Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেসামরিকদের সুরক্ষায় ব্যর্থ মিয়ানমার

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিজ দেশের বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া বিপুল সংখ্যক বেসামারিক মানুষের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়। সংকট উত্তরণে মিয়ানমারকে কফি আনানের নেত্বত্বাধীন রাখাইন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে রাখাইনের দুর্গত মানুষের রোহিঙ্গা পরিচয়টি একবারও ব্যবহার করা হয়নি। আর মিয়ানমারকে ডাকা হয়েছে উপনিবেশিক বার্মা নামে। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘ ছাড়াও আরও ১৬টি মানবিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ত্রাণ কার্যক্রমে অসহযোগিতা আর বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে তখন বলা হয়, কখনও ভিসা বন্ধ করে, কখনও সহায়তাকর্মীদের ফেরত পাঠিয়ে, কখনওবা আবার স্থানীয় প্রশাসনের রক্তচক্ষুর মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে লাখ লাখ রোহিঙ্গার জীবন শঙ্কা দেখা দেয় বলে অভিযোগ তুলেছে মানবিক সহায়তার আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো। এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে সারা স্যান্ডার্স বলেন, ‘আমরা এমন অভিযোগে উদ্বিগ্ন। নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, হত্যা ও ধর্ষণসহ অনেক অভিযোগ পাচ্ছি আমরা। মিয়ানামার কর্তৃপক্ষকে আইনের প্রতি সম্মান রেখে এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে কাউকে যেন ঘরছাড়তে না হয় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা পরিস্থিতির তদন্তে গত বছর মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। আগস্টের শেষ সপ্তাহে আনানের নেত্বত্বাধীন রাখাইন কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসে। এতে রোহিঙ্গাদেরকে বিশ্বের একক বৃহত্তম রাষ্ট্রহীন স¤প্রদায় হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, যদি স্থানীয় জনগণের বৈধ অভিযোগগুলি উপেক্ষা করা হয়, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত না করা হয় এবং এ স¤প্রদায়টি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক থেকে যায় তাহলে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য জঙ্গিবাদের উর্বর ঘাঁটিতে পরিণত হবে। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে রাখাইন কমিশনের ওই প্রস্তাবনা অনুযায়ী মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। সারা স্যান্ডার্স বলেন, আমরা মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীকে আইনের প্রতি সম্মান রেখে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাই। নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে রাখাইন কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করারও আহ্বান জানাই আমরা। গার্ডিয়ান, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ