Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সোচ্চার হলেও সরকার নতজানু -বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারা বিশ্ব আজ প্রতিবাদে সোচ্চার হলেও সরকার নীরব। এই অগণতান্ত্রিক সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। এটা খুবই দুঃখজনক। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করতে সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা গ্রহণের তিনি দাবি জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে দীর্ঘ এই মানববন্ধন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টায়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন বন্ধের দাবি সংবলিত নানা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করে। ঢাকাসহ সারা দেশে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি একযোগে পালনের ঘোষণা থাকলেও বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিভিন্ন জেলায় পুলিশ এই কর্মসূচি করতে দেয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দাবি খুব সুস্পষ্ট, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হোক, তাদের খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করা হোক এই রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
তিনি বলেন, ওরা হিন্দু না মুসলিম, এটা জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই। ওরা মানুষ। সেই মানবতার বিরুদ্ধে আজকে মিয়ানমার সরকার যুদ্ধ শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আসুন আমরা আজকে জনমত সংগঠিত করে সমগ্র বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই তারা যেন এই গণহত্যা বন্ধ করে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
বিএনপি মহাসচিব মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারসমূহ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, যখন তাদের (মিয়ানমার) বিমান আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে তখন এই সরকার চুপ করে থাকে। এটা হচ্ছে এ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিচায়ক।
তিনি বলেন, আমরা যখন মিডিয়াতে দেখি সেই নাফ নদীর তীরে শিশুদের লাশ পড়ে আছে, যখন আমরা দেখি নৌকা ডুবে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সেই আরাকান রাজ্যের সমস্ত গ্রাম জ্বলছে, তখন আমাদের সরকার নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আজকেও তারা (সরকার) সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কূটনৈতিক দিক থেকে এবং মানবিক দিক থেকে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নাই।
১৯৭৯ সালে রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় একই ঘটনা ঘটেছিল, নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। তখন তিনি তাদের আশ্রয় দিয়েছেন, খাদ্য ও চিকিৎসা প্রদান করেছেন এবং একই সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করেছেন সেই সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিতে। পরে খালেদা জিয়াও ১৯৯২ সালে যখন রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সরকারের অত্যাচারে আবার পালিয়ে চলে আসে, তখনো তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করেছিলেন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, মিয়ানমার সরকার একটি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তি¡ক গোষ্ঠীকে তাদের দেশ থেকে নৃশংসতার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে, এটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা নারী-পুরুষদের হত্যা করেছে, এমনকি নবজাতক শিশুকেও রেহাই দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের একটি মাত্র সমাধান সেটা হচ্ছে, আমরা মানবতার হাত রোহিঙ্গাদের প্রতি বাড়িয়ে দেব এবং সারা বাংলাদেশের মানুষ এ জন্য প্রস্তুত আছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুঃখের বিষয় মিয়ানমারের এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তার দিক থেকে এবং মানবেতর যে অবস্থা, তার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। অথচ আমরা নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়টি তুলতে পারিনি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার অথচ সেই দেশের কাছে খাদ্য-চাল আনতে গেছেন আমাদের খাদ্যমন্ত্রী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। অর্থাৎ নাফ নদীর রক্তাক্ত লাশের ওপর দিয়ে কামরুল ইসলাম গেছেন মিয়ানমারে। কত বড় নতজানু এই সরকার, প্রতিবাদ করতে পারে না, তাদের কাছে অনুনয়-বিনয় করছেন।
প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী-খান সোহেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা নির্যাতন বন্ধে মায়ানমার সরকারের ওপর আর্ন্তজাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ মানবাধিকার সংস্থাসমূহের প্রতি দাবি জানিয়ে দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রকিবেদন-
বগুড়ায় মানববন্ধন করতে না পেরে মসজিদে দোয়া
বগুড়া ব্যুরো জানায়, পুলিশী বাধায় মায়ানমারে নির্বিচারে মুসলমানদের গণহত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কমসূচি পালন করতে না পেরে মসজিদে দোয়া মাহফিল করেছে বগুড়া বিএনপি
গতকাল সকাল থেকেই বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বগুড়া শহরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। শহরের নবাববাড়ী সড়কের দুই প্রবেশমুখ ফতেহ আলী মোড়ের সামনে এবং সদর পুলিশ ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় সবধরনের যানবাহনের চলাচল। সার্কিট হাউজের সামনে নবাববাড়ী সড়কের প্রবেশ মুখে রায়টকার ও জলকামান মোতায়েন করা হয়। পুরো নবাববাড়ী সড়কে মোতায়েন করা হয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দল বেঁধে টহল দেয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম পুলিশের এই ভূমিকাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, মায়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। বিএনপি সেই ঘটনার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়ে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। তিনি আরও জানান, পুলিশী বাধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে না পারায় বাদ জুম্মা বগুড়ার বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে দোওয়া মাহফিলের কর্মসুচি পালন করা হয়।
খুলনায় বিএনপির মানববন্ধন
খুলনা ব্যুরো জানায়, রোহিঙ্গাদের ওপর ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা নির্যাতন বন্ধে মায়ানমার সরকারের ওপর আর্ন্তজাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি’সহ মানবাধিকার সংস্থাসমূহের প্রতি দাবি জানিয়েছেন খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে অন্যায় জুলুমের শিকার অপর মুসলিমকে আশ্রয় দেয়া আমাদের ইমানী দায়িত্ব। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা রোহিঙ্গাদের ভাইদের পাশে খাদ্য-বস্ত্র ও ওষুধ সামগ্রী নিয়ে দাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে। মায়ানমারে মুসলিম নিধনযজ্ঞকে সমর্থনকারী ভারত, চীনসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অনির্বাচিত অবৈধ সরকারও ভারতের অনুসরন করছে। কারো তাবেদারী করে আর একটি ৫ জানুয়ারী মার্কা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যাবেনা বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন বিএনপি নেতারা। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এ দেশে তাদের আশ্রয় দানের দাবিতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি’র পৃথক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, এ্যাড. বজলার রহমান, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, শেখ হাফিজুর রহমান, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, এ্যাড. গোলাম মাওলা, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, ইকবাল হোসেন খোকন, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদ কামাল, কেএম হুমায়ুন কবির, একরামুল কবির মিল্টন, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মেহেদী হাসান রিজভী, শামসুজ্জামান চঞ্চল, মুজিবর রহমান ফয়েজ, মাহবুব হাসান পিয়ারু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, প্রমুখ।
ময়মনসিংহে পুলিশী বাধাঁয় বিএনপির মানববন্ধন পন্ড
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপির মানববন্ধন ঠেকাতে দলীয় কার্যালয়’সহ নেতাদের বাড়ী বাড়ী পুলিশী ব্যারিকেট ছিল কঠোর অবস্থানে। ফলে পুলিশ বাধাঁয় পন্ড হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির মানববন্ধন। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, মানববন্ধনে যোগ দিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দলীয় নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের পুলিশী বাধাঁ পেয়ে নগরীর নতুন বাজারস্থ বাগান বাড়ী এলাকায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের বাসার সামনে জড়ো হয়। কিন্তু পরক্ষনেই সেখানে পুলিশ চারদিকে ব্যারিকেট করে রাখায় সেখানেই প্রতিবাদ সমাবেশ করে নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহ শিব্বির আহম্মেদ বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, লিটন আকন্দ, কোতয়ালী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আজিজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক রফিকুল আলম শামীম, কোতয়ালী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মফিদুল ইসলাম মাসুদ, যুবদল নেতা জগলুল হায়দার, তাতীঁদলের সভাপতি নাজিম খান, সাধারন সম্পাদক জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আতাহার তালূকদার রিপন, ছাত্রনেতা জসীম উদ্দিন জনি, জিএস মাহাবুব, এজিএস রানা, ওলামাদল নেতা মাও. আরিফ রব্বানী, মাও.মোমেন প্রমূখ।
মেহেরপুরে বিএনপির মানববন্ধন
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা, নারী শিশুদের নির্মম অত্যাচার নিপীড়ন বন্ধ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পূনার্ঙ্গ নাগরিক অধিকার দিয়ে নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে মিয়ারমারে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বড়বাবু, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
ফরিদপুরে রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির মানবন্ধন
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মায়নামারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনের মুজিব সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, বিএনপির নেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, রউফুননবী, আফজাল হোসেন খান পলাশ প্রমুখ।
গাজীপুর জেলা বিএনপির মানববন্ধন
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মায়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান নারী পুরুষ ও শিশুদের নিপিড়ন, পুড়িয়ে হত্যা, গণধর্ষণ, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠনের প্রতিবাদে শুক্রবার গাজীপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন। বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ূন কবীর, মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদল নেতা সালাহ উদ্দিন সরকার, পৌর বিএনপির সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আফজাল হোসেন কায়সার, আহমদ আলী রুশদী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো: সোহরাব উদ্দিন, সাখাওয়াৎ হোসেন সবুজ, বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন টুলু, হান্নান মিয়া হান্নু, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সাবেক ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান এলিচ, হুমায়ুন কবীর রাজু, প্যানেল মেয়র হাসান আজমল ভ‚ইয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মোল্লা প্রমুখ।
কুড়িগ্রামে বিএনপি মানববন্ধন
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানানা, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত হত্যা বন্ধ এবং নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়ার দাবিতে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহম্মেদ, মহিউদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি’র মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মায়নামারে রোহিঙ্গাদের উপর সরকারের নিষ্ঠুর নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর বিএনপি পৃথক মানববন্ধন করেছে। বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচী শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে পালন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু জাফর, এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আব্দুল হাই রাজু, রুপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা মহিলাদলের সভাপতি নূর নাহার বেগম, সাধারন সম্পাদক রহিমা শরীফ মায়া, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান প্রমূখ। কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মায়নমারে মুসলমানদের উপর যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে তা মানবতা বিরোধী অপরাধ, মানবতার চরম লঙ্ঘন। সে দেশে ক্ষমতায় রয়েছে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুকির সরকার। তিনি এখন আর শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষের নেত্রী নন। তিনি এখন মানবতা বিরোধী নেত্রী। তার নোবেল এখন ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। যে গণহত্যা, নির্যাতন ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার তান্ডব সেখানে চলছে তা বন্ধে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহŸান জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সভাপতি এড. আবুল কালাম, সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম মজনু, এড. জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর সেন্টু, আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ