নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আশানুরুপ ফল করলেও দলে যে কোন সমস্যা নেই তা নয়। সমস্যা মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। দেশসেরা অনেক নামী খেলোয়াড়রাও যেভাবে তেড়েফুড়ে এসে শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসছেন তাতে দল নিয়ে দুশ্টিন্তা হওয়ারই কথা। সাথে একাদশ নির্বাচন ও কে কোন ভুমিকায় ব্যাট করবে এ নিয়েও সমস্যাটা রয়েই গেছে। এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। যেখানে আদর্শ পেসিং কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের মোকাবেলা করতে হবে স্টেইন-মর্কেল-রাবাদাদের মত সময়ের সেরা সেরা সব পেসারদের।
সেক্ষেত্রে অবশ্য সুযোগ থাকছে টাইগার বোলরদের সামনেও। এক্ষেত্রে সবার আগে আসে মুস্তাফিজুর রহমানের কথা। গত এক বছর ঠিক যেন চেনা ভুমিকায় ছিলেন না মুস্তাফিজ। আগের সেই ক্ষুরধার বোলিং, বুকে কাপন ধরানো সেই কাটার, সুইং সব যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন। হঠাৎ তার এমন নিষ্প্রভতায় আলোচনাও হচ্ছিল বেশ। কানাঘুসো শুরু হয়েছিল পেস বোলিং কোচ ও সাবেক উইন্ডিজ কিংবদন্তী ক্রিকেটার কোর্টনি ওয়ালশের কোচিং কার্যকারিতা নিয়েও।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনারদের অকার্যকর সময়ে দারুণ পারফরমেন্স দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। ঢাকা টেস্টে আসলে ভালো করার সুযোগটাও পাননি কাটার মাস্টার। বল হাতে নিয়েছিলেন মাত্র ১৪ ওভার, তাতে পাননি কোনো উইকেট। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে চমক দেখিয়ে তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ১৩ উইকেটের ৫টি।
বোলিংয়ে দলের প্রধান অস্ত্র এমন ফর্মে ফেরায় স্বভাবতই খুশি ওয়ালশ। তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছে। সে নিজের আক্রমণাত্মক চেহারাটা দেখাতে পেরেছে। একই সঙ্গে খেলাটাও যে তার নিয়ন্ত্রণে সেটা দেখাতে পেরেছে। আমি মনে করি চট্টগ্রাম টেস্টে সে যে উইকেটগুলো পেয়েছে, তা তাকে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস এনে দেবে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট শিকার করেন ‘দ্য ফিজ’। সিরিজে বাংলাদেশের অন্যতম ভয়ের কারণ ছিলেন এই ওয়ার্নারই। এ প্রসঙ্গে ওয়ালশ বলেন, ‘একই টেস্টে দুবার ওয়ার্নারের মত ব্যাটসম্যানকে আউট করার অর্থ এই নয় যে, সে অনেক উচ্চতায় উঠে গেছে। কারণ, এমনিতেই সে (ওয়ার্নার) উঁচুমানের খেলোয়াড়। এটাও ঠিক, তারা দুজন আইপিএলে একই দলের হয়ে খেলেন। এ কারণে সন্তুষ্টির জায়গাটা আরও বড়।’ কাটার মাস্টার খ্যাত ক্রিকেটারের আক্রমণাত্মক মানসিকতা দেখে খুশি হয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তার আক্রমণাত্মক মানসিকতাটা দেখেই আমি খুশি হয়েছি বেশি। তার মুখে হাসি ফিরে আসাটাও ছিল জরুরি। এ বিষয়গুলো ভালো দিক।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পেস কাজে লাগিয়ে ভালো করতে চান বাংলাদেশের বোলিং কোচ। ওয়ালশ বলেন, ‘সেখানকার উইকেট হবে গতিময়, পেসনির্ভর। এটা আমরা সবাই জানি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এমনই প্রত্যাশা করছি। পেসারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। হাতে সময়ও খুব কম। মাত্র এক সপ্তাহ প্রস্তুতি যা নেয়ার এর মধ্যেই নিতে হবে। এ কারণে দ্রæত পেসারদের নিয়ে কাজ শুরু করতে চাই। যাতে সবাই ভালো একটা অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে পারে। এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা এবং চ্যালেঞ্জিং সময়। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। যে অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার ভিন্ন কন্ডিশনে দারুণ কাজে দেবে।’
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টেস্ট, দুটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। নিশ্চিতভাবেই ঐ সফরে বাড়তি সুবিধা পাবেন পেসাররা। এজন্য পেসারদের নিয়ে পৃথকভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন কোর্টনি ওয়ালশ। অন্যদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও ইঙ্গিত দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে পাঁচ পেসারকে অন্তর্ভুক্ত করার। সেক্ষেত্রে কোচ হিসেবে এই সিরিজে ওয়ালশের পরীক্ষাও হবে একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল বিসিবির ইনডোর মাঠে পেসারদের নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করেন ওয়ালশ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিতর্কিত পেসার শাহাদাত হোসেনও। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে, বিশেষ করে ঢাকা টেস্টে স্পিনাররা দুর্দান্ত পারফরমেন্স প্রদর্শন করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে নাও থাকতে পারেন তাইজুল ইসলাম। পাঁচ পেসারকে দলভুক্ত করে মাত্র একজন স্পিনারকে সঙ্গে নিয়েই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ভাবছেন টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা। এদিকে ব্যাটিংয়েও নতুন পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নামমুল হাসান পাপন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।