Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম



ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও চরমপন্থী বৌদ্ধদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। সমুদপথে পালিয়ে আসা বাস্তুহারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠিয়ে তাদের সাময়িক আশ্রয় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার নৌ বাহিনীর প্রধান। গতকাল শুক্রবার রয়টার্সকে তিনি এ কথা জানান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৮ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা তাদের অধিকার বিশেষ করে দেশটির নাগরিকত্ব চেয়ে আসছে। আর সরকার দীর্ঘদিন সেই দাবিকে উপেক্ষা করে আসছে। শুধু উপেক্ষা নয়, রীতিমত রাষ্ট্রীয় মদদে দমনপীড়ন চালানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর, যার সর্বশেষ নজির গত ২৪ আগস্ট। মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক জুলকিফ্লি আবু বাকার বলেন, নতুন করে সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাবাহী নৌকা আন্দামান সাগর থেকে দক্ষিণে শত শত কিলোমিটার দূরের মালয়েশিয়ায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মালয়েশিয়া ইতোমধ্য এক লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি রয়টার্সকে বলেন, আমরা তাদের জন্য মোলিক প্রয়োজনীয়তাগুলো প্রদান অব্যাহত রাখব এবং অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত আছি। এখনো পর্যন্ত দেশটিতে নতুন করে কোনো উদ্বাস্তু প্রবেশ করেনি বলে তিনি জানান। মালয়েশিয়া এখনো পর্যন্ত ইউএন শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি। একারণে দেশটিতে শরণার্থীদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে অভিহিত করা হয়। এদিকে, থাইল্যান্ড জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের গ্রহণ করার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর) -এর নিবন্ধিত প্রায় ৫৯,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। তবে আনফফিশিয়াল সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। রয়টার্স।

বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়া চুক্তি চায় দিল্লি
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের আলোচনার পরে বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়া সীমান্ত চুক্তি করতে চাইছে দিল্লি। অটলবিহারী বাজপেয়ী ও মনমোহন সিংহের আমলে চীনের সঙ্গে দু’টি সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে সেই পথে হাঁটতে চান মোদিও। এই বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের কূটনীতিকেরা সক্রিয় রয়েছে বলে খবরে বলা হয়। ব্রিক্স সম্মেলনে যোগ দিতে চিনের শিয়ামেনে গিয়েছিলেন মোদি। ডোকলাম সঙ্কটের পরে সেখানেই প্রথম দেখা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। ডোকলামের মতো পরিস্থিতি যাতে এড়ানো যায় সে জন্য সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছে দু’পক্ষ। কূটনৈতিক প্রথা অনুযায়ী, এ বার চীনা প্রেসিডেন্টের ভারতে আসার কথা। কিন্তু চীনা বিদেশ মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, শি ও চীনের অন্য নেতারা এখন অক্টোবরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস নিয়ে ব্যস্ত। ফলে এখনই তাড়াহুড়োা করে ভারতে আসার কথা ভাবছেন না শি। স্থির হয়েছে পররাষ্ট্র সচিব ও অন্য কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালানো হবে। এবিপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ