পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাবার, পানি ও চিকিৎসা সঙ্কট : প্রতিষ্ঠিত এনজিওগুলো ত্রাণ দিচ্ছে না : দোষারোপে লিপ্ত রাজনীতিকরা
জাফর আলম, ৬৫ কিলোমিটার পথ মাকে পিটে করে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল বা বর্বরতার হাত থেকে বাঁচলেও সীমান্ত পেরিয়ে পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। মাকে পিঠে করে নিয়ে আসায় অন্য কোন মালামাল সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেননি। খাবার ও পানির অভাবে নিজের প্রাণশক্তি কমে আসলেও সেদিকে খেয়াল নেই। এখন আহার যোগিয়ে বা চিকিৎসা দিয়ে মাকে বাঁচিয়ে রাখাই তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজ্জত-আব্রæ বাঁচিয়ে একটু নিরাপদে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা এখনো করতে পারেননি। এ সমস্যা শুধু জাফর আলমের একার নয়, মিয়ানমার থেকে প্রাণে বেঁচে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্মূল অভিযান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বন-জঙ্গল, পাহাড়-টিলা আর নদী-নালা পেরিয়ে যারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসতে পেরেছেন তাদের দুর্ভোগ এখন সীমাহীন। শরণার্থী শিবির বা রাস্তার পাশে সামান্য ঠাঁই মিললেও পাচ্ছে না খাবার, পানি বা কোন চিকিৎসা সেবা। এপারে এসে যেসব স্থানে আশ্রয় নিয়েছে এসব নির্যাতীত মুসলিম যেসব স্থানে শুধু শোনা যাচ্ছে কান্নার রোল। অনেকে কাঁদার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে অবুঝ বাচ্চাদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। অনেকে এ অবস্থা দেখে নীরবে চোখের পানি ফেলছেন। কিন্তু সামর্থ্য নেই তাদের সহযোগিতা করার।
কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত লাখ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য-পানীয়, স্যানিটেশন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেবাদানে নিয়োজিত এনজিওগুলো শুধুমাত্র নিবন্ধিত শরণার্থীদের মাঝে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, কোন অনিবন্ধিত বা সদ্য মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য তাদের ত্রাণ সহায়তা নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং বিভিন্ন ইসলামী দলসহ দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মহাসঙ্কটে নিপতীত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে রাজধানীতে বসে পরস্পরের প্রতি দোষারোপের রাজনীতি করে চলেছেন, কেউ রোহিঙ্গাদের পাশে ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসছেন না। স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, ক্লাব, পাড়া বা মহল্লার পক্ষ থেকে খাবার, পানি, বাঁশ বা পলিথিন নিয়ে রোহিঙ্গাদের দিয়ে আসছেন যা চাহিদার তুলনায় যার পর নাই নগণ্য। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে টেকনাফে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে কানজর পাড়া, কুতুপালং, ল্যাডা বা রইক্যংয়ে পৌঁছাচ্ছে না কোন ত্রাণ। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়-টিলায় মাটি কেটে কেটে অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে রোহিঙ্গারা অবস্থান করলেও খাবার ও পানির অভাবে ধীরে ধীরে প্রাণশক্তি ক্ষয়ে যাচ্ছে।
ওপারে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ বর্বরতার শিকার হচ্ছেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, কুপিয়ে হত্যা, নারীদের গণর্ষণ এমনকি শিশুদের নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ করেছেন তারা। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা মুসলমানরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের পেলেই নির্মমভাবে হত্যা করছে। খুনের পর গুম করছে লাশ। আবার কখনও সেই লাশ নিয়ে উল্লাস করছে। শিশুদেরও পুড়িয়ে মারছে। কখনও কখনও মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে শিশুদের। বাবা-মায়ের সামনে ছেলেকে, স্ত্রীর সামনে স্বামীকে, সন্তানের সামনে বাবাকে কখনও গুলি করে, আবার কখনও গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। যারা জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইছে তাদেরও রেহাই নেই। খুঁজে পেলেই হত্যা করা হচ্ছে। নৌকা দিয়ে পাড়ি দেয়ার সময়ও হত্যা করা হচ্ছে অনেককেই।
প্রাণ বাঁচাতে স্রোতের বেগে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েকশ’ তরুণ-যুবক-মধ্যবয়সী কাঁধে অথবা পিঠে করে বয়ে নিয়ে এসেছেন অক্ষম বৃদ্ধ বাবা-মাকে। বর্ষার এই প্রতিকূল পরিবেশও তাদের পথে বাধা হতে পারেনি। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচাতে যেন তারা দুঃসাহসিক অভিযানে নেমেছেন। তাদের সহযাত্রী হয়েছেন নারী ও শিশুরাও। বাংলাদেশের ভেতরে ঢোকার পর তাদের ভয় অনেকটাই কমে গেছে। এ কারণে তারা বিশ্রাম নিয়ে আস্তে আস্তে এগোচ্ছেন। অনেকেই আবার কাদার মধ্যেই বিশ্রাম নিয়ে পা বাড়াচ্ছেন। কিন্তু এর আগেই নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম –যাদের অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। মিয়ানমারে জঙ্গল বা পাহাড়ে লুকিয়ে থাকার সময়ে সন্তান প্রসব করেছেন অনেক রোহিঙ্গা নারী। তারা কোন বিশ্রাম না নিয়ে সেই অবস্থাতেই সদ্যপ্রসূত সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। কিন্তু মায়ের যেখানে খাবার নেই, পানি নেই, সেখানে এই নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখাই তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। নিজেও দুর্বল থাকার তার জীবনও রয়েছে শঙ্কায়।
সা¤প্রতিক সময়ে প্রায় তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট থেকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। নাফ নদীর ওপারে এখনও লাখ পাঁচেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা যেন বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারলেই বেঁচে যান। বন, জঙ্গল, পাহাড় আর নদী পেরিয়ে যারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন। তাদের গন্তব্য এখন টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প। যদিও সেখানেও নেমে এসেছে মানবিক বিপর্যয়।
সীমান্তের এপার থেকে প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের ঘববাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপেরও ব্যাপক ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যাতে ফিরতে না পারে সেজন্য সীমান্তে পুঁতে রাখা হয়েছে স্থলমাইন। মাইন বিস্ফোরণে ইতোমধ্যে কয়েকজন আহতও হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭০ জনের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সীমিত ক্ষমতায় মাইনের আঘাত, বাড়ি জ্বালিয়ে দেবার সময়ে পোড়া, গুলি বা ছুরিকাঘাতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কিন্তু মিয়ানমার থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আসার সময় নানাভাবে আহত, অপুষ্টির শিকার শিশু, প্রসূতি নারী, বৃদ্ধ বা প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসায় কোন কার্যক্রম গ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, ইউকে এইড, সলিডারিটি, ইউএনএইচসিআর, হ্যান্ডিক্যাপসহ প্রতিষ্ঠিত এনজিওগুলো পুরনো শরণার্থী শিবিরগুলোর নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা, শিক্ষা, স্যানিটেশন, মেডিটেশনের মতো সেবাগুলো দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সদ্য আসা তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমের জন্য তাদের ত্রাণ তৎপরতা সম্প্রসারণের কোন তথ্য স্থানীয় সংবাদদাতা বা প্রত্যক্ষদর্শীরা দিতে পারেননি।
টেকনাফ থেকে আমাদের সংবাদদাতা মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, মিয়ানমারে সেদেশের সেনাবাহিনীর বর্বরতা থেকে প্রাণে বেঁচে আসলেও বাংলাদেশে এসে নতুন দুর্ভোগে পড়ছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব দুর্গত মানুষের কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার বা টাকা-পয়সা কেড়ে নিচ্ছে। শরণার্থীদের ইজ্জতে হাত দেবারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেকে খাবার, পানি, তাঁবু, পলিথিন নিয়ে আসলেও তারা সহজগম্য স্থানে তাদের সেসব সামগ্রী শরণার্থীদের দিয়ে আসছেন। কিন্তু অর্থ বা যানবাহন সঙ্কটের কারণে যারা সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন স্থানে মানবেতর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাদের কাছে কোন ত্রাণ যাচ্ছে না। তাদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এসব গ্রæপের মধ্যে প্রসূতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, নানাভাবে আহত এবং শিশুরা রয়েছে বলে জানান ছিদ্দিকুর রহমান।
সীমান্ত থেকে এসে আমাদের উখিয়া সংবাদদাতা দীপন বিশ্বাস জানান, মংডুর আকবর পাড়ার নজু মিয়ার ছেলে জাবের হোসাইন রেজু (১৮) আমতলী সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের সাথে ২৮ জন অনুপ্রবেশ করে। তাদের অনেকেই অভিযোগ করে জানান, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার পর বেশকিছু স্থানে লুটেরারা তাদের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। শেষ সম্বল বলে তাদের আর অবশিষ্ট কিছু নেই। এখন তারা রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী শিবির পর্যন্ত আসবেন এমন ক্ষমতাও তাদের নেই।
এদিকে ক্ষমতাসীন, বিরোধী বা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানীতে বসে বক্তৃতা বিবৃতিতে মুখর করে রেখেছেন। তারা পরস্পরের প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য কোন কিছু না করার অভিযোগ করে যাচ্ছেন। ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পে কথিত হামলার পর থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসতে শুরু করলেও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কেউ তাদের দেখতে যাননি। বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে এসে প্রথম দাঁড়িয়েছেন সুদূর তুরস্ক থেকে আগত দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান। গতকাল প্রথম দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবার প্রস্তুতি হিসেবে আজ (রোববার) থেকে অনিবন্ধিত শরণার্থীদের নাম তালিকাভুক্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
বিএনপি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া ও ত্রাণ সহায়তা দেবার জন্য রাজধানীকেন্দ্রিক দাবিদাওয়া পেশ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির কোন ত্রাণ তৎপরতার তথ্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীতে বসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের যে যেভাবে পারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। গত শুক্রবার রোহিঙ্গাদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ এবং এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ কামনা করে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম এ দলটি।
দেশের ইসলামী দলগুলো রোহিঙ্গা সঙ্কট নতুন করে শুরু হবার পর থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার বেশ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজধানীতে র্যালিও করা হয়েছে। সীমিত আকারে কিছু কিছু সংগঠন ত্রাণ দিচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকর কোন ত্রাণ তৎপরতা দৃশ্যমান না হলেও দেশের মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের প্রতি দোষারোপে ত্যক্ত-বিরক্ত। সরকার বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হচ্ছে যে, সরকার রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ এবং রোহিঙ্গা স্রোত প্রতিরোধে কোন পদক্ষেপই নিচ্ছে না। অপরদিকে সরকার বিরোধীদের প্রতি আঙুল তুলে বলছে, তারা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে রাজনীতি করছে। দেশের রাজনীতিকদের দোষারোপের রাজনীতি নিয়ে গণমাধ্যম যখন সরগরম তখন পীড়িত রোহিঙ্গারা অপেক্ষায় রয়েছেন আশ্বাস নয়, দু’মুঠো খাবার পেয়ে প্রাণ বাঁচানোর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।