Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ইসিকে আইনের আওতায় আনার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য না হলে নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
অপর দিকে রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধান বাতিলের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। গতকাল রোববার সকালে দলটির চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির সঙ্গে সংলাপে এ প্রস্তাব করেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১০ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে রাখা ও নির্বাচনী বিতর্কের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তার সঙ্গে দলের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিলের সুপারিশ রয়েছে। মতিন বলেন, মহিলাদেরকে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নির্বাহী কমিটিতে সীমিত কোটায় না রেখে প্রত্যেক দলের অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন করে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হোক। বিদ্যমান নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে দলের কমিটির প্রত্যেক স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। ধারাবাহিক সংলাপে বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ রয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসিকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের একদিন আগে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেন তারা। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মো. ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ যদি নির্বাচন করতে না পারে সেজন্য সংসদ ভেঙে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানানো হয়। সবার সুবিধার্থে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের দাবিও জানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এছাড়া নির্বাচনী জামানত ১০ হাজার টাকা, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য আইন করা, নির্বাচনী ব্যয় কমানো, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিসহ ১৫ দফা দাবি জানায় দলটি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দাবিগুলো হচ্ছে- সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ দলীয়ে প্রভাবমুক্ত, স্বাধীন এবং শক্তিশালী করতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকতে হবে। এরপরও যদি সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে এবং নির্বাচনকালীন পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় এনে জবাবদিহিতার জন্য আইনি কাঠামো প্রণয়ন করা। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক পর্যক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। নির্বাচন কমিশনের এমন ক্ষমতা থাকতে হবে যে, কোনো দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীরা যদি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নৈরাজ্য করে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এই মর্মে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কার্জকর সংসদ ও জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হলো কালো টাকা, পেশি শক্তি ও দলীয় প্রভাবমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। দেশি–বিদেশি সাংবাদিক ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ