পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এই বৈঠকে কোন দেশ কী অবস্থান নেবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। গতকাল সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার রাখাইনে যা ঘটছে তাকে ‘টেক্সটবুক এথনিক ক্লিনজিং’ অর্থাৎ জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের যা সংজ্ঞা, হুবহু তাই বলে বর্ণনা করেন। তারপরই জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষদের বৈঠক হচ্ছে।
জানা গেছে, ব্রিটেন এবং সুইডেনের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের যে কোনো একটি দেশ যদি কোন প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেয়, তাহলে সেটি আটকে যায়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে তাই ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, চীন এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গা সঙ্কটে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থাকে শতভাগ সমর্থন জানিয়ে চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার চীন আবারও বলেছে, তারা ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ রক্ষায় মিয়ানমার সরকারের পাশে আছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, মিয়ানমার সরকার তাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যে চেষ্টা করছে, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের উচিত তার পাশে থাকা।
রাশিয়ার অবস্থানও মিয়ানমারের পক্ষে বলে মনে করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব যদি ভোটাভুটিতে দেয়া হয়, তাহলে রাশিয়া তাতে কতটা সমর্থন দেবে, সেটা নিয়ে সংশয় আছে। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গা সঙ্কটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মাথা গলাক, সেটা চীন চায় না। নিরাপত্তা পরিষদের আরেক স্থায়ী সদস্য অবশ্য রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে তাদের দীর্ঘ নীরবতা ভেঙেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সহিংসতার মুখে যেভাবে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে তাতে বোঝা যায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে না। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকেও চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। খবর বিবিসির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।