নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চুড়ান্ত পর্বে ভালো খেলার লক্ষ্যেই আজ থাইল্যান্ড চুনবুড়ির যাচ্ছে বাংলাদেশ কিশোরী ফুটবল দল। ৩২ সদস্যের বাংলাদেশ দলে ২৩ ফুটবলার এবং নয়জন কোচ ও কর্মকর্তা রয়েছেন। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৬ নারী দলের সার্বিক প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজেদের কথা মিডিয়াকে জানান অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকার ও প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এসময় দলের ম্যানেজার জাকির হোসেন চৌধুরী, বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বে ইরান (৩-০), সিঙ্গাপুর (৫-০), কিরগিজস্তান (১০-০), চীনা তাইপে (৪-২) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (৪-০) হারিয়ে ‘বি’ গ্রæপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। এরপর থেকেই চুড়ান্ত পর্বের জন্য তাদের প্রস্তুতি শুরু হয়। গেল এক বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচায় কৃষ্ণা বাহিনীকে জাপানে দু’বার, চীন ও কোরিয়াতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলিয়ে এনেছে বাফুফে। এখন কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ কিশোরী দল। সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাব দিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘অনেক পরিশ্রম করেছে মেয়েরা। বাছাই পর্বে সবগুলো ম্যাচ জিতে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে। গেল এক বছরে তিনটি দেশে বেশ ক’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। তাছাড়া দেশের মাটিতে দীর্ঘদিনের অনুশীলনতো রয়েছেই। যার ফলে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিকভাবে এখন আরও পরিণত। শিক্ষায় ও আচরণেও এসেছে পরিবর্তন। জাপান, কোরিয়া ও চীনে ২১টি (১০ জয়, ৫ ড্র ও ৬ হার) প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর বদলে গেছে মেয়েদের মানসিকতা। তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ফলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে লড়তে এখন আর ভয় পায় না কৃষ্ণারা। থাইল্যান্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ কোচের কথায় সুর মেলালেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণীও। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আর ভয় পাই না কোন দলকে। সে হোক না বর্তমান চ্যাম্পিয়ণ উত্তর কোরিয়া। ভয়কে জয় করেই আমরা মাঠে নামবো। প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ম্যাচ খেলবো।’ এই দলটিকে সফল বলে আখ্যা দিলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মল্লি। তার কথায়, ‘ওরা (মহিলা ফুটবল দল) অনেক কষ্ট করেছে গত এক বছরে। আমার চোখে এই দলটি সফল।’ আর ম্যানেজার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন,‘দীর্ঘ এক বছরের কঠিন পরিশ্রমে মেয়েরা সেরা হিসেবেই গড়ে উঠেছে। আমি আশাবাদি দল নিয়ে। আমাদের কিশোরীরা থাইল্যান্ডে ভালো কিছু করে দেখাবে বলেই বিশ্বাস আমার।’
টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রæপে খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া। ‘এ’ গ্রæপে রয়েছে থাইল্যান্ড, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও লাওস। গ্রæপে কোন দলের বিপক্ষেই জয়ের তেমন আত্মবিশ্বাসী কথা বলতে পারলেন না কোচ কিংবা অধিনায়ক। তবে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।