Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওপার-এপারে মানবিক বিপর্যয়

শফিউল আলম : | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বধ্যভূমি আরাকানে সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা মুসলমান নির্মূল অভিযান জোরদার : গণহত্যা নিপীড়ন বিতাড়নে লাখো
মানুষ ঘরছাড়া : ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলা হচ্ছে : অনেক লাশ পুড়ে অঙ্গার ও সাগরে ভেসে গেছে : বন-জঙ্গল পাহাড় খাল-বিলে অবরুদ্ধ কয়েক লাখ : সীমান্তজুড়ে অসংখ্য স্থলমাইন : জাতিসংঘ বলছে- বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে তিন লাখেরও বেশি, রোহিঙ্গারা এক মাস ধরে অনাহারে রোগে-শোকে ক্লান্ত অসাড়

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) সীমান্তের ওপার আর এপারে সৃষ্টি হয়েছে এক মানবিক বিপর্যয়। আগুনে ধ্বংস হওয়া বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের ঘরবাড়ি জমি-জিরাত আর স্বজনদের লাশ পেছনে ফেলে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসছে রোহিঙ্গারা। তাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ, অগ্নিদগ্ধ, বোমায় ঝলসে যাওয়া কিংবা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত। অসংখ্য মুসলমান মহিলা এমনকি কিশোরী হারিয়েছে ইজ্জত-সম্ভ্রম। আবার পালানোর পথেও গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। সীমান্তে অসংখ্য স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার সেনা ও সীমান্তরক্ষী বিজিপি। যাতে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার পর কেউ আর ফিরতে না পারে। স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়ে মারা পড়ছে কিংবা পঙ্গু হচ্ছে অনেকে। হাজার বছর ধরে বসবাসরত আরাকানী আদিবাসী ধর্মপ্রাণ ও শান্তিপ্রিয় জাতিগোষ্ঠি ‘রো-আং’ বা ‘রু-আং’ তথা মুসলমান রোহিঙ্গাদের জীবন এবং মহিলাদের ইজ্জত-সম্ভ্রম একেবারেই বিপন্ন। কঠিনমত সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে সমগ্র রোহিঙ্গা জাতি। নিরীহ রোহিঙ্গাদের একটিই মাত্র ‘অপরাধ’- তারা মুসলমান। মুসলমানদের সমূলে উচ্ছেদ করে মগবৌদ্ধ শাসকরাই সেখানে কায়েম করতে চায় মগের মুল্লুক! গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, আরাকানের আকিয়াব (সিটুই), মংডু, বুচিডং, রাচিডংসহ মুসলমান অধ্যুষিত গ্রাম ও পাড়াগুলো বেছে বেছে রোহিঙ্গা নির্মূলের লক্ষ্যে পরিচালিত সেনাভিযান জোরদার করা হয়েছে। সেনারা আরও নিষ্ঠুরতার দিকেই যাচ্ছে। এতে করে বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে আরাকান। সেনাবাহিনীর ছকে ছকে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে রোহিঙ্গাদের গ্রাম-পাড়াগুলোতে এখনও আগুন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরজন্য ব্যবহৃত হচ্ছে গান পাউডার, পেট্রোল ও এ ধরনের আগুনি-বোমা। মুসলমানদের বাড়িঘরের সাথে মসজিদ, মাদরাসা-মক্তব, পবিত্র কোরআন-হাদিস সমেত লাইব্রেরি ইত্যাদি ধ্বংস করে দিয়ে ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলা হচ্ছে। হেলিকপ্টার দিয়ে আকাশে ঘন ঘন চক্কর দিচ্ছে সেনারা। সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত হয়েছে বর্মী সীমান্ত রক্ষী বিজিপি, গোয়েন্দা, পুলিশ, নাডালা বাহিনী এবং চরম উগ্র মগদস্যু যুবকরা।
পাশবিকতার শেষ নেই
যৌথবাহিনী একের পর এক বর্গী স্টাইলে হামলে পড়ছে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘরবাড়িতে। গত ১১ আগস্ট থেকে সীমিতভাবে এবং ২৪ আগস্ট কালোরাত থেকে সুসংগঠিতভাবেই চলছে এহেন রোহিঙ্গা নিধন ও দমনাভিযান। হিংস্র হায়েনার মতো তাদের উম্মত্ততা থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। আক্রমণের শিকার হচ্ছে প্রসূতি ও নবজাতক থেকে শুরু করে ৮৫-৯২ বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পর্যন্ত। মিয়ানমার বাহিনীর হামলায় বুকে ও চোখে গুলিবিদ্ধ আরাকানের মংডুর বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী মোঃ সাহাব মিয়া কোনমতে পালিয়ে এসে বুধবার রাতে ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বলিবাজার এলাকাকে ঘিরে সেনাভিযানের সময় অতিকষ্টে পালিয়ে আসা সন্তানসম্ভবা ফাতেমা নূর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পৌঁছলে প্রসববেদনা শুরু হয়। অন্য মহিলাদের সহায়তায় একটি গোলপাতা বাগানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, নাম রাখা হয় জান্নাত আরা। সেই ভাগ্যাহত রোহিঙ্গা গৃহবধূ তার চোখের সামনেই দেখেছেন, কী নিষ্ঠুর কায়দায় তার স্বামী করিমউল্লাহকে (৩১) বর্মী সেনারা গুলি চালিয়ে এবং শিশুপুত্র নবী হোসেন (৬) ও কন্যা শামছুন্নাহারককে (৩) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে! অশীতিপর বৃদ্ধ সাহাব মিয়া, প্রসূতি ফাতেমা নূরের মতো আরও হাজারো আছেন সীমান্তের এপারে কিংবা ওপারে, যাদের পরিবারের অনেকেই নির্মম গণহত্যার শিকার হয়েছে। আরাকানজুড়ে মুসলমান বেছে বেছে চলছে সে এক অবর্ণনীয় নারকীয়তা, পাশবিকতা। গতকাল অবধি এহেন বর্বর ও ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম তথাকাথিত অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা, নিপীড়ন, বিতাড়নে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নর-নারী শিশু-বৃদ্ধ আজ ঘরছাড়া। চলমান রোহিঙ্গা দমনাভিযানে গত দু’সপ্তাহে অনেক লাশ জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিংবা ভেসে গেছে বাংলাদেশ- মিয়ানমার (আরাকান রাজ্য) সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে। দেশটির বন-জঙ্গল, পাহাড়-টিলা, খাল-বিলে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। উত্তর-পশ্চিম আরাকানের সাথে লাগোয়া ২শ’ ৭১ কিলোমিটার-ব্যাপী বান্দরবান-কক্সবাজারের ৩০টিরও বেশি স্থল ও নৌপথের সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার অপেক্ষায় আছে এ মুহূর্তে কমপক্ষে আরও দেড় থেকে দুই লাখ রোহিঙ্গা। এ যাবত কোনমতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা পৌনে দুই লাখ হতে পারে। এরমধ্যে গত ৭২ ঘণ্টায় এসেছে অর্ধলাখেরও বেশি। যাদের বেশিরভাগই মহিলা শিশু বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ও আহত।
উদ্বাস্তুরা রোগেশোকে ক্লান্ত অসাড়, ক্ষুধার্ত ভীত-সন্ত্রস্ত : তিন লাখে পৌঁছাতে পারে
গতকাল জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তারা দীর্ঘ এক মাস ধরে অনাহারে, রোগে-শোকে এখন ক্লান্ত ও অসাড়-অবসন্ন। তাদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, আশ্রয়, চিকিৎসা এমনকি টয়লটের অবস্থা খুবই নাজুক। যেভাবে দলে দলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে সঙ্কট মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আর অন্যদিকে ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্রে’র খলনায়িকা অং সান সুচি নির্বিচারে রোহিঙ্গা গণহত্যা-নিপীড়নে অনুতাপের পরিবর্তে সাফাই গাইছেন আর বলছেন, ‘রাখাইনে (আরাকান) সবাইকে আমরা রক্ষা করছি, সেখানে সকল নাগরিক নিরাপদ। বিশ্বের মিডিয়া ভুয়া খবর ও ছবি প্রকাশ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিচ্ছে!’ সুচির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এখন বিশ্বের দেশে দেশে উচ্চারিত হচ্ছে প্রতিবাদ-ঘৃণা-ধিক্কার।
এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আরাকান রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্নিকুন্ডের মতোই। কেউই সেখানে নির্যাতন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। চরম দলন-পীড়নের মুখে যে যেদিকে পারছে সেদিকে ছুটছে। পেছনে তাকানোর পরিস্থিতি নেই। প্রতিদিন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে অথবা বিক্ষিপ্তভাবে পালিয়ে এসে ঠাঁই নিচ্ছে সীমান্তের দিকে। জিরো লাইনে এখনও অপেক্ষায় আছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। অনাহার-অর্ধাহারে, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাবে তাদের দুঃখ-দুর্দশার সীমা নেই। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফের নাইটংপাড়া, লেদা, জাদিমুরা, হ্নীলা, কানজারপাড়া, হোয়াইক্যং, উখিয়ার মনখালী, ছেপটখালী, বালুখালী, রহমতেরবিল, আনজুমানপাড়া, ধামনখালী, পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির আমবাগান, তমব্রæ, ঘুমধুম, আশারতলী, দোছড়িসহ ৩০টিরও বেশি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। দিন দিন বিপন্ন রোহিঙ্গাদের আগমন স্্েরাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্তজুড়ে কড়া টহল দিয়ে যাচ্ছে। এ যাবত কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সেই সাথে রোহিঙ্গাদের সাথে বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসন মানবিক আচরণ করছে।
রাখাইনে (আরাকান) সেনা দমনাভিযানে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা তিন লাখে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা। যেভাবে দলে দলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে এই সঙ্কট মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে বলে এমনটি সতর্কতা ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অভিযানের ফলে আরও ব্যাপক এলাকাজুড়ে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডবলিউএফও) বাংলাদেশ মুখপাত্র দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য মিডিয়াকে জানান, জাতিসংঘ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলেন যে, এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশে আসতে পারে। এখন তারা মনে করছেন এ সংখ্যা তিন লাখে পৌঁছাতে পারে। যারা আসছে সবাই অপুষ্টির শিকার। সম্ভবত এক মাসেরও বেশি সময় যাবত তারা প্রয়োজনমতো খাবার পায়না। তাদেরকে তাদের ক্ষুধার্ত ও ভীত-সন্ত্রস্ত দেখাচ্ছে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা নৌকাযোগে এবং স্থল সীমান্তের অনেক জায়গা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বিপুলসংখ্যক উদ্দাস্তুর ন্যূনতম চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।
চমেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ৫৬ জন
এদিকে আরাকানে সেনা অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে আসা একজন বয়োবৃদ্ধ, কিশোরীসহ আরও তিনজন রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারা হলেন মোঃ সাহাব মিয়া (৮০), আমীর হালিম (১৮) ও মোঃ হারেছ (১৫) নামে দুই ভাই এবং কিশোরী উম্মে সালমা (১৩)। গতকাল ও বুধবার রাতে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়। আরাকানে বর্মী সেনাবাহিনীর দমনাভিযানে গুলিবিদ্ধ হন অশীতিপর মোঃ সাহাব মিয়া। আরও জানা গেছে, সাহাব মিয়া আরাকানের মংডু থানার হাচুরাতা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মৃত মোঃ তৈয়ব মিয়া। নিজের বাড়ির সামনেই সেনাবাহিনী তাকে গুলি চলায়। তার বুকে ও বাম চোখের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। ৪ দিন চেষ্টার পর আত্মীয়দের মাধ্যমে কোনমতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ২৫নং সার্জারি ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে। অপর আহতদের মধ্যে আমীর হালিম ও হারেছ আকিয়াবের বুচিডং থানার টঙবাজার এলাকার সোনা মিয়ার দুই ছেলে। আর গুলিবিদ্ধ কিশোরী উম্মে সালমা বুচিদংয়ের সোহাগ মিয়ার কন্যা। এ নিয়ে ৫৬ জন গুলিবিদ্ধ ও বোমায় ঝলসে যাওয়া গুরুতর আহত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধ চমেকে চিকিৎসাধীন আছেন। আরাকানের গ্রামগুলোতে বর্মী যৌথবাহিনীর গুলি, বোমা ও অগ্নিসংযোগে গুরুতর আহতাবস্থায় ভাগ্যক্রমে তারা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও অনেকে মারা গেছে বলে জানান। মানবাধিকার ও সাহায্য-সংস্থার কর্মীরা তাদেরকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ২৬ আগস্ট এক যুবক এবং ৩০ আগস্ট এক শিশু রোহিঙ্গা মারা যান।



 

Show all comments
  • Imdad Hossain ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫১ এএম says : 0
    যারা এই ভাবে মানুষ মারে মানুষ হত্যা করে নির্যাতন করে তাদের আবার কিসের ধর্ম? এরা মানুষ রুপি হিংশ্র জন্তু জানোয়ার।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ibrahim ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০৫ পিএম says : 0
    সকল মুসলিম ভাই বোনদের কে অনুরোধ করতেছি, আপনাদের যত টুকু সহায় সম্বল আছে, তা থেকে কিছু অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই বোনদের দান করো,না হলে কাল কিয়ামতের দিন আল্লাহ কে কি জবাব দিবো ?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Abbas Hossain ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    অং সাং সুচি এর নোবেল পুরুষ্কার কেড়ে নেয়া হোক। এবং সন্ত্রাস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ashraful Islam Israil ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১৫ পিএম says : 0
    বুকের ভিতর হু -হু করে পাজর ভাংগার অনুশব্দে দু-চোখের কোনা বেয়ে দু-ফোটা কষ্টের পানি বয়ে গেল গাল বেয়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • শাফায়াত উল্লাহ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১৯ পিএম says : 0
    পৃথিবীর সব মুসলিম জাতি একটা দেহের মত মনে করা উচিৎ, যদি একটা দেহের কোনো অংশ ব্যথা পেলে যেমন শরীরের সমস্থ অংশ ব্যথা লাগে তেমনি একজন মুসলিম ব্যথা পেলে, সমস্থ মুসলিম জাতির ব্যথা অনুভব করা উচিৎ ৷
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir Ahmed ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৩২ পিএম says : 0
    মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বর এবং ঘৃণ্য গনহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • আতিক ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:১১ পিএম says : 0
    রোহিংঙ্গা ইস্যুতে ইনকিলাব নয়াদিগন্তের ভুমিকা প্রশংসিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Alam ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:২৩ পিএম says : 0
    আল্লাহ আপনি মুজলুমের দোয়া কবুল করুণ
    Total Reply(0) Reply
  • Main Uddin Siblu ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:৩১ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে নাকি মানবাধিকার কর্মী আছে??
    Total Reply(0) Reply
  • Alauddin Ahmmed ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:৩৩ পিএম says : 0
    আল্লাহ সকল মুসলিম কে হেফাজত করুন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ