Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে ফিরছে ফ্লোরিডাবাসী

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হারিকেন ইরমার ধাক্কা সামলে উঠে বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দারা। ফ্লোরিডার অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দাকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রেখে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও ভেতরে এগিয়ে গেছে শক্তি হারিয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হওয়া ইরমা। যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় আরমার আঘাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজ্যে এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী। নিহত হয়েছেন অন্তত চারজন। গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লোরিডার ৬৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছেন প্রকৌশলীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এর তান্ডবে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বিদুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ঝড়টির প্রভাবে ফ্লোরিডার অরলান্ডো থেকে জ্যাকসনভিল, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের উপকূল থেকে সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শহরগুলোর অসংখ্য সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। মৌসুমী ঝড়ে পরিণত হওয়ার আগে ইরমা গত এক শতাব্দীতে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে সৃষ্ট সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন ছিল; কিউবায় আঘাত হেনে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়া ইরমা রোববার ফ্লোরিডা কি নামে পরিচিতি ফ্লোরিডা উপকূলের বিভিন্ন দ্বীপে আঘাত হানে। এরপর ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূল ধরে উত্তর দিক বরাবর এগিয়ে গিয়ে মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করে। এর তান্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় জনবহুল রাজ্য ফ্লোরিডার অনেক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট জানিয়েছেন, চার মাত্রার ঝড় হিসেবে আঘাত হানা ইরমা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ফ্লোরিডা কি দ্বীপপুঞ্জ এবং সেখানকার রিসের্টাগুলোর। সেগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, আমরা যা দেখেছি তা ভীতিকর, গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেন গভর্নর। ঝড়ের ধাক্কায় দ্বীপগুলোতে অবস্থানরত প্রায় প্রতিটি মোবাইল-হোম উল্টে পড়েছে বলেও জানান তিনি। ঝড় চলে যাওয়ার পরও দ্বীপগুলোর স্থানীয়দের বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরতে অনুমতি না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কমবেশি প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা এখনো দ্বীপগুলোতে অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে, তাদেরকেও সরিয়ে নিতে হবে। ওই দ্বীপগুলো কবে পর্যটক ও বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে তা ঠিক হয়নি। ইরমার সবেচেয়ে মারাত্মক আঘাতের সাক্ষী না হলেও মিয়ামি শহরকেও ইরামার মাশুল গুনতে হয়েছে। ব্যাপক বন্যার পাশাপাশি শহরের লিটল হাইতি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা ধ্বংসস্তুপের সারি ধরে বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফেরা শুরু করেছে। ঝড়ের সময় কাছাকাছি চার্চে আশ্রয় নেওয়া এই এলাকার বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী মেলিদা হার্নান্দেজ বলেন,আমি কাঁদতে চেয়েছি, কিন্তু সত্যি হচ্ছে এটাই জীবন। ঝড়ে গাছ পড়ে তার বসতবাড়ি দুই টুকরো হয়ে গেছে। গত সোমবার উত্তরপূর্ব ফ্লোরিডার অনেক এলাকায়ও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। জ্যাকসনভিলের পুলিশ কোমর সমান উচ্চতার পানি থেকে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করছে। ১৮৪৬ সালের পর সেইন্ট জোনস নদীর পানির উচ্চতা এবার সবচেয়ে বেশি হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ