নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনকে হারিয়ে তৃতীয় ইউএস ওপেন ও ক্যারিয়ারের ১৬তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতলেন রাফায়েল নাদাল। পরশু রাতে নিউ ইয়র্কের ফ্ল্যাশিং মিডোয় অনুষ্ঠেয় পুরুষ এককের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা জেতেন ৬-৩, ৬-৩, ৬-৪ গেমের সরাসরি সেটে। এজন্য তিনি সময় নেন ২ ঘন্টা ২৮ মিনিট।
চলতি বছরে ৩১ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকার এটি দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। গত জুনে ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপা জিতেছিলেন নাদাল। যা ছিল রোঁলা গারোয় তার রেকর্ড দশম শিরোপা। একই রকম স্বপ্নীল বছর ২০১৩ সালেও পার করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে তাই সর্বগ্রে নাদাল বলেন, ‘এই বছরে যা ঘটল তা অবিশ্বাস্য।’
নাদাল ভক্তরা অবশ্য ব্যাপারটাকে ‘অবিশ্বাস্য’ হিসেবে নাও নিতে পারেন। ব্যাপারটা তো এমন নয় যে এটি তার প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড ¯ø্যামের মালিক তিনি। দশবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের পাশাপাশি তৃতীয়বারের মত জিতলেন ইউএস ওপেন, দুবার জিতেছেন উইম্বলডন, একবার অস্ট্রেলিয়ান। সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম রেকর্ডের দিক থেকে তার সামনে কেবল ১৯ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সুইস তারকা রজার ফেদেরার। তাহলে ব্যাপারটা তার কাছে ‘অবিশ্বাস্য’ ঠেকছে কেন? জানা যাক নাদালের কাছ থেকেই, ‘কয়েক বছর ধরে ইনজুরির সাথে যুদ্ধ চালানো এবং কিছু সময় বাজে সময় পার করার পর চলতি মৌসুমের শুরু থেকে এমন খেলতে পারাটা সত্যিই খুব, খুবই আবেগঘন।’ ইউএস শিরোপাও নাদালের হাতে মানে বছরের শিরোপা চারটি ভাগ করে নিলেন দুই টেনিস গ্রেট। বছরের বাকি দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন সুইস তারকা ফেদেরার।
এমন সুখের মাঝেও একটি ব্যাপার নাদালকে করে তুলেছে আরো অবেগঘন। ইউএস ওপেনই তার শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম যেখানে তিনি শেষবারের মত কাজ করেছেন তার চাচা টনির সাথে। ২০১৮ সালের শুরুতে তার কোচিংয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন কার্লোস ময়া। যে কারণে উইএস ওপেনে ক্রুসের পাশাপাশিই ছিলেন ময়া। কোচ চাচা সম্পর্কে নাদাল বলেন, ‘সে আমার জন্য কি করেছে তা বলে বোঝাতে পারব না। সত্যি বলতে তাকে ছাড়া আমি কখনো টেনিসই খেলতে পারতাম না। তার মত একজনকে পাওয়া ছিল সত্যিই অসাধারণ। তিনি সব সমই আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন।’
মুখোমুখি লড়াইয়ে ৪-০ ব্যবধানে এড়িয়ে থেকে অ্যান্ডারসনের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাদাল। আধিপত্য ধরে রাখলেন এবারো। ২০১০ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিস পয়েন্ট হারান মাত্র ১৫টি। একবারও ব্রেক পয়েন্টের মুখোমুখি হতে হয়নি, ১৬ পয়েন্টের সবকটিই তিনি নেটেই শেষ করেন। এমনই দুর্দান্ত ছিলেন ২৩তম গ্র্যান্ড ¯ø্যামের ফাইনাল খেলা নাদাল।
অপরদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলা অ্যান্ডারসনের অন্যতম টেনিস আইডল হলেন তার এদিনের প্রতিপক্ষ। প্রিয় তারকার বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে পেরেই তিনি খুশি, ‘আমি জানি আমারা সমবয়সী কিন্তু আমার মনে হয় পুরো জীবন জুড়েই যেন আমি তাকে দেখে আসছি। তুমি (নাদাল) হলে এই খেলার সবচেয়ে কঠিনতর প্রতিপক্ষ এবং কিংবদন্তিসম প্রতিনীধি।’ তবে লক্ষ্য থেকে এত সহজে সরে আসছেন না অ্যান্ডারসন, ‘আমি সবসময় যেটা চেয়ে এসেছি এটা সেই রেজাল্ট না, তাই আমি লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমি আবারো ফিরব।’
সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী পুরুষ খেলোয়াড় (শীর্ষ ৫)
খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফ্রেঞ্চ ওপেন উইম্বলডন ইউএস ওপেন মোট
রজার ফেদেরার (সুইজারল্যান্ড) ৫ ১ ৮ ৫ ১৯
রাফায়েল নাদাল (স্পেন) ১ ১০ ২ ৩ ১৬
পিট সাম্প্রাস (যুক্তরাষ্ট্র) ২ ০ ৭ ৫ ১৪
রয় এমারসন (অস্ট্রেলিয়া) ৬ ২ ২ ২ ১২
নোভাক জকোভিচ (সার্বিয়া) ৬ ১ ৩ ২ ১২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।