নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন দশম এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নতুন সাজে সাজছে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়াম। এখানকার ফ্লাডলাইট স্থাপনসহ নানা সংস্কার কাজ নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও হকি ফেডারেশন। তবে এই স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিলো। ফলে শঙ্কা ছিলো ফেডারেশনের বেঁধে দেয়া দিনক্ষণ ২৬ সেপ্টেম্বর ফ্লাডলাইটের আলো জ্বলবে তো! জানা গেছে, ভারত থেকে আসা ফ্লাডলাইটের টাওয়ার প্লেটগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে ঈদুল আযহার আগেই পৌঁছেছে। কিন্তু এলসিতে (লেটার অব ক্রেডিট) নাম্বার ভুল থাকায় এক সপ্তাহের বেশি সময় পর তা হাতে পায় ফেডারেশন। গতকাল প্লেটগুলো হাতে পেয়ে স্বস্থির নিঃশ্বাস ছাড়েন ফেডারেশন ও এনএসসি কর্তারা। নির্ধারিত সময়ে ফ্লাডলাইটের আলো জ্বলা নিয়ে সংশয় থাকলেও তাদের বক্তব্য, ‘কাজ শেষ করে ২৬ সেপ্টেম্বরেই আলো জ্বালানোর চেষ্টা করবো আমরা। হয়তো দুয়েক দিন সময় বেশিও লাগতে পারে।’
দীর্ঘ ৩২ বছর পর ঢাকায় বসছে এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের দশম আসর। আগামী ১১ থেকে ২২ অক্টোবর মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের খেলা। বড় এই টুর্নামেন্টকে সফল করতে ফ্লাডলাইট স্থাপন ও স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে দশ কোটি টাকা এনএসসির মাধ্যমে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চেয়েছিল হকি ফেডারেশন। পরে অন্য খরচসহ সেই অংক বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। এই বাজেট অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেলে শুরু হয় ফ্লাডলাইট স্থাপনসহ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের নানাবিধ সংস্কার কাজ।
টুর্নামেন্টের গ্রæপিং হয়েছে আগেই। গত মাসে লোগো উম্মোচন হয়েছে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের বাইরে থেকে সরাসরি ভিআইপি বক্সে যাওয়ার জন্য লিফট স্থাপনের কাজও চলছে। কিন্তু এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) প্রথম যে শর্ত, সেই ফ্লাডলাইট স্থাপন নিয়েই কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। কিছুদিন আগে টাওয়ার পিলার আসলে স্টেডিয়ামের ভেতরে টাওয়ার বসানোর জন্য গর্ত খোঁড়া হয়। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে ছিল টাওয়ার প্লেট। অবশেষে সেই প্লেট কাল হকি ফেডারেশনের হাতে পৌঁছালে দুপুরের পর শুরু হয় প্লেট বসানোর কাজ। কেন প্লেটগুলো সময় মতো ঢাকায় পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ কিছু না জানলেও এনএসসি’র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এলসি জটিলতায় আটকে থাকা প্লেটগুলো উদ্ধারে বৃহস্পতিবারই চট্টগ্রাম বন্দরে যান ক্রীড়া পরিষদের প্রকৌশলীরা। অ্যামেন্ডমেন্ট (এলসির সংশোধন) করে সব ঝামেলা মিটিয়ে প্লেটগুলো নিয়ে ওইদিন রাতেই তারা রওয়ানা হওয়ার ফলে আজ (গতকাল) প্লেটগুলো ঢাকায় এসে পৌঁছে। আশাকরি শনিবারের (আজ) মধ্যেই আমরা তিনটি টাওয়ারের প্লেট স্থাপনের কাজ শেষ করতে পারবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।