Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের ফেরাবে না মালয়েশিয়া, আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:২৭ পিএম

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণের মুখে জীবন বাঁচাতে যদি কোনো রোহিঙ্গা মুসলমান পরিবার বিপদসংকুল সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ার উপকূলে পৌঁছায় তাহলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর গত ২৫ অক্টোবর থেকে প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ আর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে সহায়-সম্বল হারানো এসব ‘দেশহীন’ শরণার্থীর ভাষ্যে।

মালয়েশিয়া মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক জুলকিফলি আবু বাকার আজ শুক্রবার সকালে রয়টার্সকে বলেন, নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে আন্দামান সাগর হয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ায় উপকূলের দিকে আসতে পারে। আগে থেকেই এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী মালয়েশিয়ায় আশ্রয়ে রয়েছে।

‘আমরা উপকূলে তাদের আটক করে প্রাথমিক মানবিক সাহায্য দিয়ে পুনরায় তাদের একই সমুদ্র পথে ঠেলে দিতে পারি। কিন্তু দিন শেষে মানবতার কারণে আমরা এটা করতে পারি না।'

এখনো পর্যন্ত নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখা যাচ্ছে না, যোগ করেন জুলকিফলি আবু বাকার।

মালয়েশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের অনুসিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেনি। শরণার্থীদের এখানে অবৈধ অভিবাসী হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়।

মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ৫৯ হাজার নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছে। কিন্তু অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যাটা এর দ্বিগুণ বলেও জানান মালয়েশিয়া মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক।

মালয়েশিয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী থাইল্যান্ডও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।

২০১৫ সালে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বেশ কয়েকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, মানবপাচারের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যার পর গণকবর দেওয়া হয়।



 

Show all comments
  • S. Anwar ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:২৫ পিএম says : 0
    মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল। রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি আরাকানে ফেরাতেই হবে। তবে সূকী ..........কে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে। অন্যথায় অন্যান্য দেশে যতো রোহিঙ্গা আছে তারা জনমের মতো আরাকানে প্রবেশের অধিকার হারাবে। রোহিঙ্গাদের পুর্ণ নাগরিক মর্যাদা, সুবিধা ও অধিকার দিয়ে সসন্মানে ফেরত নিতে অংসান সূকী তথা বার্মাকে বাধ্য করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ