গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানার কাছে বর্ধনবাড়ি এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানার’ বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ ও ওই গলির নিরাপত্তারক্ষী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ঘটনাস্থলে ওই বাড়ির ভেতরে ছয়টি শক্তিশালী বোমা পাওয়া গেছে। কার্টুনে মোড়ানো আইইডি (হাতে তৈরি বোমা) পাওয়া গেছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করছে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল। অভিযান এখনো চলছে বলেও তিনি জানান। বাড়ির কাছের ৫০০ গজ দূরে র্যাবের ব্যারিকেড বসানো আছে।
অভিযানের ঘটনায় গত রাতে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন র্যাব-৪–এর নায়েক সুবাদার হারুন অর রশীদ। ওই মামলায় বাড়ির মালিক ও গলির নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে নিহত জঙ্গি আবদুল্লাহ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের লাশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহর পরিবার। দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুকুল আলম বলেছেন, আবদুল্লাহর ভাই মীর আখলাক খোকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কারও লাশ গ্রহণ করবেন না বলে জানান।
পরিবার লাশ গ্রহণ না করলে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মো. ফারুকুল আলম।
রাজধানীর মিরপুরের বর্ধনবাড়ি এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে একটি বাড়ি গত সোমবার রাত থেকে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ওই বাড়িতে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই বাড়িতে থাকা জঙ্গি আবদুল্লাহসহ সাতজন নিহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।