নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট থেকে বিশ্রাম চেয়েছিলেন ৬ মাসের। আপাতত শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ছুটি মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেটা নিয়েও চলছে তোলপাড়। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও টেস্ট থেকে সাকিবের বিশ্রাম নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা। চারপাশে বিস্ময়ের ঝড়, জমছে প্রশ্নের পাহাড়। সেই প্রশ্নগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ব্যাখ্যা করলেন নিজের অবস্থান। এমনিতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলেন কমই। বেশিরভাগ সময় শেষ করেন অল্প কথায়। কিন্তু গতকাল দুপুরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে মেলে ধরলেন কথার ঝুড়ি। নিজেই খোলাসা করলেন, কেন বিশ্রামটা তিনি নিচ্ছেন।
বনানীর নিজ বাসায় সাকিব সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন চনমনে মেজাজে। অস্বস্তিকর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন হাসিমুখেই। কেন এই বিশ্রামের সিদ্ধান্ত, সেটির ব্যাখ্যা দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘আমার আরও অনেক দিন খেলার বাকি আছে। এই সময়ে যদি ভালো খেলতে চাই, তাহলে বিশ্রামটা আমার জরুরি। চাইলেই খেলতে পারি। এখন আপনারা কী চান? পাঁচ-সাত বছর খেলি, নাকি দুই বছর খেলি! যদি এভাবে খেলতে থাকি, এক দুই বছর পর ওভাবে খেলতে পারব না। এভাবে খেলার চেয়ে না খেলাই ভালো। যত দিন খেলব যেন ভালোভাবে খেলতে পারি- এটাই আমার লক্ষ্য। বিরতিটা যদি পাই, শারীরিকভাবে না যতটা মানসিকভাবে আরও বেশি সতেজ হয়ে ফিরতে পারব। তাতে হয়তো পরের পাঁচ বছর চিন্তামুক্ত হয়ে আমার খেলা সম্ভব হবে। যেটা মনে করি এক-দুই ম্যাচ বা এক-দুই মাসের চেয়ে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
৬ মাসের চেয়ে পেয়েছন দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের দুটি টেস্ট থেকে। তবে সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়েও ভাবনাটা খেলেছে সাকিবের, ‘৬ মাসের জন্যই আবেদন করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত এবারের দুটি টেস্ট অনুমতি দিয়েছে। এরপর যখন খেলা শুরু হয়ে যাবে... দক্ষিণ আফ্রিকা, বিপিএল হবে, তার পর ওই সময়টা চিন্তা করব যে ওই দুটি টেস্ট খেলব কী খেলব না। সেভাবে কথা বলব তখন। তার পর যদি তারা মনে করে যে আমার খেলার দরকার বা আমার নিজের যদি মনে হয় যে মানসিকভাবে এমন অবস্থায় আছি যে পুরোটা দিতে পারব, তখন অবশ্যই খেলব।’
হঠাৎ ছুটির অমন চিন্তার পর অনেকেই ভাবছেন ভিন্নপথে। যার একটি, বিশ্ব ক্রিকেটে অনেকেই টেস্ট ছেড়ে দিয়ে শুধু রঙিন পোশাকে খেলছে। নিজের সেরকম কোন ভাবনা নেই বলেই জানালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘এমন তো নয় যে আমি আর ক্রিকেটই খেলছি না! অবশ্যই খেলব। কেন খেলব না! আমার ইচ্ছে আছে, সবার পরে টেস্ট থেকে অবসর নেব। তার আগে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে থেকে অবসর নেব। সবার শেষে টেস্ট থেকে। কিন্তু আমার মনের কথা সবসময় সবাইকে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। আমার ভেতরে কি আছে, আমি জানি। এবং লোকে যেমন সচেতন, আমিও সচেতন যে কী করলে ভালো হয়, কী করা যায়। আমি ওভাবেই চেষ্টা করব।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ঢাকা টেস্ট সাড়ে তিন দিনে জিতেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তার কাছে আরো ভালো কিছু পেতে পারতো দল। সেই বিশ্বাস থেকে তার ছুটিকে সন্মান দেখালেও আক্ষেপ আছে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের। এ ব্যপারটিও খোলাসা করেছেন সাকিব, ‘আমার থাকা না থাকায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। কারণ দুনিয়াতে কোনো জিনিসই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি এবং মন থেকে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ধারাটা অব্যাহত থাকবে। যে যাবে, সে ভালো করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং। সবার ভেতর বাড়তি চেষ্টাও থাকবে ভালো করার।
পরিশেষে ছুটিটা মঞ্জুর হওয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতেও ভোলেননি সাকিব, ‘দুই টেস্টের পর যদি যাই, প্রায় এক মাসের বিরতি হয়ে গেল আমার। এই বিরতি গত তিন-চার বছরে পাইনি। আমার জন্য এটা অনেক বড় বিরতি। ধন্যবাদ জানাই বিসিবিকে, তারা আমার কথাটা বুঝতে পেরেছে। আমার শারীরিক অবস্থা অন্যদের চেয়ে আমিই ভালো বুঝতে পারব। এটা ম্যানেজ করার দরকার আছে। সিদ্ধান্তটা নেওয়া এ কারণেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।