নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত জানুয়ারিতে পায়ে করা লেগেছে অস্ত্রপচার। যে কারণে উইম্বলডনে নামতে পারেননি। ছয় সপ্তাহ আগেও ছিলেন র্যাঙ্কিংয়ের ৯৫৭ নম্বরে। বর্তমান র্যাঙ্কিংটা ৮৩। এবারের ইউএস ওপেনে খেলছেন অবাছাই হিসেবে। এমন অবস্থা থেকে কি গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জেতা সম্ভব?
নামটি যদি হয় ¯েøায়ানে স্টিফেনস তাহলে উত্তরটা হলো - হ্যাঁ, আলবৎ সম্ভব! পরশু নিউ ইয়র্কের ফ্ল্যাশিং মিডোয় যে সেটাই করে দেখালেন ২৪ বছরের এই তরুণী। শৈশবের বান্ধবী ও র্যাঙ্কিংয়ের ১৫ নম্বর বাছাই ম্যাডিসন কেসকে ৬-৩, ৬-০ গেমে উড়িয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত গ্র্যান্ড ¯ø্যাম শিরোপায় চুমু এঁকে দিলেন স্টিফেনস। উন্মুক্ত যুগে পঞ্চম অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে কোন গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জিতলেন এই আমেরিকান।
র্যাঙ্কিং অনুযায়ী তো বটেই এমনিতেই ‘অল আমেরিকান’ ফাইনালে ফেভারিট ছিলেন কেস। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিলেন মাত্র ৬১ মিনিটে। ম্যাচ শেষে স্টিফেনস বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। জানুয়ারিতে আমার পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তখন যদি কেউ আমাকে বলতো- আমি ইউএস ওপেন জিতব, আমি তাকে বলতাম- অসম্ভব। এই শিরোপা জয়টি ছিলো অবিশ্বাস্য। কেস আমার খুবই প্রিয় বান্ধবী। তার বিপক্ষে খেলাটাও কঠিন ছিলো। আমি ভালো খেলে শিরোপা জিতেছি। দিনটি আমার ছিলো। তারপরও শুভ কামনা রইল কেসের জন্য।’
কেসেরও এটি ছিল প্রথম গ্র্যান্ড ¯ø্যাম ফাইনাল। ফেভারিট হয়েও জিততে না পারার জন্য ভাগ্যকে দুষছেন ২২ বছর বয়সী, ‘স্টিফেনস আমার খুবই প্রিয় একজন মানুষ। তাকে শৈশবকাল থেকেই আমি চিনি। তার বিপক্ষে খেলাটা সব সময়ই বিশেষ কিছু। তবে আজ আমি নিজের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। ভাগ্য আমার সাথে ছিলো না।’ হারটা প্রিয় বান্ধবীর কাছে হওয়ায় কোন দুঃখ নেই কেসের, ‘আজ যদি কারো কাছে আমাকে হারতে হয় তাহলে তার (স্টিফেনস) কাছে হারেই আমি খুশি।’
২০০২ সালে জেনিফার ক্যাপ্রিয়াতির শিরোপা জয়ের পর উইলিয়ামস পরিবারের বাইরে কোনো আমেরিকান নারী খেলোয়াড় হিসেবে বড় কোন টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতলেন স্টিফেনস। ইউএস ওপেন জিতে ২.৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড প্রাইজমানি পাচ্ছেন স্টিফেনস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।