মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা নিধনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারজুড়ে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। গত সোমবার মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে সা¤প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা গেছে। হামলার আশঙ্কায় বৌদ্ধদের প্যাগোডায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ৭০ জনের একদল বিক্ষুব্ধ বৌদ্ধ তলোয়ার ও লাঠিসোটা নিয়ে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর টাউং ডুইন গাই-এর একটি মসজিদে হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা চিৎকার করে বলছিল, এটি আমাদের দেশ, এ আমাদের মাটি। মসজিদের ইমাম মুফতি সুলেইমান এ বিষয়ে জানিয়েছেন। বৌদ্ধরা যখন হামলা চালানোর চেষ্টা করছিল, তখন মসজিদের ভেতরে ছিলেন মুফতি সুলেইমান। টেলিফোনে তিনি রয়টার্সকে বলেন, আলো নিভিয়ে দিয়ে আমরা মসজিদ থেকে পালিয়ে যাই। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, মসজিদে হামলা করতে আসা উত্তেজিত জনতাকে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেয়। তাদের সরাতে রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার প্রতিশোধ নিতে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা ১১ সেপ্টেম্বর হামলা চালাতে পারে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে বৌদ্ধদের মধ্যেও উত্তেজনা বেড়ে যায়। মিয়ানমারের জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে মাত্র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ মুসলিম, যাদের অধিকাংশই রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা। কিন্তু মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুসলিমরা। তাদের সঙ্গে স্থানীয় অন্য ধর্মানুসারীদের দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবরে বলা হয়,ধর্মীয় উসকানিমূলক কোনও গুজব ছড়ানোর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ার করেছে মিয়ানমার সরকার। বৌদ্ধ অধ্যুষিত ৫ কোটি ১৪ লাখ মানুষের দেশ মিয়ানমারে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মুসলিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের পক্ষ থেকে মিয়ানমার জুড়ে সবগুলো মসজিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মুসলিম ধর্মের নেতারা সব ধর্মের মানুষদের ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেছেন বলে জানায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ায় রোহিঙ্গাবিরোধী সহিংসতায় এরই মধ্যে নিহত অজ্ঞাত সংখ্যক রোহিঙ্গা। জীবন বাঁচাতে ৩ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিমরা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।