Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমাদের তেল-গ্যাসের ক্ষুধা মেটাতেই রোহিঙ্গা নিধন

ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতি

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাখাইন রাজ্যের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ‘ক্ষুধার্ত’ পশ্চিমা করপোরেট গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতেই মিয়ানমারের সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নিধনযজ্ঞ চালিয়ে রোহিঙ্গাদের নিজভূমি থেকে বিতাড়নের কৌশল নিয়েছে বলে মনে করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)। মিয়ানমার ভারতেরও প্রতিবেশী। দেশটির সঙ্গে ভারতের এক হাজার ৬০০ কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে। ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে। এদের মধ্যে ১৬ হাজার জাতিসংঘের নিবন্ধিত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির এই বিবৃতি এমন একটি সময়ে এল, যার একদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফর করে দেশটির পরামর্শদাতা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন। মোদি রাখাইন রাজ্যে চরমপন্থী সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, নিরীহ জনগণের জীবন আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মিয়ানমানের সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। ‘রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করার পেছনের কারণ হচ্ছে, পশ্চিমা করপোরেটের ক্ষুধা। তাঁরা রাখাইন রাজ্যের বিপুল তেল ও প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করতে চায়। হামলা-হত্যা-হুমকির মাধ্যমে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের মাধ্যমে মিয়ানমানের সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতারা পশ্চিমা করপোরেট গোষ্ঠীর সেই দাবিই মেটাতে চান’, বলে উল্লেখ করে সিপিআই। সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সুধারাম রেড্ডি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বোঝা যায়, এতে মোদি নিজস্ব সা¤প্রদায়িক-ভেদনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে সিপিআই সাধারণ সম্পাদক তাঁর বিবৃতিতে বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা-নির্যাতন চালানো হচ্ছে, কিন্তু এখন এটা ‘জাতিগত নিধনে’র পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাতে শুধু হাজার হাজার নিরীহ সাধারণ মানুষকেই হত্যা করা হচ্ছে না উপরন্তু লাখ লাখ মানুষ যাতে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে আশ্রয় নেয় সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতা অং সান সু চির সমালোচনা করে সিপিআই নেতা বলেন, অবিশ্বাস্যভাবে সু চি শুধু এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থই হননি, তাঁর নীরব দর্শকের ভূমিকা সেখানে বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ করে দিয়েছে। এবিপি, জিনিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ