে থাকে না। যখন ইচ্ছা, তখনই প্রদর্শন সম্ভব নয়। বরং তা সম্পূর্ণই আল্লাহ পাকের ইচ্ছাধীন। আল্লাহর যখন ইচ্ছে তিনিই তখন তা প্রদর্শন ও নবীর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। (ক) প্রকাশ থাকে যে, প্রকৃত পক্ষে মু’জিয হচ্ছেন আল্লাহ তা’য়ালা। কেননা ক্ষমতা-অক্ষমতা সৃষ্টিকারী তিনি। সুতরাং সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম সংঘটিত কাজকে রূপক অর্থে মু’জিযাহ বলা হয়, এটি হাকীকী বা প্রকৃত অর্থ নয় বরং আল্লাহর কর্ম, যা নবীর হাতে প্রকাশ করে থাকেন। মু’জিযাহ বান্দার অন্য কর্মের মত নয়। (কেননা বান্দার অন্য কর্মের ¯্রষ্টা হল আল্লাহ, আর কাসিব বান্দা। পক্ষান্তরে মু’জিযাহর খালক ও কসব দুটাই আল্লাহর (মাদারিজুন নবুওয়াত-২/১১৬)।
৮.কখনো কখনো আল্লাহ তা’য়ালাই হুবহু কাফিরদের দাবী অনুযায়ী নবীর দ্বারা মু’জিযাহ প্রদর্শন করেছেন। তবে কাফিরগণ হটধর্মী ও জিদের বশবর্তী হয়ে কোন মু’জিযাহ দাবী করলে আল্লাহ তা’য়ালা তা পূর্ণ করেননি। ইরশাদ হয়েছে : (ক) হে আমার সম্প্রদায়! এটি আল্লাহর বিশেষ উটনী। তোমাদের জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে। সুতরাং তোমরা তাকে অবকাশ দাও।” (হুদ-৬৪) (খ) “তারা বলল : আমরা তোমাকে কখনো বিশ্বাস করব না। তবেহ্যাঁ, যদি আমাদের জন্য ভূমি হতে একটি সুন্দর ঝর্ণা প্রবাহিত করে দিতে পার, অথবা তোমার খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হোক আর তার মধ্যে দিয়ে সুদৃশ্য নহরসমূহ প্রবাহিত করে দাও অথবা তুমি যেমন বলে থাক তেমনিভাবে যদি আমাদের উপর আকাশ খÐ-বিখÐ করে ফেলে দাও, অথবা আল্লাহ ও ফেরেস্তামÐলীকে আমাদের সামনে নিয়ে আস, অথবা তোমার জন্য সোনার তৈরী একটি গৃহ হোক (তা হলে) তোমার কথায় বিশ্বাস করতে পারি।) অথবা তুমি আকাশে আরোহরণ করবে, কিন্তু আমরা তোমার আকাশে আরোহণকে আদৌ বিশ্বাস করবনা যে পর্যন্ত না আমাদের প্রতি একটি গ্রন্থ অবতীর্ণ করবে, যা আমরা পাঠ করব। তাদের এত দাবীর উত্তরে সংক্ষেপে বলে দাও, আমার প্রভু-পবিত্র, মহান। আমি একজন মানুষ-রাসূল বৈ কিছুই নই।”
৯. হযরত মুহাম্মাদ (স:) সর্বশেষ নবী। তাঁর পর কিয়ামত পর্যন্ত কোন নবী আসবেন না। হুজুর (সা:) এর পরে কোন ভÐ মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার ব্যক্তির নিকট যে মু’জিযাহ দাবী করবে, সেও ইসলামের গÐি হতে বের হয়ে যাবে। কেননা এ দাবী খতমে নবুওয়াতের আকীদায় সন্দেহ করার নামান্তর। অন্যথা খতমে নবুওয়্যাতের পূর্ণ বিশ্বাস রেখে শুধু ভÐের ভÐামী প্রকাশ করার জন্য মু’জিযাহ দাবী করলে তা কুফর হবে না। প্রকাশ থাকে যে, ইমাম আবু হানিফার যামানায় এক ব্যক্তি নবীহওয়ার দাবী করে বসল। সে বলল : আমাকে অবকাশ দাও, আমি আমার দাবীর স্বপক্ষে দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করি। ইমাম আবু হানিফা (র:) বললেন : তোমার নিকট কোন প্রমাণ চাই না। যে তোমার নিকট প্রমাণ দাবী করবে, সে তো কুফুরী করল। কেননা নবী করিম (সা:) বলেছেন : “আমার পর কোন নবী আসবে না”। (মানাকিবি ইমামিল আ’যম-১/১৬১)।
১০. কোন নবী হতে নবুওয়াতের কার্যক্রম শুরু করার পূর্বে যে অস্বাভাবিক কার্যসমূহ সংঘটিত হয়ে থাকে, তাকে ইরহাস বলে। যেমন হস্তী বাহিনীর ঘটনাকে মহানবীর ইরহাসের মধ্যে গণ্য করা হয়ে থাকে। “ইরহাস” একবচন, ‘বহুবচন “ইরহাসাত”। নবীর নবুওয়্যাতের কার্যক্রম আরম্ভ করার পূর্বে তার হাতে সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম কোন কাজ সংঘটিত হলে তাকে ইরহাস বলে। “ইরহাস” শব্দের মূল অর্থ ভিত্তি স্থাপন করা। যেমন তুমি প্রাচীরের ভিত্তি স্থাপন করলে বল (আরহাসতুল হা-য়িতা) ইরহাস যেহেতু তার নবুওয়াতের প্রাথমিক ভিত্তি বলে বিবেচিত হয়, কাজেই ঐ কর্মকে ইরহাস নামে নামকরণ করা হয়েছে। (হাশিয়ায়ে খেয়ালী-৮৪) ব্যতিক্রমধর্মী কাজের প্রকার সমূহের মধ্যে চতুর্থ প্রকার হল ইরহাস। যেমন নবী করিম (সা:) কে নবুওয়াতের পূর্বে প্রস্তর খÐ সালাম করেছে। রাসূল (সা:) এর এ জাতীয় কাজকে কেউ কেউ কারামত, কেউ কেউ মু’জিযাহ বলেও আখ্যায়িত করেছেন। (নিবরাস-২৭২) আসহাবুল ফিল বলতে তাদেরকে বুঝায় যারা কা’বা শরীফ ধ্বংস করতে বদ্ধ পরিকর হয়েছিল এটিও ইরহাসের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে ইবনে কাছীর-৪/৫৪৯)।
১১. এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য যে, মু’জিযাহ শব্দটি মূলত : আকাইদের পরিভাষা। কুরআন হাদীসে তাকে “আয়াত” “যুরহান” “আলামাত” এবং “দলীল” শব্দে প্রকাশ করা হয়েছে। এর জন্য দেখুন, (ক) সূরা আনআম-৩৭ (খ) সূরা নিসা-১৭৫ (গ) সহীহ বুখারী-১/৫০৪ (ঘ) ফাতহুল বারী-৬/৭২১। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।