Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘোষণাপত্রে রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ, সরে দাঁড়াল ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৪২ পিএম

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েও তার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে একমত হতে পারেনি ভারত। রাখাইনে চলমান সহিংসতার বিষয়টিকে ‘অযথার্থ’ আখ্যা দিয়ে ঘোষণাপত্র থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় নয়াদিল্লী।

ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় ‘ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্টারি ফোরাম অন সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বালি ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়। মিয়ানমারের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল ‘বালি ঘোষণাপত্র’ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।

পরে এ বিষয়ে লোকসভার সচিবালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সম্মেলনের ঘোষণাপত্রটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত টেকসই উন্নয়ন নীতিমালার সঙ্গে যায় না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়ে পারস্পরিক ঐক্যে আসাই ছিল এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রে রাখাইনে সহিংসতার বিষয়টির উল্লেখ ঐকমত্যের ভিত্তিতে আসেনি। আর তা অযথার্থ।

ঘোষণাপত্রের একটি অংশে মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতা বিষয়ে গভীর উদ্বেগের কথা আছে। এই অংশের ব্যাপারে ভারত আপত্তি জানায়।

ঘোষণাপত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে রাখাইনে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। সহিংসতা বন্ধে সর্বোচ্চ আত্মনিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়। রাখাইনের সব মানুষের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া মানবিক সহায়তাকারীদের রাখাইনে প্রবেশ ও নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে বলা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফরে গিয়ে রাখাইনে উগ্রপন্থী সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের অবস্থানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে উগ্রবাদীদের হামলার সূত্র ধরে রাখাইনে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর থেকেই প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দিচ্ছে।



 

Show all comments
  • ibrahim islam Emon ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৪৬ পিএম says : 0
    হে বাংালি মুসলিম জাতি ভারতকে অাপনারা জতই অাপন মনে করুন না কেন তারা অাসলে মুসলিমদের প্রকিত বন্ধু না তারা হচ্ছে সাড়তের পাগল তা নাহলে বাংলাদেশের এই বিপদের সময় তারা অাজ বাংলাদেশের পখ্যে কথা নাবলে মিয়ানমারকে অারও উতসাহিত করছে মোসলমানদেরকে মারার জন্য সময় থাকতে সাবধান নয় পড়ে পস্তাতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৭:০০ পিএম says : 0
    মুসলিম-বিদ্বেষী ........... মোদী সরকার তথা ভারতের সাথে সকল মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগন একযোগে সকল কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • রিপন ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৮:০০ এএম says : 0
    মানুষ মানুষের জন্য, কিন্তু একথা আমরা ভুলে যাচ্ছি।
    Total Reply(1) Reply
    • Md samad ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১:১৫ এএম says : 4
      Bharat akta ..................
  • duke ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৯:০২ এএম says : 0
    This is the real face of India. All Muslims countries of Middle East has a great obligation and responsibilities to that sort of cruel response of India by Banning Workers from India in their countries, that will be a proper and appropriate blow from Muslim Ummah for India's mischief action.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ