নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়ন কল্পে চারবছর মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন। পরিকল্পনার উল্লেখয্গ্যো অংশ হিসেবে তারা আট বিভাগে অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন ও জিম তৈরী করবে। ইতোমধ্যে শেখ কামাল অ্যাথলেটিক একাডেমির জন্য প্রকল্প তৈরী হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে শুরু হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামস্থ সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সভাপতি এএসএম আলী কবির।
তিনি বলেন, ‘অ্যাডহক কমিটি গঠনের পর গেল দু’মাসে আমরা দেশের অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করেছি। উড়িষ্যার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, নাইরোবিতে ওয়ার্ল্ড যুব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং লন্ডনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের মতো চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্সে (্আইএএএফ) যে বন্ধ্যাত্বতা ছিল, তা কাটিয়ে উঠেছি। নিষেধাজ্ঞামুক্ত হওয়ায় এখন আমাদের আর কোন সমস্যা নেই। আইএএএফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সার্গেই বুবকান এবং সাবিস্তিয়ান ঢাকায় আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা ঢাকায় এলে অ্যাথলেটিক্সের প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ বাড়বে।’ আলী কবির আরও বলেন, ‘দেশের আট বিভাগে আমরা অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন তৈরী করছি। যেখানে এক যোগে অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের ম্যারাথন। এছাড়া অন্য কার্যক্রমও চলবে। তবে সব কিছুই মনিটর করবে ফেডারেশন।’ তিনি যোগ করেন, ‘২০১৯ সালের এপ্রিলে নেপালে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমস। সেখানে আমরা একটি বড় দল পাঠাবো। তবে তার আগে আগামী জানুয়ারি মাসে কোলকাতায় একটি দলকে পাঠানো হবে। যারা সেখানে উন্নত প্রশিক্ষণ নেবে। আরেকটি দল ঢাকায় প্রশিক্ষণ নেবে। অবশ্য এ ব্যাপারে লন্ডনে সাবিস্তিয়ানের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়েছে। তিনি সেই ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শেখ কামাল অ্যাথলেটিক একাডেমি নির্মানের জন্য ২৮ কোটি টাকার প্রজেক্ট তৈরী করা হয়েছে। অচিরেই তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেব আমরা।’
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে আমরা কেবল স্প্রিন্টারই পাঠাই, অন্য ইভেন্টে অ্যাথলেট পাঠাই না কেন? এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে স্প্রিন্টে পাঠানোটা সহজ। সেখানে কোন মানদন্ড থাকে না। কিন্তু অন্য ইভেন্টে পাঠাতে গেলে শেষ মূহূর্তে বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া আমাদেরকে একটি করে কোটা দেয়া হয়। তবে ২০১৯ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য কোটা বাড়ানোর কথা ভাবছে আইএএএফ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।