Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে সুচির বিচার করতে হবে -বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুচি ও সামরিক জান্তার মিয়ানমার সরকারের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করে এবংব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধে বাধ্য করতে হবে। গতকাল বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে একথা বলেন। তরা বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সুচির বিচার ও নোবেল পুরস্কার কেড়ে নিতে হবে। এসব বিষয়ে সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ জনতার দাবী। খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী রোহিঙ্গা মুসলিম রক্ষা এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধে বাধ্য করতে মিয়ানমার সরকারের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সকল মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, নতজানু হয়ে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম দেশ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদুতকে বহিস্কার করতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কর্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার সকালে ওলামা-তোলাবা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত বি বাড়িয়ার বড়াইল মীর সিটিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথীর ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মুফতি ড. শাব্বির আহমাদ, মাওলানা মীর মাজহারুল হক, হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন ভ’ঁইয়া, কারী নাসির উদ্দীন মীর, হাফেজ আলমগীর হোসেন, মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেন, মাওলানা হেলাল উদ্দীন বড়াইলী, মুফতি নিজাম উদ্দীন, মাওলানা নূরে আলম ও হাফেজ আল আমীন প্রমূখ।
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি ও খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ন-মহাসচিব হাজী জালাল উদ্দিন বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এবং তাদের দেশান্তর করে মিয়ানমার সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল আইন ও মানবাধিকার লঙ্গন করছে। এ গণহত্যার নায়ক সুচির বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় সসস্ত্র জিহাদের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আরাকানের মুসলমানদেরকে স্বাধীনভাবে বসবাস করার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারের ওআইসি ও জাতিসংঘকে অনতিবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানান।
ত্রাণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো ওআইসি ও
বিশ্ব মুসলিম নেতাদের ওয়াজিব হয়ে গেছে
-আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ
লন্ডন প্রতিনিধি জানান, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত বৃহত্তর ইসলামি মারকাজ সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক ও ইসলামিক লিডার আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেছেন, মিয়ানমারের গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করা ও গণহত্যা বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া ওআইসি ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের উপর ইতিহাসের চরম হত্যাকান্ড চালানো হচ্ছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম আহত ও পঙ্গু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করছে। তাদের পাশে ত্রাণসামগ্রী ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো সময়ের বড় কুরবানী। তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের প্রতি আহবান জানান।
গত শনিবার লন্ডন সময় দুপুর ২টায় সিরাজাম মুনিরা এডুকেশন সেন্টারে এক আলোচনা সভায় মায়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথাগুলো বলেন।
সেন্টারের পরিচালক আলহাজ কাজী মো. নানু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সুমী মহসিনা এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. চন্দন মিয়া, আলহাজ মো. আব্দুল মালিক, মো. মোস্তাকিম আলী, মো. আব্দুল হালিম প্রমুখ।
আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে নির্মম গণহত্যা চালাচ্ছে তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাত কেটে, পা কেটে, গলা কেটে যে বীভৎসভাবে হত্যা করা হচ্ছে তা মুসলিম সেন্টিমেন্ট গ্রো করছে। দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে সেদেশে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং পালিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার ও আহবান জানান তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ