Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চারদিক থেকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয় রোহিঙ্গাদের

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমার জান্তা বাহিনী নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে হত্যা করছে নিরীহ রোহিঙ্গাদের। তবে ভাগ্যজোরে কেউ কেউ সে গুলির আঘাত পেলেও, বেঁচে যান মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু এতেও থামে না সামরিক বাহিনীর নির্মমতা। গুলিতে না মরলে, পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয়। অনেকে প্রাণের ভয়ে লাশের সাথে মিশে থাকার চেষ্টা করলেও, তাতেও শেষ রক্ষা হয় না। মগ তরুণেরা কুপিয়ে কুপিয়ে সব মস্তক ছিন্ন করে। নারী-শিশু-বৃদ্ধ কেউই রক্ষা পায় না তাদের কাছ থেকে। এভাবেই দেশটির সেনা বাহিনী ও মগ তরুণদের নির্মমতার কথা তুলে ধরেন মংডুর মিয়াজাম পাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ঘরবাড়ি পোড়ানোর পাশাপাশি আমার সামনেই মা’কে পুড়িয়ে মারা হয়। সুন্দরি মেয়েদের ধরে নিয়ে যায় তারা। এরপর তাদের সঙ্গে কী করে এক আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। প্রাণপ্রিয় মাকে হারিয়ে অনেকটাই হত-বিহŸল আবুল হোসেন। প্রাণ বাঁচাতে তিনদিন আগে খালি গায়ে শুধু লুঙ্গি পরা অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে এসেছেন। বর্তমানে উখিয়ার পালংখালীর থাইংখালী এলাকায় অন্য রোহিঙ্গাদের মতো মিলেছে মাথা গোঁজার ঠাই। জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার কৌশলের কথা উল্লেখ করে আবুল হোসেন বলেন, মগেরা আমাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার কথা বলে প্রথমে একটি ঘরে আনে। আশ্বাস দেয় আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পর মুহূর্তেই মিলিটারি এসে ঘেরাও করে ফেলে, মগদের বের করে ঘরে দরজা আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেও একই তথ্য পাওয়া যায়। মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা বেলাল আহমেদ (৪৫) বলেন, রাখাইনে কোনো মসজিদেই আজান হয় না এখন। মসজিদ মক্তবগুলোও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তার পরিবারের ৮ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওয়েবসাইট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ